রোগের আক্রমণ থেকে রক্ষা করতে মানবদেহে রয়েছে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা তথা ইমিউন সিস্টেম। শরীরকে পাহারা দেওয়া এর কাজ। তবে কখনও এই ইমিউন সিস্টেমই শরীরের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। তখন শরীরের গিঁট, মাংসপেশিসহ অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে ব্যথা হয়।
অনেকের ধারণা, বাতজাতীয় রোগগুলো শুধু বৃদ্ধকালে হবে। এটি ভুল। শিশু থেকে ৬০-৭৫ বছর বয়সী মানুষের বাত হতে পারে।এখন পর্যন্ত নিশ্চিত হওয়া যায়নি ঠিক কী কারণে ইমিউন সিস্টেম শরীরকে উল্টো আক্রমণ করে বসে। আবার কারা এ বাতে আক্রান্ত হবেন সেটিও আগাম বলা যায় না। তবে কিছু কারণ বের হয়েছে অনেক দিনের গবেষণায়।
কোমরে যন্ত্রণা, হাঁটুর ব্যথায় ভুগতে দেখা যায় অনেককেই। বয়স বাড়লে এসব সমস্যা বেশি হয়। তবে এখন আর্থ্রাইটিসের মতো রোগ কম বয়সেও হানা দিচ্ছে শরীরে। আর্থ্রাইটিসের মূলত দুটি ভাগ। অস্টিও আর্থ্রাইটিস ও রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস। অনেকেরই ধারণা, আর্থ্রাইটিসের সমস্যা কখনও সঙ্গ ছাড়ে না। চিকিৎসা ও সঠিক খাওয়াদাওয়ার মাধ্যমে ব্যথা কমানো সম্ভব। কয়েকটি খাবার আছে, যা খেলে আর্থ্রাইটিসের ব্যথা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। আর্থ্রাইটিসে ভুগলে রোজের ডায়েটে কোন খাবারগুলো এড়িয়ে চলবেন?
l বাতের ব্যথা থাকলে প্রক্রিয়াজাত খাবার যেমন– সসেজ, বেকন ও হ্যাম খাওয়া যাবে না। এ ছাড়া চিপস, চিজ, পপকর্নের মতো প্যাকেটবন্দি খাবারও আর্থ্রাইটিসের রোগীদের জন্য ক্ষতিকর।
lপ্রক্রিয়াজাত মাংস ও লাল মাংস প্রদাহ বাড়িয়ে দিতে পারে। ফলে বাড়তে পারে বাতের ব্যথা। এই ধরনের মাংসে ইন্টারলিউকিন, সি-রিঅ্যাক্টিভ প্রোটিন ও হোমোসিস্টেইনের মতো উপাদান থাকে, যা প্রদাহ বাড়াতে পারে।
l ওমেগা-৬ যুক্ত খাবার যেমন– সয়াবিন, মাংস, বাদাম ও ভুট্টা হাড়ের ব্যথা বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই এড়িয়ে চলাই ভালো।
l আর্থ্রাইটিসে কাঁচা নুন খাওয়ার অভ্যাস খুবই ক্ষতিকর। কাঁচা নুনে সোডিয়াম ক্লোরাইড থাকে, যা আর্থ্রাইটিসের ব্যথা স্বাভাবিকের চেয়ে দ্বিগুণ করতে সক্ষম।
l চিনি দেওয়া শরবত, নরম পানীয়, সোডা দেওয়া ফলের রস আর্থ্রাইটিসের রোগীদের পক্ষে একেবারেই উপকারী নয়। এগুলো ছাড়াও ভাজাভুজি, তেল-ঝাল-মসলাদার খাবার এড়িয়ে চলাই ভালো। v
 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাকায় রাতভর বৃষ্টি, সকালেই সাঁঝের আবহ

ঢাকায় রাতভর বৃষ্টি হয়েছে। কখনও গুঁড়ি গুঁড়ি, কখনও মুষলধারে। ছিল বজ্রপাত। আজ ভোরের পরও আকাশ ছিল মেঘলা, সূর্যের দেখা মিলেনি। আকাশ কালো মেঘে ঢেকে থাকায় সকালেই তৈরি হয়েছে সাঁঝের আবহ।

রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) মুষলধারে বৃষ্টির কারণে অফিস ও স্কুলগামী মানুষের ভোগান্তি পৌঁছায় চরমে। শহরের বিভিন্ন সড়কে সৃষ্টি হয় জলজট, কোথাও হাঁটুপানি জমে যায়, আবার কোথাও সৃষ্টি হয়েছে যানজট।

ঢাকার মিরপুর, কল্যাণপুর, শ্যামলী, মালিবাগ, সায়েদাবাদ, বাড্ডা ও মগবাজার, বিমানবন্দর সড়কসহ বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতার খবর পাওয়া গেছে। ফলে রিকশা, সিএনজি ও বাসে অতিরিক্ত ভাড়া গুণতে হয়েছে সাধারণ মানুষকে। অফিসগামী অনেকেই বাধ্য হয়ে ভিজে হেঁটে গন্তব্যে পৌঁছেছেন।

মোহাম্মদপুরের কর্মজীবী নাজমুল হক বলেন, “বৃষ্টি শুরু হওয়ার পর বাস পাওয়া মুশকিল হয়ে যায়। ভাড়া দ্বিগুণ, আবার রাস্তায় পানি জমে হাঁটাও দায় হয়ে পড়ে।”

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, সকালের এই প্রবল বর্ষণ মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে হয়েছে। আজ দিনভর রাজধানীসহ দেশের অন্যান্য অঞ্চলেও মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে।

বৃষ্টিতে নগরীর তাপমাত্রা কিছুটা কমলেও ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে সাধারণ মানুষকে। একদিকে যানজট, অন্যদিকে জলজট—সব মিলিয়ে রাজধানীবাসীর দিনের শুরুটা হয়ে ওঠেছে দুর্ভোগের।

মোহাম্মদপুরের বাসিন্দা রুবিনা আক্তার বলেন, “সকাল ৮টা বাজলেও মনে হচ্ছিল এখনো ভোর হয়নি। জানালার বাইরে তাকিয়ে ভেবেছি—এটা কি সকাল, নাকি সাঁঝ?”

আবহাওয়ার সর্বশেষ পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, মৌসুমী বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ হয়ে বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি অংশ বিস্তৃত রয়েছে উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত। বর্তমানে মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় আছে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী ও ময়মনসিংহের কিছু এলাকায় দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমবে।

ঢাকা/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ঢাকায় রাতভর বৃষ্টি, সকালেই সাঁঝের আবহ