প্রথম ইনিংসে ১৪৮, দ্বিতীয় ইনিংসে অপরাজিত ১২৫—গল টেস্টে ২৭৩ রান নাজমুল হোসেনের। জোড়া সেঞ্চুরি করা বাংলাদেশ অধিনায়ক অল্পের জন্যই আরেকটি বড় রেকর্ড নিজের করে নিতে পারেননি। রেকর্ডটি এক টেস্টে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি রান করার।

২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকেই যে রেকর্ডের মালিক মুমিনুল হক। ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে চট্টগ্রামে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই ইনিংস মিলিয়ে ২৮১ রান করেছিলেন মুমিনুল হক। প্রথম ইনিংসে ১৭৬ রান করা মুমিনুল দ্বিতীয় ইনিংসে করেছিলেন ১০৫। টেস্টে বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে জোড়া সেঞ্চুরি পাওয়া মুমিনুল ভেঙেছিলেন তামিম ইকবালের রেকর্ড।

২০১৫ সালে খুলনায় পাকিস্তানের বিপক্ষে দুই ইনিংস মিলিয়ে ২৩২ রান করেছিলেন তামিম। প্রথম ইনিংসে ২৫ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ২০৬ রান তামিম ডাবল সেঞ্চুরি করার পথে ইমরুল কায়েসকে নিয়ে ৩১২ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েছিলেন। টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে যা উদ্বোধনী জুটির রেকর্ড হিসেবে টিকে আছে এখনো।

বাংলাদেশের হয়ে এক টেস্টে সবচেয়ে বেশি রান করার রেকর্ডটি মুমিনুল হকের.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: দ ব ত য় ইন র কর ড র ন কর প রথম

এছাড়াও পড়ুন:

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে নিহত পুলিশ কর্মকর্তা দিদারুলের পরিবারের সাক্ষাৎ

বন্দুকধারীর হামলায় বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন পুলিশ কর্মকর্তা দিদারুল ইসলামের মৃত্যুতে তাঁর পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।

স্থানীয় সময় সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাতে নিউইয়র্কের একটি হোটেলে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন দিদারুল ইসলামের পরিবারের সদস্যরা।

আরো পড়ুন:

নিউইয়র্কে আখতার হোসেনের ওপর ডিম নিক্ষেপ

কুমিল্লায় চার মাজারে হামলা, ২২০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ সময় সকাল পৌনে ৯টায় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের ফেসবুক পোস্টে এ তথ্য জানানো হয়। 

সেখানে বলা হয়, দিদারুল ইসলামের প্রতি সম্মাননা স্বরূপ পরিবারের সদস্যদের হাতে একটি ক্রেস্ট তুলে দেন প্রধান উপদেষ্টা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, দিদারুল ইসলামের বাবা মোহাম্মদ আবদুর রব, মা মিনারা বেগম, দুই ছেলে আয়হান ইসলাম ও আজহান ইসলাম, ভাই কামরুল হাসান, ভাইয়ের ছেলে আদিয়ান হাসান, বোন নাদিমা বেগম ও চাচা আহমেদ জামাল উদ্দিন। পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গী জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেন ও যুগ্ম আহ্বায়ক ডা. তাসনিম জারা।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “পত্রিকায় ঘটনাটি পড়েছি। পড়ে হতবাক হয়ে গিয়েছিলাম। বুঝতে পারছিলাম না কীভাবে হলো। টিভিতে দেখেছি নিউইয়র্কে তাঁর শেষ বিদায়ে হাজারো মানুষের ঢল নেমেছিল। বহু মানুষের শোক-শ্রদ্ধা-ভালোবাসা পেয়েছেন তিনি। নিউইয়র্কে আসার পরিকল্পনার মধ্যেই আমাদের মনে হয়েছে অবশ্যই আপনাদের সঙ্গে দেখা করতে হবে।”

পরিবারের সদস্যরা জানান, দিদারুল ইসলাম নিউইয়র্ক পুলিশের একজন দায়িত্বশীল ও প্রশংসিত কর্মকর্তা ছিলেন। তিনি ২০২১ সালে পুলিশ বিভাগে যোগ দেন। ব্রঙ্কসের ৪৭ নম্বর প্রিসিঙ্কটে তিনি কর্মরত ছিলেন। তাঁর দুটি সন্তান রয়েছে। 

গত ২৮ জুলাই নিউইয়র্কের ম্যানহাটানের পার্ক অ্যাভিনিউয়ে বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত হন দিদারুল ইসলাম। বন্দুকধারী এক তরুণ সেদিন বহুতল করপোরেট ভবনের ভেতরে ঢুকে এলোপাতাড়ি গুলি চালান এবং পরে নিজেই গুলি করে আত্মহত্যা করেন। সেসময় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে হামলাকারীকে থামাতে গিয়ে গুলিতে দিদারুল নিহত হন।

ঢাকা/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ