উপমহাদেশের কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী রাহাত ফতেহ আলী খান। মূলত কাওয়ালিশিল্পী হলেও বিশেষ কারণে তিনি অন্য অনেকের চেয়ে আলাদা। বাংলাদেশেও রয়েছে তার কোটি ভক্ত। সেই ভক্তদের জন্য এবার বাংলা গানে কণ্ঠ দিলেন এই সঙ্গীতগুরু। গানের শিরেনাম ‌‘তুমি আমার প্রেম পিয়াসা’।

গানটিতে তার সঙ্গে কণ্ঠ দিয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ কণ্ঠশিল্পী রুবাইয়াত জাহান। সম্প্রতি দুবাইয়ের ‘প্লেব্যাক ক্রিয়েটিভ স্টুডিও’তে কণ্ঠ দিয়েছেন রাহাত ফাতেহ আলী খান ও রুবাইয়াত জাহান।

গানটি লিখেছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত গীতিকার কবির বকুল। সুর ও সঙ্গীতায়োজনে ছিলেন রাজা কাশেফ।

 রাহাত ফাতেহ আলী খানের সঙ্গে দ্বৈত গান গাইতে পেরে উচ্ছ্বসিত রুবাইয়াত জাহান। টেলিফোনে তিনি বলেন, ‌“লন্ডনে রাহাত ফতেহ আলী খানের সঙ্গে দেখা হলে তিনি জানান বাংলা গানের প্রতি তার ভালোবাসার কথা। তিনি এও বলেন, তিনি বাংলা গান গাইতে চান। তখন রাজা কাশেফ তাকে এই গানটি করা প্রস্তাব দেন। তিনি রাজী হয়ে গেলেন এবং খুব আন্তরিকতার সঙ্গে গানটি গাইলেন।”


রাহাত ফাতেহ আলী খান ও রাজা কাশেফ

রুবাইয়াত আরও বলেন, ‘গানটির কথা, সুর ও সঙ্গীত দারুণ। আমি মনে করি এটা আমার জীবনের অন্যতম একটি অর্জন। আমি আমার গায়কীর সেরাটা দিয়েছি এই গানে। আশা করছি শ্রোতাদের ভালো লাগবে।’

গানটির আয়োজক, সুরকার ও সঙ্গীত পরিচালক রাজা কাশেফ জানালেন, ‘শিগগিরই লন্ডনের বিভিন্ন লোকেশনে গানটির ভিডিও চিত্রায়ন করা হবে। তারপর প্রকাশ করা হবে বিশেষ এই গানটি।’

‌‘তুমি আমার প্রেম পিয়াসা’ গানটি প্রকাশ করছে দেশের অন্যতম অডিও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ধ্রুব মিউজিক স্টেশন (ডিএমএস)।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র হ ত ফ ত হ আল খ ন ত হ আল

এছাড়াও পড়ুন:

যাচাই-বাছাই ছাড়াই ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন হাসনাত: দুদক

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহর একটি পোস্ট দৃষ্টি গোচর হয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক)। সংস্থাটি বলছে, পোস্টটিতে তিনি যাচাই-বাছাই ছাড়াই দুদকের মহাপরিচালকসহ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মানহানিকর বক্তব্য দিয়েছেন।এ বিষয়ে সবার অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে, একটি প্রতারক দুদকের চেয়ারম্যান, মহাপরিচালক বা কর্মকর্তা পরিচয়ে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার কথা বলে প্রতারণা করে আসছে। এর সঙ্গে দুদকের কর্মকর্তাদের কোনো সম্পর্ক নেই। 

মঙ্গলবার দুদক মহাপরিচালক ও মুখপাত্র মো. আক্তার হোসেন সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। 

তিনি আরও বলেন, দুদক ইতোমধ্যে এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নিয়েছে এবং প্রতারক চক্রের অনেককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর আগেও দুদক প্রতারণা রোধে সবাইকে সতর্ক করে আসছে। যা বিভিন্ন জাতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এমন প্রতারণার শিকার হয়ে অনেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দুদককে দোষারোপ করে, যার ফলে দুদকের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়।

দুদক মহাপরিচালক বলেন, প্রতারণামূলক ফোন কল, বার্তা বা ব্যক্তিগত যোগাযোগের মাধ্যমে কারও কাছ থেকে টাকা চাওয়া হলে কিংবা কোনো প্রতারণা বা অনিয়মের তথ্য পাওয়া গেলে দুদকের টোল ফ্রি হটলাইন-১০৬ নম্বরে জানানোর অথবা নিকটস্থ দুদক কার্যালয় বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হলো।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ