ঢাকার বাংলামোটরে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয় রূপায়ন ট্রেড সেন্টারের নিচে ককটেল নিক্ষেপ করা হয়েছে। এতে দলের তিন জন আহত হয়েছেন বলে এনসিপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। 

সোমবার (২৩ জুন) রাত সোয়া ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এর প্রতিবাদে তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ মিছিল করেছে দলের নেতারা। এর আগে রবিবার রাতেও একই স্থানে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। 

আহতরা হলেন, এনসিপির শ্রমিক উইং কেন্দ্রীয় সংগঠক শফিকুল ইসলাম, যুবশক্তির কেন্দ্রীয় সংগঠক আব্দুর রব ও এনসিপির ঢাকা মহানগর নেতা আসিফ উদ্দিন সম্রাট।

এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব বলেন, “সদস্যসচিব আখতার হোসেন রূপায়ণ টাওয়ারের কার্যালয়ের নিচে নামলে তাঁকে ঘিরে ৫০-৬০ জন লোক ছিলেন। বাংলামোটর মোড়ে সিগন্যাল ছাড়ার পর হঠাৎ সাদা রঙের একটা হাইয়েস গাড়ি থেকে নেতাকর্মীদের লক্ষ্য করে একটি ককটেল ছুড়ে মারা হয়। ককটেল ছোড়ার সঙ্গে সঙ্গে গাড়িটি চলে যায়। এতে তিন জন আহত হন। তবে আখতার হোসেনের কোনো সমস্যা হয়নি।” 

ঢাকা/বুলবুল/ইভা 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর এনস প র ককট ল

এছাড়াও পড়ুন:

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘পূর্ণাঙ্গ শাটডাউন’ কর্মসূচির ঘোষণা জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সহ-উপাচার্য, প্রক্টর, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ওপর হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম। সংগঠনটি বলছে, ছাত্র নামক সন্ত্রাসীদের শাস্তি নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস-পরীক্ষাসহ সব ধরনের কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ (পূর্ণাঙ্গ শাটডাউন) থাকবে।

সোমবার রাতে রাবির জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক মো. আবদুল আলিম এবং সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মোহাম্মাদ আমীরুল ইসলাম এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, ২০ সেপ্টেম্বর দুপুরে রাবির সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) দাপ্তরিক কাজ শেষে দুপুরের খাবারের জন্য বাসায় যাওয়ার জন্য গাড়িতে ওঠেন। এ অবস্থায় কতিপয় ছাত্র তাঁকে গাড়ি থেকে জোরপূর্বক নামিয়ে গাড়ির চাবি ছিনিয়ে নেয় ও অশালীন উক্তি করে। এরপর তিনি হেঁটে তাঁর বাসভবনে ঢুকতে গেলে প্রধান ফটকে তারা তালা দেয়। এমন পরিস্থিতিতে সহ-উপাচার্য জুবেরী ভবনের দিকে যেতে চাইলে এই ছাত্র নামক সন্ত্রাসীরা তাঁকেসহ প্রক্টর, সহকারী প্রক্টর, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ওপর বর্বরোচিত হামলা করে। এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে ২১ সেপ্টেম্বর থেকে পূর্ণাঙ্গ শাটডাউন কর্মসূচি চলমান রয়েছে।

এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার বেলা ১১টায় শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ব্যানারে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে বক্তারা ‘সন্ত্রাসীদের’ বহিষ্কার এবং ক্যাম্পাসের শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ রক্ষা ও শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও ছাত্রদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জোরালো দাবি জানান।

সম্পর্কিত নিবন্ধ