রানি এলিজাবেথ ভয় পেতেন কেবল একটা জিনিসেই
Published: 23rd, June 2025 GMT
যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি সময় রাজত্ব করেছেন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ (১৯২৬-২০২২)। তাঁকে মানা হয় দৃঢ়, নির্ভীক ও স্থির শাসক হিসেবে। ৭০ বছরের শাসনামলে তিনি নিয়োগ দিয়েছেন ১৫ জন প্রধানমন্ত্রী। রাজসিংহাসনে অধিষ্ঠিত থেকেই হাসিমুখে মোকাবিলা করেছেন যুদ্ধ, অর্থনৈতিক সংকট, বৈশ্বিক মহামারি, প্রিন্স হ্যারি ও মেগানের রাজপরিবার ত্যাগ, এমনকি স্বামী প্রিন্স ফিলিপের মৃত্যুর মতো ঘটনা। তবে প্রয়াত মহারানি কখনোই ধৈর্য হারাননি।
অথচ এমন কিছু একটা ছিল, যা তাঁকে প্রচণ্ড ভীত করে তুলত। যদিও জনসমক্ষে তিনি কাউকে তা বুঝতে দেননি। ফলে এটা আন্দাজ করা যে কারও পক্ষেই কঠিন। সম্প্রতি ব্রিটিশ রাজপরিবারের একজন জীবনীকার এক পডকাস্টে প্রকাশ করলেন এমন চমকপ্রদ তথ্য।
রানি এলিজাবেথের ভয়ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড ‘ডেইলি মেইল’-এর পডকাস্ট ‘কুইন্স, কিংস অ্যান্ড ডাস্টার্ডলি থিংস’-এ রাজপরিবারের জীবনীকার রবার্ট হার্ডম্যান বলেন, ‘তিনি (রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ) কেবল একটি জিনিসই ভয় পেতেন এবং সেটা ছিল হেলিকপ্টার।’ হার্ডম্যান যোগ করেন, ‘সয়ে নিতে পারতেন অন্য সবকিছু। তিনি যুদ্ধের মধ্য দিয়ে গেছেন, আরও না জানি কত কিছু সামলেছেন, কিন্তু সব সময়ই হেলিকপ্টার সম্পর্কে তাঁর মনের মধ্যে একটা অদ্ভুত ব্যাপার কাজ করত।’
অথচ প্রয়াত রানির নাতিসহ ব্রিটিশ রাজপরিবারের সদস্যদের অন্যতম প্রধান ও প্রিয় যানই হলো হেলিকপ্টার।
কেন এই ভয়হার্ডম্যানের মতে, ভয়ের শুরু ১৯৬৭ সালে। সে বছর রানির ফ্লাইট ক্যাপ্টেন জে এইচ এল ব্লাউন্ট তিনজন যাত্রীসহ একটি হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় মারা যান। ওয়েস্টল্যান্ড ওয়ার্লউইন্ড এইচসিসি.
অবশ্য রানি হওয়ায় এবং ভীষণ ব্যস্ততা থাকায় সব সময় ‘না’ বলতে পারতেন না। ১৯৭৭ সালে রানি পালন করেছিলেন রজতজয়ন্তী (সিংহাসনে আরোহণের ২৫ বছর পূর্তি)। এ উপলক্ষে তিনি দেশভ্রমণের পরিকল্পনা করেন। হার্ডম্যান জানান, বিকল্প না থাকায় রানিকে প্রথমে ব্রিটিশ রণতরিতে ওঠানো হয়। সেখান থেকে প্রথমবারের মতো তিনি হেলিকপ্টারে চড়ে উত্তর আয়ারল্যান্ডের বিভিন্ন অংশে ঘুরে জয়ন্তী উদ্যাপন করেন।
এরপরও তাঁর হেলিকপ্টার-ভীতি কাটেনি। এমনকি জীবনের শেষ দিকেও খারাপ আবহাওয়া ও বর্ষাকালে এ উড়োযানে তাঁর মন সায় দিত না।
আরও পড়ুনরানি ভিক্টোরিয়াও ছিলেন এই রোগের বাহক, জেনে নিন উপসর্গগুলো ১৭ এপ্রিল ২০২৩পরিবারের সদস্যদের হেলিকপ্টার ব্যবহারে রানির ফরমানসরাসরি কোনো নিষেধাজ্ঞা না থাকলেও পরিবারের সদস্যরা এই যান ব্যবহার করলে রানি তা পছন্দ করতেন না। মজার ব্যাপার হলো, চার্লস, এডওয়ার্ড ও অ্যান্ড্রু—অর্থাৎ তাঁর তিন ছেলেই ছিলেন সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টার পাইলট। সেই পদাঙ্ক অনুসরণ করেছেন তাঁর নাতি উইলিয়াম ও হ্যারিও। এমনকি প্রিন্স হ্যারি হেলিকপ্টার উড়িয়েছেন আফগানিস্তানেও। সিংহাসনের উত্তরাধিকার হওয়ায় প্রিন্স উইলিয়ামের যুদ্ধে যাওয়া ছিল বারণ। তবে তিনি উদ্ধারকারী হেলিকপ্টারের পাইলট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
অভিজ্ঞ পাইলট প্রিন্স উইলিয়াম একবার রানির অনুরোধ অমান্য করে তাঁর (প্রিন্স) পরিবারকে নিয়ে হেলিকপ্টারে ওঠেন। নিজে চালিয়ে পাড়ি দেন কেনসিংটন প্রাসাদ থেকে নরফোকের আনমার হল, অর্থাৎ নিজের বাড়ি পর্যন্ত ১১৫ মাইল দূরের পথ। এতে রানি বেজায় বিরক্ত হন।
রাজপরিবারের জীবনীকার, লেখক ও সাংবাদিক রবার্ট জবসন তাঁর বই ‘ক্যাথরিন, দ্য প্রিন্সেস অব ওয়েলস: আ বায়োগ্রাফি অব দ্য ফিউচার কুইন’-এ একজন সহকারীর বরাত দিয়ে লিখেছেন, ১৯৬৭ সালের দুর্ঘটনা রানিকে সব সময় তাড়া করে বেড়াত। পরে রাজা চার্লসও রানির এই দুশ্চিন্তার বিষয়ে কথা বলেছেন। প্রিন্স উইলিয়াম যখন পারিবারিক হেলিকপ্টার-যাত্রা ছাড়তে অস্বীকৃতি জানান, তখন ঝুঁকি স্বীকার করে এবং অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ দায়ভার নেওয়ার ব্যাপারে একটি নথিতে স্বাক্ষর করতে তাঁকে বাধ্য করেন বর্তমান রাজা।
আরও পড়ুনরানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ সম্পর্কে এসব তথ্য জানতেন কি?০৯ সেপ্টেম্বর ২০২২একসঙ্গে ভ্রমণের ব্যাপারে রাজপরিবারে নিয়ম যেমনভবিষ্যতে রাজসিংহাসনে বসার দাবিদার, এমন দুজন অর্থাৎ রাজা বা রানির দুজন উত্তরসূরি কখনো একসঙ্গে একই বিমান বা হেলিকপ্টারে ভ্রমণ করতে পারেন না। যেকোনো দুর্ঘটনার পরও যেন রাজতন্ত্র বজায় থাকে, তাই এ নিয়ম। রাজপরিবারের সন্তানদের ক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য হয় ১২ বছর বয়স থেকে। এর মানে, এ বছর জুলাই থেকেই হয়তো প্রিন্স জর্জ তার বাবা উইলিয়ামের সঙ্গে আর আকাশপথে ভ্রমণ করতে পারবে না। তবে নিয়ম বাস্তবায়ন হবে কি না, তা নির্ভর করছে প্রিন্স উইলিয়াম ও কেটের ওপর। আবার রাজা চার্লস চাইলেও পরিবর্তন আসতে পারে এসব নিয়মকানুনে। সামনের গ্রীষ্মের ছুটিতে সদ্য ১২ পেরোনো জর্জ তার মা-বাবার সঙ্গে বেড়াতে যাবে কি না, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
সূত্র: রিডার্স ডাইজেস্ট
আরও পড়ুনপ্রিন্সেস ডায়ানা সম্পর্কে সাবেক প্রেমিক এমন কিছু তথ্য ফাঁস করলেন, যা বিশ্ব আগে জানত না১০ মার্চ ২০২৫উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র জপর ব র র প র ন স উইল এল জ ব থ পর ব র র দ র ঘটন উইল য় ম কর ছ ন ভ রমণ
এছাড়াও পড়ুন:
নোয়াবের বিবৃতির জবাবে যা বললেন উপপ্রেস সচিব
দৈনিক জনকণ্ঠ দখল, সাংবাদিকদের হুমকি, সাংবাদিকের চাকরিচ্যুতি, সচিবালয়ের অ্যাক্রেডিটেশন বাতিল ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে কড়া বিবৃতি দিয়েছিল নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব)।
সংগঠনটির বিবৃতির প্রসঙ্গে শুক্রবার (৮ আগস্ট) ফেসবুক পোস্ট দেন প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার। তিনি বলেন, “গণমাধ্যমের স্বচ্ছতা, নিরাপত্তা ও স্বাধীনতার প্রতি সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেন, “সম্প্রতি নোয়াব গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও তথ্যপ্রাপ্তি পরিস্থিতি নিয়ে যে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে, আমরা তা স্বীকার করছি। তবে গত এক বছরে অন্তর্বর্তী সরকার মতপ্রকাশের স্বাধীনতা বা গণমাধ্যমের স্বাধীকার ক্ষুণ্ণ করেছে-এমন ইঙ্গিত আমরা দৃঢ়ভাবে ও স্পষ্টভাবে প্রত্যাখ্যান করছি।”
এ সময় মৌলিক মূল্যবোধ রক্ষায় ও উন্নত করতে সরকার সব অংশীজনকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
নোয়াবকে জবাব: সত্য ঘটনা তুলে ধরা শীর্ষক শিরোনামে উপপ্রেস সচিব নোয়াবের দেওয়া বিবৃতির বিভিন্ন বিষয় ব্যাখ্যা দেন:
১.গণমাধ্যমের কার্যক্রমে সরকারের হস্তক্ষেপ নেই
দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে অন্তর্বর্তী সরকার কোনো গণমাধ্যমের সম্পাদকীয়, পরিচালনা বা ব্যবসায়িক কার্যক্রমে হস্তক্ষেপ করেনি। বরং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণার মুখেও আমরা অসাধারণ সংযম দেখিয়েছি। টেলিভিশন টক শো ও কলামে এই সরকারের বিরুদ্ধে প্রায়ই মিথ্যা ও উসকানিমূলক বক্তব্য প্রচারিত হয়েছে। তবুও আমরা না সেন্সর করেছি, না প্রতিশোধ নিয়েছি; এমনকি প্ররোচিত হলেও আমরা অভিযোগ করিনি, লাইসেন্স স্থগিত করিনি। বরং আগের সরকারের সময় জোরপূর্বক বন্ধ করে দেওয়া কিছু গণমাধ্যমকে পুনরায় প্রকাশনা বা সম্প্রচারের সুযোগ করে দিয়েছি। এটি আমাদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও মুক্ত গণমাধ্যমের প্রতি অঙ্গীকারের স্পষ্ট প্রমাণ।
২. সরকারে প্রবেশাধিকার সবসময় উন্মুক্ত ছিল
সীমিত প্রবেশাধিকারের অভিযোগের বিপরীতে সাংবাদিকরা আমাদের উপদেষ্টা ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারীদের সঙ্গে সরাসরি ও উন্মুক্তভাবে যোগাযোগের সুযোগ পেয়েছেন। কোনো সাংবাদিককে তার গণমাধ্যমের পরিচয় বা সম্পাদকীয় অবস্থানের কারণে সাক্ষাৎকার বা ব্রিফিং থেকে বঞ্চিত করা হয়নি। আমরা স্বচ্ছতায় বিশ্বাস করি এবং আমাদের আচরণ সেটিরই প্রতিফলন।
৩. সচিবালয়ের অ্যাক্রেডিটেশন প্রক্রিয়ার সংস্কার
অ্যাক্রেডিটেশন ব্যবস্থার সংস্কার নিয়ে নোয়াবের সমালোচনা ভিত্তিহীন ও বিভ্রান্তিকর। আগের পদ্ধতিটি ছিল মারাত্মকভাবে দুর্নীতিগ্রস্ত; প্রবেশপত্র এমন ব্যক্তিদের হাতে পৌঁছেছিল যাদের কোনো বৈধ সাংবাদিকতার ভূমিকা ছিল না-যাদের মধ্যে কিছু ছিল রাজনীতিবিদ, লবিস্ট ও সুযোগসন্ধানী, যারা এই বিশেষ সুবিধা ব্যবহার করে নীতিনির্ধারণ প্রক্রিয়ায় অন্যায্য প্রভাব বিস্তার করত।
আমরা সেই ভাঙা কাঠামো ভেঙে দিয়ে একটি অস্থায়ী পাস ব্যবস্থা চালু করেছি যা নিশ্চিত করছে যে প্রকৃত সাংবাদিকরা সচিবালয়ে প্রবেশাধিকার পাচ্ছেন।এটি প্রবেশাধিকার সীমিত করার জন্য নয় বরং একটি দুর্নীতিগ্রস্ত প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ফিরিয়ে আনার জন্য। আগের অ্যাক্রেডিটেশন নীতিমালায় সাংবাদিকদের সরকারপন্থি অবস্থান নিতে বাধ্য করার শর্ত ছিল। এমনকি এতে কিছু অপমানজনক ধারা ছিল যা সাংবাদিকদের সাংবিধানিক অধিকারের পরিপন্থি। অন্তর্বর্তী সরকার সেটি সংশোধন করেছে। দীর্ঘমেয়াদি নবায়ন সুবিধাসহ নতুন অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড প্রদানের প্রক্রিয়া চলছে।
৪. চাকরির নিরাপত্তা
স্পষ্ট করে বলা প্রয়োজন: যেসব সাংবাদিক তাদের চাকরি হারিয়েছেন, তা সরকারের নির্দেশে নয়, বরং গণমাধ্যম মালিকদের সম্পাদকীয় বা করপোরেট কৌশলগত পুনর্বিন্যাসের কারণে হয়েছে। এগুলো সম্পূর্ণরূপে মালিকপক্ষের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক ও ব্যবসায়িক সিদ্ধান্তের ফল, সরকারের কোনো চাপ বা নির্দেশ নয়।
৫. সাংবাদিকদের নিরাপত্তা: যৌথ দায়িত্ব
আমরা সব নাগরিকের মতো সাংবাদিকদের শারীরিক নিরাপত্তা ও মর্যাদা রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করা আমাদের অগ্রাধিকার, তবে এই দায়িত্ব গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গেও যৌথভাবে ভাগ করে নিতে হবে।
এই বছরের শুরুর দিকে অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে গঠিত মিডিয়া সংস্কার কমিশন একটি নতুন ‘সাংবাদিক সুরক্ষা আইন’ প্রণয়নের প্রস্তাব করেছে, যাতে আইনি সুরক্ষা বৃদ্ধি পায় এবং সরকার বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভয়ের কারণে স্ব-সেন্সরশিপ কমে। সরকার প্রস্তাবিত আইনটি প্রণয়নের বিষয়টি বিবেচনা করছে।
৬. শিল্পের ভেতরেও আত্মসমালোচনার প্রয়োজন
আমরা গঠনমূলক সমালোচনার জন্য উন্মুক্ত থাকলেও নোয়াবকে পরামর্শ দিচ্ছি প্রথমে নিজেদের ভেতরে নজর দিতে। নিজেদের সদস্যদের কার্যকলাপ পরীক্ষা করা উচিত-বিশেষ করে সাংবাদিকদের বেতন বঞ্চনা, শ্রম অধিকার হরণ, সুরক্ষা সরঞ্জাম ছাড়া শত্রুভাবাপন্ন পরিবেশে কাজ করানো এবং অসহনীয় কর্মপরিবেশ সৃষ্টির অভিযোগে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।
একটি সূক্ষ্ম রূপান্তরের সময়কাল পরিচালনার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রশাসন হিসেবে আমরা ইচ্ছাকৃতভাবেই ‘হ্যান্ডস-অফ’ পদ্ধতি বজায় রেখেছি, যাতে গণমাধ্যম ভয় বা হস্তক্ষেপ ছাড়া কাজ করতে পারে। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা আমাদের কাছে কেবল একটি স্লোগান নয়; এটি এমন একটি নীতি, যা আমরা পালন করি।
তথ্যের ভিত্তিতে সুনির্দিষ্টভাবে দায়ী পক্ষকে লক্ষ্য করে উপস্থাপিত হলে নোয়াবের উদ্বেগ অধিক গুরুত্ব পেত। ঘটনাবলির ভুল ব্যাখ্যার ওপর ভিত্তি করে করা সাধারণীকৃত অভিযোগ গণমাধ্যমের স্বাধীনতা অগ্রসর করে না, বরং বাংলাদেশের গণমাধ্যম খাতের প্রকৃত সমস্যাগুলো থেকে মনোযোগ সরিয়ে নেয়।
আমরা স্বচ্ছতা, নিরাপত্তা ও স্বাধীনতার প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং এই মৌলিক মূল্যবোধ রক্ষায় ও উন্নত করতে আমরা সকল অংশীজনকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানাই।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/সাইফ