বাংলাদেশের প্রগতিশীল চিন্তার জগতে অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী এক উজ্জ্বল নক্ষত্রের নাম। মার্কসীয় দর্শন, ঐতিহাসিক বস্তুবাদ ও দ্বান্দ্বিক বস্তুবাদের আলোকে তিনি সমাজ, রাজনীতি ও সাহিত্যের গভীর বিশ্লেষণ করে গেছেন আজীবন। আজ অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী ৯০তম জন্মদিনে পদার্পণ করছেন। এই দিনে একজন বরেণ্য জ্ঞানতাপসের প্রতিচ্ছবি আমাদের মনে গভীর শ্রদ্ধা জাগিয়ে তোলে, যিনি দশকের পর দশক ধরে বাংলাদেশের সমাজ ও রাজনীতিকে বুঝতে আমাদের পথ দেখিয়েছেন। আমাদের অনেকের কাছে, বিশেষ করে যারা ১৯৮০-এর দশকে বেড়ে উঠেছি, তাঁর কণ্ঠস্বর ছিল এক স্পষ্ট এবং সমালোচনামূলক চিন্তার বাতিঘর।

ব্যক্তি সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর সঙ্গে পরিচয়ের অনেক আগে পরিচয় হয় তাঁর তৎকালীন জনপ্রিয় কলামিস্ট ‘গাছ পাথর’-এর সঙ্গে। তখন আমি নবম শ্রেণিতে পড়ি। আমার কোনো ধারণা ছিল না যে কে এই কলাম লেখেন। দৈনিক সংবাদে ছাপা হওয়া আশির দশকে এই কলাম যেন মধ্যবিত্ত সমাজের মুখপত্র হয়ে উঠেছিল। তাঁর প্রথম বই পড়ি ‘বেকনের মৌমাছিরা’। একগুচ্ছ প্রবন্ধ। সবে ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষা শেষ করেছি। হাতে বেশ সময়। যা পাচ্ছি তাই পড়ার চেষ্টা করেছি। এ রকম সময়ে বন্ধু মাযহার-এর কাছ থেকে পেলাম বইটা। মফঃস্বলে বড় হয়েছি। ফ্রান্সিস বেকন কে জানতাম না। সে কারণে বইটার টাইটেল প্রথম বুঝতে পারিনি। অবশ্য তাতে এই সুপাঠ্য বইটা পড়তে একটুও আটকায়নি। অনেক বক্তব্য তখন ধরাছোঁয়ার বাইরে ছিল। কিন্তু সেই অজ্ঞতাই আমাকে আরও গভীরে যেতে শিখিয়েছিল।

খেয়াল করলে দেখা যাবে তাঁর চিন্তা এবং বিশ্লেষণের ভিত্তি অভিজ্ঞতাবাদী জ্ঞানতত্ত্ব ও মার্কসীয় পদ্ধতি। অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী কেবল একজন লেখক নন; তিনি একজন জনবুদ্ধিজীবী, যার সমগ্র পাণ্ডিত্যপূর্ণ জীবন বাংলাদেশের সমাজের জটিলতা এবং রাজনীতির ব্যবচ্ছেদেই উৎসর্গীকৃত। তাঁর কাজ মার্কসবাদী বিশ্লেষণের সুগভীর প্রয়োগ দ্বারা চিহ্নিত, যেখানে দ্বান্দ্বিক ও ঐতিহাসিক বস্তুবাদকে ব্যবহার করে তিনি সমাজের শ্রেণিসংগ্রাম, রাষ্ট্রের প্রকৃতি, বাংলার মধ্যবিত্তের দ্বিধাদ্বন্দ্ব– সবকিছুই তিনি নির্মোহভাবে বিশ্লেষণ করেছেন। জাতির যাত্রাপথকে রূপদানকারী শক্তিগুলোকে উন্মোচন করেছেন। যদিও তাঁর চিন্তাধারা কখনও কখনও একমুখী মনে হয়েছে; কিন্তু সত্য উন্মোচনের প্রশ্নে তাঁকে আপস করতে দেখা যায় না। তবে বেকনের নিজস্ব অভিজ্ঞতামূলক অনুসন্ধানের প্রতি নিবেদনের মতোই, সত্যের প্রতি তাঁর এই নিবদ্ধ এবং অবিচল অনুসন্ধানই তাঁর বুদ্ধিবৃত্তিক সততাকে সংজ্ঞায়িত করে। মাতৃভূমির সেবায় তাঁর অন্তর্দৃষ্টিপূর্ণ বিশ্লেষণের মাধ্যমে তিনি তাঁর নীতিকে কখনও বিসর্জন দেননি। পক্ষপাতিত্বের বেড়াজাল থেকে মুক্ত হয়ে সত্যকে তুলে ধরার তাঁর অটল অঙ্গীকার তাঁকে এক অনন্য উচ্চতায় প্রতিষ্ঠিত করেছে, তা যতই অস্বস্তিকর বা কঠিন হোক না কেন।

সম্ভবত তাঁর সবচেয়ে গভীর অবদানগুলোর মধ্যে একটি হলো বাঙালি মধ্যবিত্ত শ্রেণি সম্পর্কে অতুলনীয় বোঝাপড়া। সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী নিজেই বাংলার মধ্যবিত্ত সমাজের এক প্রতিনিধি। তাই এই শ্রেণির আকাঙ্ক্ষা, স্ববিরোধিতা, ভণ্ডামি, আত্মসংকট ও প্রগতিশীল সম্ভাবনা– সবই তাঁর লেখায় ধরা পড়েছে অবিচ্ছেদ্য স্বাচ্ছন্দ্যে। তাঁর বিশ্লেষণে মধ্যবিত্তের ‘দোদুল্যমানতা’ কেবল একটি সমাজতাত্ত্বিক ধারণা নয়, বরং এক জীবন্ত বাস্তবতা।
শুধু তত্ত্ব নয়, বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংকট ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে তিনি লালন করেছেন আজীবন। স্বাধীনতার পরের রাষ্ট্রযন্ত্র, সামরিক শাসনের কালো অধ্যায়, গণতন্ত্রের সংগ্রাম– সবই তাঁর লেখনীতে উঠে এসেছে স্পষ্টবাদিতার সঙ্গে। তিনি শুধু বুদ্ধিজীবীই নন, একজন সক্রিয় রাজনৈতিক মানুষ, যার কলম কখনও নতি স্বীকার করেনি।

আমাদের মতো অনেকেরই চিন্তার জগৎ প্রভাবিত হয়েছে তাঁর লেখা দিয়ে। জুলাই অভ্যুথান-পরবর্তী বাংলাদেশে নতুনভাবে জাতির পরিচয়, মুক্তিযুদ্ধ, ধর্মনিরপেক্ষতা, বহুত্ববাদের ধারণাগুলোর নতুন বয়ান নির্মাণের বহুমুখী প্রচেষ্টা সামনে আসছে তখন সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর দৃঢ় কণ্ঠস্বর আরও বেশি প্রাসঙ্গিক। তাঁর জীবন ও কর্ম আমাদের শেখায়– সত্যের পক্ষে দাঁড়ানোর সাহস কখনও অপ্রয়োজনীয় নয়।

অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী শুধু আমাদের সমাজকে পর্যবেক্ষণ করেননি; তিনি তাঁর তীক্ষ্ণ সমালোচনা এবং সুচিন্তিত প্রস্তাবনার মাধ্যমে সক্রিয়ভাবে এর সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তাঁর উত্তরাধিকার অবিচল বুদ্ধিবৃত্তিক সততা, সত্যের নিরন্তর অনুসন্ধান এবং তাঁর দেশ ও মানুষের প্রতি গভীর ভালোবাসা দ্বারা চিহ্নিত। তাঁর ৯০তম জন্মদিনে আমরা কেবল একজন বিশাল পণ্ডিত এবং নির্ভীক জনবুদ্ধিজীবীর প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছি না, বরং এমন একটি মনের স্থায়ী প্রভাবকেও স্বীকার করছি যা আমাদের ক্রমাগত ভাবতে, প্রশ্ন করতে এবং একটি উন্নত বাংলাদেশের জন্য সংগ্রাম করতে অনুপ্রাণিত করেছে। তাঁর ‘গাছ পাথর’ হয়তো একটি ছদ্মনাম ছিল; কিন্তু তাঁর জ্ঞান সর্বদা স্পষ্ট, শক্তিশালী এবং নিঃসন্দেহে তাঁর নিজস্ব।


অধ্যাপক ড.

কাজী মারুফুল ইসলাম : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের শিক্ষক
 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স র জ ল ইসল ম চ ধ র র জন ত আম দ র

এছাড়াও পড়ুন:

কুয়েত থেকে হুইলচেয়ারে ফিরছেন কর্মক্ষমতা হারানো প্রবাসীরা

পরিবার ও নিজের ভাগ্যের চাকা ঘোরাতে বছরের পর বছর প্রবাসে অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন অসংখ্য বাংলাদেশি। কিন্তু অনেক সময়ই কঠোর পরিশ্রম আর অসাবধানতার কারণে তাদের ভাগ্যের চাকা উল্টো পথে ঘুরতে শুরু করে

 শারীরিক অসুস্থতা তাদের জীবনের গতি থামিয়ে দেয়। তখন তাদের সামনে দেশে ফিরে যাওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় থাকে না।

সম্প্রতি কুয়েত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বাংলাদেশ বিমানের চেক-ইন কাউন্টারে এমন করুণ দৃশ্যই দেখা গেছে। একই ফ্লাইটে অন্তত ১০ জন বাংলাদেশি প্রবাসী হুইল চেয়ারে করে দেশে ফিরছেন। তাদের কেউ দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন, কেউ স্ট্রোকের শিকার হয়েছেন, আবার কেউ দীর্ঘদিনের অসুস্থতায় একেবারেই দুর্বল হয়ে পড়েছেন।

আরো পড়ুন:

নীলফামারীতে ৫ রেমিট্যান্স প্রেরণকারীকে সম্মাননা

জুলাইয়ের ৩০ দিনে রেমিট্যান্স ২৩৬ কোটি ডলার ছাড়িয়েছে

কুয়েতে কর্মরত বাংলাদেশি প্রবাসীরা তুলনামূলক কম পারিশ্রমিকে কাজ করেন। অসুস্থ হলে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা ব্যয় অনেক বেশি হওয়ায় অনেকে ছোটখাটো অসুস্থতা এড়িয়ে যান।

জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশন কুয়েতের সভাপতি আব্দুল হাই মামুন জানান, এই উপেক্ষা একসময় বড় আকার ধারণ করে, যা তাদের একেবারেই কর্মহীন করে দেয়। তখন তাদের দেশে ফেরা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকে না। এই অসুস্থতার কারণে দেশে ফিরতে বাধ্য হওয়া প্রবাসীরা শুধু যে উপার্জনের পথ হারান তা-ই নয়, জমানো টাকাও চিকিৎসার পেছনে খরচ হয়ে যায়।

নরসিংদীর হাসান উল্লাহ প্রায় অন্ধ হয়েই কুয়েত ছেড়েছেন। আর টাঙ্গাইলের ইয়ার হোসেন স্ট্রোক করে দেশে ফিরছেন। ১৩ বছর প্রবাসজীবন শেষে অসুস্থ শরীরে দেশে ফিরছেন কুমিল্লার নাহিদ ইসলাম। এই প্রবাসীরা দেশে ফিরে সুস্থ জীবনের স্বপ্ন দেখলেও, তাদের আর্থিক অবস্থা খুবই নাজুক।

বিমানবন্দরের নিয়ম অনুযায়ী, শারীরিকভাবে অসুস্থ কোনো যাত্রীর সঙ্গে একজন সহযোগী থাকা বাধ্যতামূলক। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে হুইল চেয়ারে ফেরা এসব প্রবাসীর পক্ষে তা সম্ভব হয় না। এমন পরিস্থিতিতে কুয়েতে বাংলাদেশ বিমানের স্টেশন ম্যানেজার মোহাম্মদ শাহজাহান একজন দৃষ্টিহীন প্রবাসী যাত্রীকে ঢাকা যাওয়ার সুযোগ করে দেন।

প্রবাসী হাসান উল্লাহ একেবারেই চোখে দেখতে না পাওয়ায় তার ফ্লাইটে ওঠা নিয়ে একটি জটিলতা তৈরি হয়েছিল। বিমান কর্তৃপক্ষের প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী, সম্পূর্ণ দৃষ্টিহীন কোনো যাত্রীকে একা ভ্রমণের অনুমতি দেওয়া হয় না। কারণ এতে তার নিরাপত্তা ও ফ্লাইটের অন্যান্য যাত্রীদের জন্য কিছু ঝুঁকি থাকতে পারে।

মোহাম্মদ শাহজাহান এই নিয়ম সম্পর্কে সচেতন ছিলেন এবং হাসান উল্লাহকে ফ্লাইটে যাওয়ার অনুমোদন দেওয়া সম্ভব নয় বলে জানানো হয়। তবে তিনি শুধু নিয়মের গণ্ডিতে আটকে থাকেননি। মানবিকতার দৃষ্টিকোণ থেকে তিনি একটি সমাধান খুঁজে বের করেন।

তিনি ঢাকা যাচ্ছেন এমন একজন যাত্রীকে খুঁজে বের করেন। ওই যাত্রী স্বেচ্ছায় হাসান উল্লাহকে সহযোগিতা করতে রাজি হন। এই সহযাত্রীর সহায়তায় হাসান উল্লাহ নিরাপদে ঢাকা যাওয়ার সুযোগ পান।

মোহাম্মদ শাহজাহান জানান, তারা রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান এবং সিভিল অ্যাভিয়েশনের নিয়ম-বহির্ভূত কোনো কাজ করতে পারেন না। কিন্তু অনেক সময় মানবিক দিক বিবেচনা করে তারা সাধ্যমতো বাংলাদেশি নাগরিকদের সহযোগিতা করে থাকেন।

অন্যদিকে, বাংলাদেশ বিমানের চেক-ইন কাউন্টারের প্রতিনিধি পলাশ মোহাম্মদ মানবিক কারণে অনেক অসুস্থ প্রবাসীকে অন্য যাত্রীর সঙ্গে সমন্বয় করে দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করছেন।

পলাশ মোহাম্মদ জানান, প্রতিদিন গড়ে ৫ থেকে ৭ জন বাংলাদেশি হুইলচেয়ারে করে কুয়েত ছাড়েন। এই রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের সেবা দিতে পেরে তিনি নিজেকে গর্বিত মনে করেন।

আমিরাত এয়ারলাইন্সের কুয়েত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বোর্ডিং গেট ও চেক-ইন কাউন্টারের জুনিয়র কর্মকর্তা সেলিম মিয়া প্রবাসী বাংলাদেশি যাত্রীদের স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি জানান, আমিরাত এয়ারলাইন্স এর চেক-ইন কাউন্টার দিয়ে হুইল চেয়ার ব্যবহার করে কুয়েত ত্যাগ করছেন এমন প্রবাসী বাংলাদেশির সংখ্যা বাড়ছে।

সেলিম মিয়া ব্যক্তিগতভাবে অসুস্থ যাত্রীদের সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তা দিয়ে থাকেন। তার মতে, প্রবাসীদের নিজেদের শারীরিক স্বাস্থ্যের প্রতি আরো সচেতন হওয়া অত্যন্ত জরুরি। যদি এ বিষয়ে সচেতনতা না বাড়ে, তাহলে ভবিষ্যতে হুইল চেয়ার ব্যবহার করে দেশে ফিরে যাওয়া যাত্রীর সংখ্যা আরো বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড প্রবাসী শ্রমিকদের কল্যাণে কাজ করে। এই বোর্ডের কাছে অসুস্থ হয়ে দেশে ফেরা প্রবাসীদের জন্য আর্থিক সহায়তার দাবি উঠেছে।

জনপ্রিয় সোশ্যাল অ্যাক্টিভিস্ট আব্দুস ছালেহ দাবি করেন, সরকার যেন এই অসুস্থ প্রবাসীদের কমপক্ষে ১ লাখ টাকা চিকিৎসা সহায়তা দেয়।

সোশ্যাল অ্যাক্টিভিস্ট ও সাংবাদিক মহসিন পারভেজ জানান, তিনি নিজের খরচে অনেক অসুস্থ প্রবাসীকে দেশে পাঠিয়েছেন। অসুস্থ প্রবাসীদের চিকিৎসার সম্পূর্ণ ব্যয়ভার সরকারের বহন করা উচিত।

কুয়েত থেকে দেশে ফেরা প্রবাসী বাংলাদেশিদের বর্তমান চিত্র খুবই উদ্বেগজনক। কুয়েতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের লেবার উইং, কুয়েত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বাংলাদেশ বিমানের চেক-ইন কাউন্টার এবং বাংলাদেশ প্রেস ক্লাব কুয়েতের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, প্রতি মাসে গড়ে প্রায় ১৩ জন প্রবাসী বাংলাদেশি লাশ হয়ে দেশে ফিরছেন।

এই পরিসংখ্যান আরো করুণ হয়ে দাঁড়ায়, যখন দেখা যায় প্রতি মাসে গড়ে ১০০ জন প্রবাসী কর্মী কাজ করার সক্ষমতা হারিয়ে নিঃস্ব হাতে দেশে ফিরছেন। শারীরিক বা মানসিক অসুস্থতা, কাজের সময় দুর্ঘটনা অথবা অন্যান্য অপ্রত্যাশিত ঘটনার কারণে তারা তাদের উপার্জনের ক্ষমতা হারিয়ে ফেলছেন। তাদের কুয়েতে থাকার কোনো উপায় না থাকায়, নিরুপায় হয়ে শূন্য হাতে তাদের প্রিয়জনদের কাছে ফিরে আসতে হচ্ছে।

ঢাকা/হাসান/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সাংবাদিক থেকে সাধারণ মানুষ: সবার জীবন ঝুঁকিতে
  • টের স্টেগেনের অধিনায়কত্ব কেড়ে নিল বার্সা, নতুন অধিনায়ক কে
  • সাংবাদিক ভাইদের জীবনের নিরাপত্তা কে দিবে, প্রশ্ন তমা মির্জার
  • কমল হাসানের পায়ের ধুলোরও যোগ্য নন শাহরুখ: লিলিপুট
  • যুদ্ধের মধ্যেও কোন গোপন ব্যবস্থায় সরকারি কর্মচারীদের বেতন দিচ্ছে হামাস
  • বুবলীর যত লুক
  • কামাল ও তাঁর তিন সন্তান দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী, প্রতিদিন ‘যুদ্ধ করেও’ কূল খুঁজে পান না
  • আজমেরী বেগমের দুটি কিডনিই বিকল, চান সহায়তা
  • কুয়েত থেকে হুইলচেয়ারে ফিরছেন কর্মক্ষমতা হারানো প্রবাসীরা
  • টানা তিন দিন ৪ ঘণ্টা করে ঘুমালে শরীরে যেসব পরিবর্তন আসতে পারে