’৭২–এর সংবিধানের চার মূলনীতি বাতিল চায় এনসিপি
Published: 22nd, June 2025 GMT
বাহাত্তরের সংবিধানের চার মূলনীতি বাতিল চায় জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। দলটির যুগ্ম আহ্বায়ক জাবেদ রাসিন বলেছেন, ‘আমাদের পক্ষ থেকে আমরা স্পষ্টভাবে জানিয়েছি, বাহাত্তরের মুজিববাদী মূলনীতি আমরা রাখার পক্ষে না। এ মূলনীতি বাদ দিতে হবে।’
আজ রোববার রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আগের অসমাপ্ত আলোচনা সমাপ্তিকরণের লক্ষ্যে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর আলোচনা শেষে এ কথা বলেন জাবেদ রাসিন।
এনসিপির এই যুগ্ম আহ্বায়ক বলেন, ‘সংবিধান সংস্কার কমিশনের একটা প্রস্তাব ছিল। সংবিধানে সাম্য, মানবিক মর্যাদা এবং সামাজিক সুবিচারের সঙ্গে গণতন্ত্রকে যুক্ত করে এই চারটি অন্তর্ভুক্ত থাকবে মূলনীতি হিসেবে। বৈঠকে আলোচনার সময় এটা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে একটা মতানৈক্য দেখা গেল। আমাদের পক্ষ থেকে আমরা স্পষ্টভাবে জানিয়েছি, বাহাত্তরের মুজিববাদী মূলনীতি আমরা রাখার পক্ষে না। এ মূলনীতি বাদ দিতে হবে।’
কিছু রাজনৈতিক দল তাদের আদর্শিক জায়গা থেকে এই চার মূলনীতি বাদ দেওয়ার ব্যাপারে একমত হতে পারেনি বলে জানান জাবেদ রাসিন। তিনি বলেন, ‘আমরা সে ক্ষেত্রে বলেছি, আমাদের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার যে অভ্যুত্থানের যে স্পিরিট, সে স্পিরিটের বিপরীতে গিয়ে এখানে আলোচনার কোনো মানে হয় না। সুতরাং বাহাত্তরের চার মূলনীতি বাদ দিয়ে তার পরবর্তী বাকি মূলনীতিগুলো সংযোজন করতে হবে।’ তবে এ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে কোনো ঐকমত্য হয়নি।
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপির) জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা বলেন, বর্তমান যে ব্যবস্থা আছে, সে ব্যবস্থা থেকে প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদটা সীমিত করা প্রয়োজন। এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছিল। এ ছাড়া একজন ব্যক্তি কত সময় ধরে প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবেন, সে বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘একজন ব্যক্তির সর্বোচ্চ দুবার শপথ নিতে পারবেন, এই জায়গায় আমরা সীমা নির্ধারণ করার কথা বলেছিলাম। কিন্তু ঐকমত্যের স্বার্থে সবাই সর্বোচ্চ ১০ বছর বলে। সময় নির্ধারণের সবার সঙ্গে আমাদের মতামত ফেক্সিবল (নমনীয়) থাকবে।’
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আজকের আলোচনায় অংশ নেয় বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), ইসলামী আন্দোলন, গণ অধিকার পরিষদ, গণসংহতিসহ ৩০টি রাজনৈতিক দল।
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারের সঞ্চালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্য সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক, ড.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব হ ত তর র র জন ত ক ঐকমত য আম দ র এনস প
এছাড়াও পড়ুন:
নতুন বিশ্বের সন্ধিক্ষণে একজন মুসলিমের ১০ অপরিহার্য অঙ্গীকার
বর্তমান যুগে সময়ের পরিবর্তন ও নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ মুসলিম ব্যক্তি ও সমাজের সামনে এমন কিছু প্রশ্ন তুলে ধরেছে, যা তাদের ভূমিকা ও দায়িত্বকে নতুনভাবে চিন্তা করতে বাধ্য করে। এই চিন্তার কেন্দ্রে রয়েছে ইসলামের সর্বজনীন বার্তা, যা শুধু মুসলিমদের জন্য নয়, বরং সমগ্র মানবজাতির জন্য প্রযোজ্য।
এই নিবন্ধে আমরা দশটি মূল বিষয়ের আলোকে মুসলিমের সমকালীন ভূমিকা ও দায়িত্ব নিয়ে আলোচনা করব, যা ইসলামের সভ্যতাগত দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং আধুনিক বিশ্বে প্রাসঙ্গিক। এই আলোচনা শুধু বাহ্যিক প্রচারের জন্য নয়, বরং মুসলিম ব্যক্তির নিজের চেতনা ও দায়িত্ববোধকে জাগ্রত করার জন্যও গুরুত্বপূর্ণ।
১. ঐশী উৎস থেকে উৎসারিতমুসলিমের প্রথম ও প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো তার জীবন দর্শন ও কর্মপন্থা ঐশী উৎস থেকে উৎসারিত। অর্থাৎ, তার চিন্তাভাবনা, বিশ্বাস ও কাজের ভিত্তি হলো পবিত্র কোরআন এবং রাসুল (সা.)-এর সুন্নাহ। ইসলাম মানুষের মন ও হৃদয়কে গঠন করে, তার কাজ ও আচরণকে নিয়ন্ত্রণ করে এবং জীবনের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্যকে দিকনির্দেশনা দেয়।
মুসলিমের প্রথম ও প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো তার জীবন দর্শন ও কর্মপন্থা ঐশী উৎস থেকে উৎসারিত। অর্থাৎ, তার চিন্তাভাবনা, বিশ্বাস ও কাজের ভিত্তি হলো পবিত্র কোরআন এবং রাসুল (সা.)-এর সুন্নাহ।কোরআনে বলা হয়েছে, “আমি বললাম, ‘তোমরা সবাই সেখান থেকে নেমে যাও। অতঃপর আমার পক্ষ থেকে তোমাদের কাছে যখনই হিদায়াত আসবে, তখন যারা আমার হিদায়াতের অনুসরণ করবে, তাদের কোনো ভয় থাকবে না এবং তারা দুঃখিতও হবে না।’” (সুরা বাকারা, আয়াত: ৩৮)
এই ঐশী নির্দেশনা মুসলিমকে সঠিক বিশ্বাস, বিবেকের পবিত্রতা, ইবাদতের স্থিরতা এবং আচরণে ন্যায়পরায়ণতা দান করবে। এটি তাকে ব্যক্তিগত ইচ্ছা ও প্রবৃত্তির দাসত্ব থেকে মুক্তি দেয় এবং তার শক্তিকে অপচয় থেকে রক্ষা করবে।
২. তাওহিদভিত্তিক আকিদাইসলামের মূল ভিত্তি হলো তাওহিদ বা একত্ববাদ। আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয়, তার কোনো শরিক নেই। কোরআনে বলা হয়েছে, “বল, তিনি আল্লাহ, এক ও অদ্বিতীয়। আল্লাহ সর্বনির্ভরশীল। তিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং তিনি কারও থেকে জন্মগ্রহণ করেননি। তার সমকক্ষ কেউ নেই।” (সুরা ইখলাস, আয়াত: ১-৪)
এই তাওহিদ মুসলিমের মনকে কুসংস্কার ও দ্বন্দ্ব থেকে মুক্ত করে, তার আচরণকে বিচ্যুতি থেকে রক্ষা করে এবং তার বিবেককে আল্লাহ ছাড়া অন্য কারও কাছে নত হওয়ার হীনতা থেকে মুক্ত রাখে। হাদিসে রাসুল (সা.) বলেছেন, “হে যুবক, আমি তোমাকে কিছু কথা শিখিয়ে দিচ্ছি: আল্লাহর (নির্দেশ) পালন করো, তিনি তোমাকে রক্ষা করবেন। আল্লাহর (নির্দেশ) পালন করো, তুমি তাঁকে তোমার সামনে পাবে। যখন তুমি কিছু চাইবে, তখন আল্লাহর কাছে চাও। যখন সাহায্য প্রার্থনা করবে, তখন আল্লাহর কাছে সাহায্য চাও।” (সুনানে তিরমিজি, হাদিস: ২৫১৬)
তাওহিদের এই স্পষ্ট ও সরল ধারণা ইসলামের একটি বড় বৈশিষ্ট্য, যা মানুষের ফিতরাতের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
আরও পড়ুনআধুনিক এই প্রবণতার শিকড় ইসলামে২০ মে ২০২৫৩. বহুমাত্রিক দৃষ্টিভঙ্গিমুসলিমের দৃষ্টিভঙ্গি হতে হবে বহুমাত্রিক। ইসলাম তাকে শিক্ষা দেয় যে, জ্ঞান যেখান থেকেই আসুক, তা গ্রহণ করতে হবে, যদি তা শুদ্ধ ও উপকারী হয়। হাদিসে বলা হয়েছে, “জ্ঞান মুমিনের হারানো সম্পদ, সে যেখানেই তা পায়, তা গ্রহণ করে।” (সুনানে ইবন মাজাহ, হাদিস: ৪১৫৯)
ইসলাম সর্বজনীন ধর্ম হওয়ায় এটি মানুষের সঙ্গে কোনো বাধা সৃষ্টি করে না। ইসলামি সভ্যতার ইতিহাস এর সাক্ষ্য দেয়, যেখানে মুসলিমরা অন্য সভ্যতার জ্ঞান, প্রশাসন ও বিজ্ঞানের অগ্রগতি গ্রহণ করেছে এবং তা নিজেদের মধ্যে সমৃদ্ধ করেছে। মুসলিমের এই বহুমাত্রিক দৃষ্টিভঙ্গি তাকে ঐশী জ্ঞানের পাশাপাশি মানবিক জ্ঞানের সঙ্গে সমন্বয় সাধন করতে সক্ষম করে।
৪. নৈতিক আচরণইসলামে নৈতিকতা মুসলিমের চেতনা ও আচরণের একটি মূল স্তম্ভ। এটি তার মূল্যবোধের বাস্তব প্রকাশ। রাসুল (সা.) বলেছেন, “আমি উত্তম নৈতিকতাকে পূর্ণতা দানের জন্য প্রেরিত হয়েছি।” (আলবানি, সিলসিলা সহিহা, হাদিস: ৪৫)
নৈতিকতা মানুষের প্রতি ইসলামের শ্রদ্ধার প্রতীক এবং এটি মানবাধিকার ও মর্যাদার প্রতি ইসলামের প্রতিশ্রুতি প্রকাশ করে। আজকের বিশ্বে, যেখানে নৈতিকতা প্রায়ই স্বার্থের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে, ইসলামের নৈতিক বার্তা সকল মানুষের জন্য একটি সর্বজনীন আদর্শ হিসেবে কাজ করতে পারে।
মুসলিমের দৃষ্টিভঙ্গি হতে হবে বহুমাত্রিক। ইসলাম তাকে শিক্ষা দেয় যে, জ্ঞান যেখান থেকেই আসুক, তা গ্রহণ করতে হবে, যদি তা শুদ্ধ ও উপকারী হয়।৫. কল্যাণের প্রচেষ্টামুসলিমের প্রতিটি প্রচেষ্টা কল্যাণের জন্য নিবেদিত। কোরআনে বলা হয়েছে, “হে ইমানদারগণ! রুকু করো, সিজদা করো, তোমাদের রবের ইবাদত করো এবং কল্যাণমূলক কাজ করো, যাতে তোমরা সফলকাম হও।” (সুরা হজ, আয়াত: ৭৭)
এই কল্যাণের পরিধি ব্যাপক—একটি সদয় কথা থেকে শুরু করে সমাজের মধ্যে সংহতি ফিরিয়ে আনা পর্যন্ত। এমনকি প্রাণীকুলের প্রতিও দয়া দেখানো এর অংশ। হাদিসে আছে, একজন নারী একটি বিড়ালকে আটকে রেখে তাকে খেতে না দিয়ে হত্যা করার কারণে জাহান্নামে প্রবেশ করেছিল। (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৩৩১৮)
৬. সর্বজনীন বার্তাইসলামের বার্তা সর্বজনীন। কোরআনে বলা হয়েছে, “বল, হে মানুষ, আমি তোমাদের সকলের জন্য আল্লাহর রাসুল, যিনি আসমান ও জমিনের মালিক।” (সুরা আরাফ, আয়াত: ১৫৮)
এই সর্বজনীনতা মুসলিমের ওপর বড় দায়িত্ব অর্পণ করেছে। তাকে আধুনিক মাধ্যম ব্যবহার করে এই বার্তা পৌঁছে দিতে হবে এবং সেই সঙ্গে হিকমত ও সৌজন্যের সঙ্গে দাওয়াত দিতে হবে। ইসলামের বিরুদ্ধে ভুল প্রচারণার মোকাবিলায় এই দায়িত্ব আরও গুরুত্বপূর্ণ।
আরও পড়ুনতথাকথিত পৌরুষের বদলে ইসলাম থেকে আত্মবিশ্বাস গড়ে তোলার ১০ উপায়২৭ জুলাই ২০২৫৭. মানবিক আহ্বানে সাড়া দেওয়াইসলামের সর্বজনীনতা থেকেই এর মানবিক ডাকে সাড়া দেওয়ার বিষয়টি উঠে আসে। এর মাধ্যমে মানুষের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, তার অধিকার ও স্বাধীনতাকে সম্মান করা হয়। আজকের বিশ্বে, যেখানে মানুষ বিভিন্ন দ্বন্দ্ব ও বিভ্রান্তির মধ্যে হারিয়ে যাচ্ছে, মুসলিমের দায়িত্ব হলো মানুষকে তাদের ফিতরাতের দিকে ফিরিয়ে আনা।
ফিলিস্তিনের মতো ন্যায়সঙ্গত ইস্যুতে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষের সমর্থন প্রমাণ করে যে, মানুষের মধ্যে সহজাত কল্যাণ রয়েছে। মুসলিমের কাজ হলো এই কল্যাণকে সঠিক পথে পরিচালিত করা।
৮. আধ্যাত্মিক ও বৈষয়িক উন্নয়নইসলাম আধ্যাত্মিক ও বৈষয়িক উন্নয়নের মধ্যে ভারসাম্য স্থাপন করেছে। কোরআনে বলা হয়েছে, “বল, আল্লাহ তাঁর বান্দাদের জন্য যে সৌন্দর্য ও উত্তম জীবিকা সৃষ্টি করেছেন, তা কে হারাম করেছে?” (সুরা আরাফ, আয়াত: ৩২)
মুসলিমের দায়িত্ব হলো আধ্যাত্মিক উন্নতির পাশাপাশি বৈষয়িক উন্নয়নের মাধ্যমে সমাজের কল্যাণ সাধন করা। এটি আধুনিক সভ্যতার ভুলগুলো সংশোধন করতে পারে, যা শুধু বৈষয়িকতার ওপর গুরুত্ব দিয়ে আধ্যাত্মিকতাকে অবহেলা করেছে।
আল্লাহ মানুষকে একে অপরের মাধ্যমে প্রতিহত না করলে, মঠ, গির্জা, উপাসনালয় ও মসজিদ ধ্বংস হয়ে যেত, যেখানে আল্লাহর নাম ব্যাপকভাবে স্মরণ করা হয়।কোরআন, সুরা হাজ, আয়াত: ৪০৯. ইতিহাসের গতিশীলতাইসলাম মুসলিমকে শিক্ষা দেয় যে, ইতিহাস স্থির নয়, এটি সুনান বা ঐশী নিয়মের অধীনে পরিচালিত হয়। কোরআনে বলা হয়েছে, “আল্লাহ মানুষকে একে অপরের মাধ্যমে প্রতিহত না করলে, মঠ, গির্জা, উপাসনালয় ও মসজিদ ধ্বংস হয়ে যেত, যেখানে আল্লাহর নাম ব্যাপকভাবে স্মরণ করা হয়।” (সুরা হাজ, আয়াত: ৪০)
মুসলিমের দায়িত্ব হলো এই সুনান বুঝে তা বাস্তবায়ন করা এবং ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য প্রস্তুত থাকা।
১০. দুনিয়া ও আখিরাতের মাঠমুসলিম বিশ্বাস করে যে, দুনিয়া পরীক্ষার মাঠ এবং আখিরাত ফলাফলের স্থান। এই বিশ্বাস তার কাজ ও চিন্তাকে দুনিয়ার মধ্যে সীমাবদ্ধ করে না, বরং তাকে আখিরাতের দিকে দৃষ্টি রেখে কাজ করতে উৎসাহিত করে। কোরআনে বলা হয়েছে, “যে মন্দ কাজ করে, তাকে তারই প্রতিফল দেওয়া হবে।” (সুরা নিসা, আয়াত: ১২৩)
এই বিশ্বাস মুসলিমকে দুনিয়ায় কল্যাণমূলক কাজে উৎসাহিত করে এবং আখিরাতে পুরস্কারের আশা জাগরুক রাখে।
এই দশটি বিষয় মুসলিমের সমকালীন ভূমিকা ও দায়িত্বের একটি সভ্যতাগত কাঠামো প্রদান করতে পারে। এটি শুধু মুসলিমের নিজস্ব চেতনার জন্য নয়, বরং অমুসলিমদের কাছে ইসলামের পরিচয় তুলে ধরার জন্যও একটি কার্যকর পথ। এই রূপরেখা আরও সমৃদ্ধ করা যায়, তবে এটি মুসলিমের দায়িত্বকে স্পষ্টভাবে তুলে ধরবে। আজকের বিশ্বে, যখন মানুষ হিদায়াতের জন্য তৃষ্ণার্ত, মুসলিমের ওপর দায়িত্ব হলো এই বার্তা সঠিকভাবে পৌঁছে দেওয়া।
আরও পড়ুননৈতিক উন্নয়নে হজরত আব্দুল কাদের জিলানী (রহ.)-এর ১০ নির্দেশনা২১ ঘণ্টা আগে