রপ্তানিযোগ্য ও নিরাপদ আম উৎপাদনকে উৎসাহিত করতে রাজশাহীতে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী আম মেলা। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ের অতিরিক্ত পরিচালকের কার্যালয় চত্বরে মেলার আয়োজন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৪ জুন) বিকেলে প্রধান অতিথি হিসেবে বেলুন-ফেস্টুন উড়িয়ে মেলার উদ্বোধন করেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান।

‘রপ্তানিযোগ্য আম উৎপাদন প্রকল্প’-এর আওতায় আয়োজিত এ মেলা চলবে আগামী ২৬ জুন পর্যন্ত। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য মেলা খোলা থাকবে। মেলায় সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মোট ২১টি স্টলে আমসহ প্রায় ১৫০ প্রকারের দেশীয় ফলের প্রদর্শনী করা হচ্ছে।

রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে রপ্তানিযোগ্য আম উৎপাদন (১ম সংশোধিত) প্রকল্পের আওতায় মেলায় সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মোট ২১টি স্টল স্থান পেয়েছে। যেখানে আমসহ বিভিন্ন রকমের দেশীয় ফলের প্রদর্শনী করা হচ্ছে। আর শুধু আমই আছে শতাধিক জাতের। এর মধ্যে ল্যাংড়া, হাশিখুশি গুটি, জরদাগুটি, দুধস্বর, হিমগুটি, ফজলি গুটি, লখনা, আশ্বিনা, পেতা, রেড পালমার, বোম্বাই গুটি, মল্লিকা, হাঁড়িভাঙ্গা, লম্বাভাদ্রি, কাচা মিঠাই, মোহনা, ছিনুক আশ্বিনা, আড়াজাম, মিশ্রিকান্ত গুটি উল্লেখযোগ্য।

আরো পড়ুন:

৪ দিনে আমিরের সিনেমার আয় ১৩৪ কোটি টাকা

বিরতি ভেঙে ফিরলেন আমির: কত টাকা আয় করল ‘সিতারে জমিন পার’?

আয়োজকরা জানান, এ মেলার মাধ্যমে কৃষকরা দেশি-বিদেশি বিভিন্ন জাতের আম নিজ দেশের মাটিতে চাষ করার পদ্ধতি সম্পর্কে ধারণা নিতে পারবেন। এতে আম চাষ করে বিদেশে রপ্তানির মাধ্যমে ব্যাপক লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি যারা স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ রয়েছে তাদের জন্যও এ মেলাটি ব্যাপক ভূমিকা রাখবে। এ মেলায় আম সংরক্ষণ ও আম চাষে প্রতিকূলতার সকল সমাধান নিয়ে বিভিন্ন স্টল সাজিয়েছেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন, ‘‘বাংলাদেশের আমের সুনাম বিশ্বজুড়ে। অনেক দেশেই আম রপ্তানি হচ্ছে। বিশ্বজুড়ে আম আমাদের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর।’’ তিনি সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে আমের উপস্থিতির কথাও তুলে ধরেন।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রাজশাহী অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক ড.

মো. আজিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার ফারজানা ইসলাম ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. মহিনুল হাসান।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের রাজশাহীর উপপরিচালক উম্মে ছালমা। উপস্থিত ছিলেন পবা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ এম এ মান্নান।
 

ঢাকা/কেয়া/বকুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আম সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

সাবমেরিন ক্যাবলসের ৪০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা

পুঁজিবাজারে টেলিযোগাযোগ খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস পিএলসির (বিএসসিপিএলসি) পরিচালনা পর্ষদ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ৪০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এর পুরোটাই নগদ লভ্যাংশ। প্রতিটি ১০ টাকা মূল্যের শেয়ারের বিপরীতে ৪ টাকা নগদ লভ্যাংশ পাবেন শেয়ারহোল্ডারা।

২০২৫ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য এ লভ্যাংশ ঘোষণা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এর আগে সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠিত কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে সর্বশেষ বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর লভ্যাংশের এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

তথ্য মতে, ঘোষিত লভ্যাংশ শেয়ারহোল্ডারদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৩ নভেম্বর বেলা ১১টায় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে। আর ঘোষিত লভ্যাংশ শেয়ারহোল্ডারদের মাঝে বিতরণে রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ২২ অক্টোবর।

২০২৫ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরের কোম্পানিটির সমন্বিত শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ৯.৯৩ টাকা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা ছিল ১১.০১ টাকা।

এদিকে, সমাপ্ত হিসাব বছরের কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ১৩.৭৫ টাকা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে কোম্পানিটির ঋণাত্মক এনওসিএফপিএস ছিল (১৭.৬৫) টাকা।

২০২৫ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৯০.৯৯ টাকা।

এই করপোরেট ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে এদিন কোম্পানিটির শেয়ারের লেনদেনের কোনো মূল্যসীমা থাকবে না।

ঢাকা/এনটি/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ