যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার বলেছেন, ইরানের পারমাণবিক হুমকি ‘প্রশমনের’ জন্যই যুক্তরাষ্ট্র দেশটিতে হামলা চালিয়েছে। খবর বিবিসির।

ইরানের তিন পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর এক বিবৃতিতে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার জন্য গুরুতর হুমকি। ইরানকে কখনোই পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে দেওয়া যাবে না। নিরাপত্তার হুমকি দূর করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র পদক্ষেপ নিয়েছে।’

কিয়ার স্টারমার আরও বলেন, আমরা ইরানকে আলোচনার টেবিলে ফিরে আসতে এবং চলমান সংকটের অবসান ঘটাতে কূটনৈতিক সমাধানে পৌঁছানোর আহ্বান জানাচ্ছি।

এর আগে শনিবার (২১ জুন) রাতে ইরানের তিন পারমাণবিক স্থাপনায় সরাসরি হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজেই এ কথা ঘোষণা করে জানান, তার দেশ ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় সফল হামলা সম্পন্ন করেছে। স্থাপনাগুলো হলো ফোরদো, নাতাঞ্জ ও ইসফাহান।

পরে যুক্তরাষ্ট্রে স্থানীয় সময় শনিবার রাত ১০টায় হোয়াইট হাউস থেকে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন ট্রাম্প। এ সময় ইরানকে সতর্ক করে তিনি বলেন, ‘হয় শান্তি আসবে, নয়তো ইরানের জন্য আরও অনেক বড় ট্র্যাজেডি হবে যা আমরা গত আট দিনে দেখেছি।’

ট্রাম্প বলেন, ‘মনে রাখবেন, এখনও অনেক লক্ষ্যবস্তু বাকি আছে। আজ রাতটি ছিল তাদের মধ্যে সবচেয়ে কঠিন এবং সম্ভবত সবচেয়ে মারাত্মক। কিন্তু যদি শান্তি দ্রুত না আসে তবে আমরা নির্ভুলতা, দ্রুততা এবং দক্ষতার সাথে অন্যান্য লক্ষ্যবস্তুতে যাব।’

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ‘এ হামলার উদ্দেশ্য ইরানের পারমাণবিক সমৃদ্ধকরণ সক্ষমতা শেষ করে দেওয়া। সন্ত্রাসের মদদদাতা বিশ্বের এক নম্বরে থাকা দেশটির পারমাণবিক হুমকি থামিয়ে দেওয়া।’

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: য ক তর জ য য ক তর ষ ট র য ক তর ষ ট র

এছাড়াও পড়ুন:

চমক রেখে আর্জেন্টিনার নতুন স্কোয়াড ঘোষণা

নভেম্বর আন্তর্জাতিক উইন্ডোকে সামনে রেখে আর্জেন্টিনা ঘোষণা করেছে নতুন স্কোয়াড। যেখানে বড় চমক-দলে নেই বিশ্বকাপজয়ী গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। তবে স্বস্তির খবর, আছেন দলের প্রাণভোমরা লিওনেল মেসি। নতুন মুখ হিসেবে জায়গা পেয়েছেন তিন তরুণ প্রতিভা।

আগেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন কোচ লিওনেল স্কালোনি এই উইন্ডোতে অভিজ্ঞদের বিশ্রাম দিয়ে তরুণদের সুযোগ দেবেন তিনি। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ীই মার্টিনেজসহ কয়েকজন তারকাকে বিশ্রাম দিয়েছেন তিনি। আসন্ন প্রীতি ম্যাচটি আফ্রিকান প্রতিপক্ষ অ্যাঙ্গোলার বিপক্ষে। যা অনুষ্ঠিত হবে ১৪ নভেম্বর। তার আগে স্পেনে হবে দলের সংক্ষিপ্ত প্রস্তুতি ক্যাম্প।

কম গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচের কারণে স্থানীয় ক্লাবগুলোর খেলোয়াড়দের না ডাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এএফএ)। উদ্দেশ্য- দেশের ক্লাবগুলো যেন চলমান মৌসুমে খেলোয়াড় সংকটে না পড়ে। একই অবস্থান নিয়েছেন কোচ স্কালোনিও।

বাদ পড়েছেন যারা, ডাক পেয়েছেন নতুনরা:
গত উইন্ডোর দলে থাকা লিয়েন্দ্রো পারেদেস, গঞ্জালো মন্টিয়েল, লাউতারো রিভেরো ও মার্কোস আকুনা এবার জায়গা পাননি। তাদের জায়গায় প্রথমবারের মতো দলে জায়গা পেয়েছেন জোয়াকিন পানিচেল্লি, জিয়ানলুকা প্রেস্টিয়ানি ও ম্যাক্সিমো পেরোনে। এছাড়া ফিরে এসেছেন তরুণ ডিফেন্ডার ভ্যালেন্টিন বার্কো।

২৩ বছর বয়সী স্ট্রাইকার পানিচেল্লি এখন ফরাসি ক্লাব স্ট্রাসবুরের হয়ে খেলছেন। লিগ ওয়ানে এ মৌসুমে ১১ ম্যাচে ৯ গোল করে নজর কাড়েন তিনি। অন্যদিকে অনূর্ধ্ব–২০ বিশ্বকাপে আলো ছড়ানো ১৯ বছর বয়সী প্রেস্টিয়ানি বর্তমানে পর্তুগিজ ক্লাব বেনফিকায় খেলছেন। এখনো অভিজ্ঞতা অর্জনের পর্যায়ে থাকা এই উইঙ্গারের পায়ে ১৭ ম্যাচে ১ গোল ও ২টি অ্যাসিস্ট।

২২ বছর বয়সী মিডফিল্ডার ম্যাক্সিমো পেরোনে খেলছেন ইতালির ক্লাব কোমোতে। যেখানে তার সতীর্থ নিকো পাজ। মূলত রক্ষণাত্মক মিডফিল্ডার হলেও আক্রমণ তৈরির দক্ষতায় স্কালোনির নজর কেড়েছেন তিনি।

২০২৪ সালের মার্চে এল সালভাদরের বিপক্ষে জাতীয় দলে অভিষেক হওয়া ভ্যালেন্টিন বার্কোও ফিরেছেন দলে। স্ট্রাসবুরের হয়ে এ মৌসুমে তার নামের পাশে আছে ১ গোল ও ৪ অ্যাসিস্ট।

অভিজ্ঞদের উপস্থিতি, মেসির খেলা অনিশ্চিত:
দলে আছেন অধিনায়ক লিওনেল মেসি। যদিও তিনি খেলবেন কি না, তা এখনো নিশ্চিত নয়। অভিজ্ঞদের মধ্যে রয়েছেন রদ্রিগো ডি পল, ক্রিস্টিয়ান রোমেরো, হুলিয়ান আলভারেজ, লাউতারো মার্টিনেজ, নিকোলাস ওটামেন্ডি, নিকোলাস তালিয়াফিকো, নিকোলাস গঞ্জালেস ও জিওভান্নি লো সেলসো।

হলুদ কার্ডজনিত নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফিরেছেন মিডফিল্ডার এনজো ফার্নান্দেজও। আর মার্টিনেজের অনুপস্থিতিতে গোলবার সামলাবেন জেরোনিমো রুলি ও ওয়াল্টার বেনিতেজ।

তরুণদের প্রতি স্কালোনির বিশ্বাস:
দলের এই পরিবর্তন নিয়ে আর্জেন্টিনার কোচ স্কালোনি বলেছেন, “এটা তরুণদের শেখার এবং আন্তর্জাতিক মঞ্চের পরিবেশ বোঝার সুযোগ। অভিজ্ঞদের বিশ্রাম দরকার, আর ভবিষ্যতের জন্য নতুনদের প্রস্তুত করাই এখন লক্ষ্য।”

বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা তাই নভেম্বর উইন্ডোকে ব্যবহার করছে একপ্রকার রিফ্রেশমেন্ট ক্যাম্প হিসেবে। যেখানে আগামী প্রজন্মের ফুটবলারদের প্রস্তুত করা হচ্ছে লিওনেল মেসিদের উত্তরসূরি হিসেবে।

আর্জেন্টিনার স্কোয়াড

গোলরক্ষক:
জেরোনিমো রুলি, ওয়াল্টার বেনিতেজ।

ডিফেন্ডার:
নাহুয়েল মোলিনা, জুয়ান ফয়েথ, ক্রিস্টিয়ান রোমেরো, নিকোলাস ওটামেন্ডি, মার্কোস সেনেসি, নিকোলাস তালিয়াফিকো, ভ্যালেন্টিন বার্কো।

মিডফিল্ডার:
অ্যালেক্সিস ম্যাক-অ্যালিস্টার, এনজো ফার্নান্দেজ, রদ্রিগো ডি পল, জিওভান্নি লো সেলসো, থিয়াগো আলমাদা, ম্যাক্সিমো পেরোনে, নিকোলাস পাজ।

ফরোয়ার্ড:
লিওনেল মেসি, জুলিয়ান আলভারেজ, লাউতারো মার্টিনেজ, নিকোলাস গঞ্জালেস, জিওলিয়ানো সিমিওনে, হোসে ম্যানুয়েল লোপেজ, জিয়ানলুকা প্রেস্টিয়ানি, জোয়াকিন পানিচেল্লি।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ