এনসিপি অফিসের সামনে ফের ককটেল নিক্ষেপ, আহত ৪
Published: 23rd, June 2025 GMT
রাজধানীর বাংলামোটরে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয় রূপায়ন ট্রেড সেন্টারের নিচে দলটির নেতাকর্মীদের লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপ করা হয়েছে। ককটেল বিস্ফোরিত হয়ে চারজন আহত হয়েছেন বলে এনসিপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। এ সময় দলটির সদস্যসচিব আখতার হোসেনও সেখানেই ছিলেন। তবে তিনি নিরাপদ আছেন।
সোমবার রাত ১০টা ৪০ মিনিটে রূপায়ণ ট্রেড সেন্টারের সামনে এই ককটেল হামলার ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে এনসিপি। এর প্রতিবাদে তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ মিছিল করেছে দলের নেতারা। এর আগে রোববার রাতেও একই স্থানে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব (দপ্তর) সালেহ উদ্দীন সিফাত বলেন, ‘এনসিপি অফিস ভবনের সামনে অজ্ঞাতনামা কেউ ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। অফিসের নিচে তখন সদস্যসচিব আখতার হোসেন দাঁড়িয়েছিলেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে এই সন্ত্রাসীকে শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করতে হবে। দেশকে অস্থিতিশীলতার দিকে নিয়ে যেতে চাওয়া পতিত স্বৈরাচারী সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ও এর সকল সন্ত্রাসী অংশীদারদের নিরস্ত্র করতে ব্যর্থ হলে ম্যাজিস্ট্রেসির দায়িত্বে নিয়োজিত সেনা ও নাগরিকদের নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত পুলিশ সদস্যদের এই ব্যর্থতার দায় নিতে হবে।’
এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বলেন, ‘আখতার হোসেন রূপায়ণ টাওয়ারের কার্যালয়ের নিচে নামলে তাঁকে ঘিরে ৫০-৬০ জন লোক ছিলেন। বাংলামোটর মোড়ে সিগন্যাল ছাড়ার পর হঠাৎ সাদা রঙের একটা হাইয়েস গাড়ি থেকে নেতাকর্মীদের লক্ষ্য করে একটি ককটেল ছুড়ে মারা হয়। ককটেল ছোড়ার সঙ্গে সঙ্গে গাড়িটি টান দিয়ে চলে যায়।’
ককটেলটি সরাসরি কারও গায়ে না লাগলেও কয়েকজনের শরীরের কাছাকাছি জায়গায় পড়েছে বলে জানান আরিফুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘ককটেল বিস্ফোরিত হয়ে এনসিপির শ্রমিক উইংয়ের সংগঠক শফিকুল ইসলাম ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের হাজারীবাগ থানা শাখার জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব সুমন হোসেন আহত হয়েছেন। এ ছাড়া এনসিপি কার্যালয়ের কর্মচারী মনিরও সামান্য আহত হয়েছেন।’
এদিকে এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব জয়নাল আবেদীন শিশির জানিয়েছেন, আহতরা হলেন- এনসিপির শ্রমিক উইং কেন্দ্রীয় সংগঠক শফিকুল ইসলাম, যুবশক্তির কেন্দ্রীয় সংগঠক আব্দুর রব, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন হাজারীবাগ থানার সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব সুমন হোসেন ও এনসিপির ঢাকা মহানগর নেতা আসিফ উদ্দিন সম্রাট।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: জ ত য় ন গর ক প র ট এনস প আখত র হ স ন য গ ম সদস যসচ ব ককট ল ব স ফ র ল ইসল ম এনস প র
এছাড়াও পড়ুন:
যুদ্ধবিরতিতে রাজি ইরান-ইসরায়েল: ডোনাল্ড ট্রাম্প
হামলা পাল্টা হামলার মধ্যে চলা তীব্র উত্তেজনার মধ্যে ইরান ও ইসরায়েল যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেন, সম্পূর্ণ ও পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে দুই দেশ। এই যুদ্ধবিরতি চলমান সংঘাতের অবসানের পথে নিয়ে যাবে। আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে ইসরায়েল এবং ইরানের মধ্যে একটি যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে। খবর-আল জাজিরা
তবে ইরান জানিয়েছে, তারা এখনও যুদ্ধবিরতির কোনো প্রস্তাব পায়নি এবং তাদের কাছে এমন কোনো প্রস্তাবের প্রয়োজনও নেই। তেহরানের এক শীর্ষ সরকারি কর্মকর্তা সিএনএনকে এ কথা জানিয়েছেন।
ওই কর্মকর্তা বলেছেন, ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের বক্তব্য আমাদের কাছে প্রতারণার অংশ। এর মাধ্যমে তারা ইরানে হামলার যুক্তি দাঁড় করাতে চায়। এই মুহূর্তে শত্রু পক্ষ ইরানের ওপর আগ্রাসন চালাচ্ছে। আর ইরান প্রতিশোধমূলক হামলা আরও জোরদার করার চূড়ান্ত পর্যায়ে। আমরা শত্রুর মিথ্যা কথায় কান দিচ্ছি না।
ইসরায়েলের পক্ষ থেকে এখনও যুদ্ধবিরতির বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়নি।
যুদ্ধবিরতির বিষয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ১২ ঘন্টার জন্য একটি সম্পূর্ণ যুদ্ধবিরতি মেনে চলার জন্য একমত হয়েছে ইসরায়েল ও ইরান। যুদ্ধবিরতির সময় এক পক্ষ অন্য পক্ষের প্রতি শান্তিপূর্ণ ও শ্রদ্ধাশীল থাকবে।
তিনি বলেন, সবকিছু যেমনটি করা উচিত তেমনভাবে হবে। এই ধারণার উপর ভিত্তি করে আমি উভয় দেশ- ইসরায়েল ও ইরানকে অভিনন্দন জানাতে চাই, তাদের দৃঢ়তা, সাহসের অবসান ঘটানোর জন্য, যাকে ‘১২ দিনের যুদ্ধ’ বলা উচিত।
মাকির্ন প্রেসিডেন্ট বলেন, এ যুদ্ধ বছরের পর বছর ধরে চলতে পারত এবং সমগ্র মধ্যপ্রাচ্যকে ধ্বংস করে দিতে পারত। কিন্তু তা হয়নি, এবং কখনও হবেও না! ঈশ্বর ইসরায়েলকে আশীর্বাদ করুন, ঈশ্বর ইরানকে আশীর্বাদ করুন, ঈশ্বর মধ্যপ্রাচ্যকে আশীর্বাদ করুন। ঈশ্বর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে আশীর্বাদ করুন এবং ঈশ্বর বিশ্বকে আশীর্বাদ করুন!
ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলার জবাবে কাতার ও ইরাকে মার্কিন ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। এ অবস্থায় সংঘাত আরও চরমে পৌঁছার আশঙ্কার মধ্যে ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই ঘোষণা মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা নিরসনে একটি বড় অগ্রগতি বলে মনে করা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের দুই কর্মকর্তার সূত্রের বরাত দিয়ে সিএনএন জানিয়েছে, পাল্টাপাল্টি হামলার মধ্যেও ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফ ইরানের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন। ওয়াশিংটন ডিসির স্থানীয় সময় শনিবার সন্ধ্যায় ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পরও এই যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে। কূটনৈতিক সমাধানের পথ খোলা রাখতেই এই উদ্যোগ নিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন।