এই মুহূর্তে বিশ্বের সবচেয়ে দামি ফুটবল ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ, সর্বশেষ মৌসুমে সবচেয়ে বেশি আয়ও করেছে রিয়ালই। এ ছাড়া বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয়তায় এবং মাঠের ফুটবলে সাফল্যেও শীর্ষের দিকে অবস্থান স্প্যানিশ ক্লাবটির। ফুটবল ‘ব্র্যান্ড’ হিসেবে সবচেয়ে মূল্যবান হয়ে ওঠা রিয়াল তার কোচ, খেলোয়াড়দের পেছনে অর্থও ব্যয় করে বিপুল পরিমাণ।
চলতি ২০২৫-২৬ মৌসুমে রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দিয়েছেন নতুন কোচ জাবি আলোনসো। ৪৩ বছর বয়সী আলোনসো একসময় রিয়াল মাদ্রিদেরই খেলোয়াড় ছিলেন। কোচ হিসেবে রিয়াল তাঁকে বেশ ভালো অঙ্কের অর্থই দিতে যাচ্ছে।
সাবেক স্পেন মিডফিল্ডারের বাৎসরিক আয় নিয়ে ‘সেলিব্রিটি নেট ওর্থ’-এর বরাতে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছেন মাদ্রিদভিত্তিক ক্রীড়া দৈনিক মার্কা। সেখানে বলা হয়েছে, আলোনসোর সম্পদের পরিমাণ প্রায় ৬ কোটি মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৭৩৫ কোটি টাকার বেশি।
আলোনসোর সম্পদের উৎস বেশ কয়েকটি।
১.
২. বাণিজ্যিক চুক্তি: আলোনসো বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বাণিজ্যিক চুক্তিতে জড়িত ছিলেন। যেমন অ্যাডিডাস। এখান থেকে অর্থ আয় করেছেন টানা কয়েক মৌসুম।
৩. কোচিং: রিয়াল মাদ্রিদের আগে বায়ার লেভারকুসেন ও রিয়াল সোসিয়েদাদ বি দলের কোচ ছিলেন আলোনসো।
৪. বিনিয়োগ: কোন খাতে কত বিনিয়োগ সেটা সুনির্দিষ্টভাবে জানা যায়নি। তবে আবাসনসহ বিভিন্ন খাতে সম্পদ আছে আলোনসোর।
ম্যাচের মধ্যে দল পরিচালনায় জাবি আলোনসো।উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ভারতে থাকা লালনের গানের পাণ্ডুলিপি ফেরত চাইলেন কুষ্টিয়ার ডিসি
কুষ্টিয়ার আশ্রম থেকে বাউল সম্রাট ফকির লালন শাহের ৩১৪টি গানের মূল পাণ্ডুলিপি ভারতের কলকাতায় নিয়ে গিয়েছিলেন শিলাইদহের তৎকালীন জমিদার বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। ঐতিহাসিক সেই গানের পাণ্ডুলিপি বর্তমানে দেশটির পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বীরভূম জেলার ভোলপুর শহরে অবস্থিত শান্তি নিকেতন রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে পাণ্ডুলিপি ফেরত আনার দাবি জানাচ্ছিলেন লালন ভক্ত, অনুরাগী, অনুসারী ও গবেষকরা। তবে তা ফেরত পাওয়া যায়নি।
কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক (ডিসি) আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীন কুষ্টিয়ার ছেঁউড়িয়ার লালন একাডেমিতে পাণ্ডুলিপিগুলো ফেরত চেয়েছেন। এ জন্য সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে লিখিত আবেদন দিয়েছেন তিনি। সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) এ আবেদন পাঠানো হয়েছে।
লিখিত আবেদনে ডিসি উল্লেখ করেছেন, কুষ্টিয়ার ছেঁউড়িয়াস্থ লালন আশ্রম থেকে লালন শাহের গানের একটি খাতা কলকাতায় নিয়ে গিয়েছিলেন কুষ্টিয়ার শিলাইদহের তৎকালীন জমিদার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। যা বর্তমানে শান্তি নিকেতনে সংরক্ষিত আছে। প্রায় ১৩৫ বছরের পুরোনো উক্ত খাতায় লালন শাহের ৩১৪টি গান রয়েছে। ইতোপূর্বে শান্তি নিকেতন থেকে লালন শাহের গানের পাণ্ডুলিপির একটি অনুলিপি প্রেরণ করা হলেও, মূল পাণ্ডুলিপি সেখানেই রয়ে গেছে।
প্রতি বছর লালন তিরোধান দিবস ও লালন স্মরণোৎসব উপলক্ষে কুষ্টিয়ার ছেঁউড়িয়াস্থ লালন একাডেমিতে লক্ষ লক্ষ দেশ-বিদেশি লালন ভক্ত, অনুরাগী, অনুসারী ও লালন গবেষকদের আগমন ঘটে। তাদের সবার পক্ষ থেকে বাউল সম্রাট ফকির লালন শাহের গানের মূল পাণ্ডুলিপি শান্তি নিকেতন থেকে কুষ্টিয়ার ছেঁউড়িয়াস্থ লালন একাডেমিতে ফেরত আনার দাবি উঠেছে। তদুপরি সরকার ১৭ অক্টোবর লালন তিরোধান দিবসকে ‘ক’ শ্রেণির দিবস হিসেবে ঘোষণা এবং জাতীয়ভাবে পালনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় লালন তিরোধান দিবসের গুরুত্ব আরো বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে। ভক্ত, অনুরাগী, অনুসারী ও লালন গবেষকদের দাবির প্রেক্ষিতে লালন গবেষণার কাজে ব্যবহারের জন্য ফকির লালন শাহের গানের মূল পাণ্ডুলিপি শান্তি নিকেতন থেকে সংগ্রহ করে কুষ্টিয়ার ছেঁউড়িয়াস্থ লালন একাডেমিতে সংরক্ষণ করা প্রয়োজন।
এমতাবস্থায় বাউল সম্রাট ফকির লালন শাহের গানের মূল পাণ্ডুলিপি শান্তি নিকেতন থেকে কুষ্টিয়ার ছেঁউড়িয়াস্থ লালন একাডেমিতে ফেরত এনে সংরক্ষণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হলো।
কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীন বলেন, “লালনের ৩১৪টি গানের মূল পাণ্ডুলিপি ফেরত আনার জন্য আমরা সার্বিকভাবে চেষ্টা করছি। আমরা কলকাতা থেকে সেগুলো দ্রুত কুষ্টিয়ায় ফেরত আনতে চাই। এ জন্য সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে লিখিত আবেদন করা হয়েছে।”
ঢাকা/কাঞ্চন/মাসুদ