সিলেট হেফাজতে বিরোধ, পাল্টা কমিটি ঘোষণা
Published: 24th, June 2025 GMT
কেন্দ্রীয় নেতারা বৈঠক করে সিলেটে হেফাজতে ইসলামের বিরোধ মেটাতে পারেননি। সোমবার রাতে একাংশ বেরিয়ে যাওয়ার পর কেন্দ্রীয় নেতারা জেলা ও মহানগর কমিটি ঘোষণা করেন। আজ মঙ্গলবার পাল্টা হিসেবে মহানগরী কমিটি দিয়েছে অন্য অংশ।
জমিয়ত, নেজামে ইসলাম, ইসলামী ঐক্যজোট ও ইসলামী মোর্চার নেতাকর্মীরা একাংশে রয়েছেন। অন্য অংশে আছেন খেলাফত মজলিস, জমিয়তের আফিন্দি পক্ষসহ কয়েকটি ইসলামী দল।
কেন্দ্রীয় নেতারা সোমবার রাতে নগরীর শামীমাবাদে বৈঠক থেকে দ্বিতীয় অংশকে নিয়ে কমিটি করেন। মহানগরের সভাপতি মুস্তাক আহমেদ খান ও সাধারণ সম্পাদক করা হয় আসজদ আহমেদকে। জেলা কমিটির সভাপতি রেজাউল করিম জালালী ও সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন ইউসুফ আহমেদ কাদিমানি।
বৈঠকে হেফাজতের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব জুনায়েদ আল হাবিব, সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুর রহমান ইসলামাবাদী, অর্থ সম্পাদক মুফতি মুনির হোসাইন কাসেমী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
নতুন কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক চৌধুরী বলেন, ‘উভয়পক্ষকে নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতারা বৈঠক করেন। একপক্ষ চলে যান। পরে উপস্থিত সবার মতামতের ভিত্তিতে জেলা ও নগর কমিটি ঘোষণা করা হয়।’
তবে আজ নগরীর আম্বরখানার একটি হোটেলে অন্য অংশ ৫১ সদস্যের মহানগর কমিটি ঘোষণা করে। এতে প্রিন্সিপাল নাসির উদ্দিনকে সভাপতি, ফয়জুল হক জালালাবাদীকে সাধারণ সম্পাদক ও তোফায়েল আহমদ উসমানীকে সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়। উপদেষ্টা হিসেবে রাখা হয় নেজামে ইসলামের সভাপতি আব্দুর রকিব ও বিএনপি নেতা লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.
তোফায়েল আহমদ উসমানী বলেন, ‘আমরা আল্লামা শফি ও বাবুনগরী যেমন চাইতেন, তেমন হেফাজত চাই। কিন্তু অন্যরা রাজনৈতিক বিবেচনায় তোষামোদকারী নিয়ে কমিটি করতে চান। এ নিয়েই বিরোধ দেখা দেয়।’ তাঁর অভিযোগ, সমঝোতার বৈঠক থেকে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, ইসলামী ঐক্যজোট, নেজামে ইসলাম ও ইসলামী মোর্চার নেতাকর্মীকে বের করে দেওয়া হয়।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
এক নীতির বাংলাদেশ হবে, বিদেশি কোনো প্রভু থাকবে না: সালাহউদ্দিন আহমদ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, এই বাংলাদেশ হবে এক নীতির বাংলাদেশ। সবার আগে বাংলাদেশ। বিদেশি কোনো প্রভু থাকবে না, বন্ধু থাকবে। এই বাংলাদেশ তাবেদারমুক্ত থাকবে।
আজ বুধবার বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হওয়া বিজয় র্যালি-পূর্ব সমাবেশে এ কথা বলেন সালাহউদ্দিন আহমদ। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের প্রথম বর্ষপূর্তিতে রাজধানী ঢাকায় এই ‘বিজয় র্যালি’ করেছে বিএনপি। এতে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
স্বাধীন সার্বভৌম গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে এই বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করার আশাবাদ ব্যক্ত করে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘এই ঐক্য হবে ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্য। ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্য হবে আমাদের শক্তি। এই শক্তিকে সমুন্নত রেখে এই জাতিকে শীর্ষ উচ্চতায় নিয়ে যাব। সমৃদ্ধির শিখরে নিয়ে যাব। আমাদের শক্তি হবে আমাদের ঐক্য।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, গণতান্ত্রিক শক্তির মধ্যে তাঁরা কোনো বিভেদ চান না। যারা বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টা করছে, তারা বাংলাদেশের পক্ষের শক্তি না। যারা নির্বাচনের বিপক্ষে কথা বলছে, তারা বাংলাদেশের পক্ষের শক্তি না। যারা ঐক্য ভঙ্গের চেষ্টা করছে, তারা বাংলাদেশের পক্ষের শক্তি না। বাংলাদেশের পক্ষের শক্তিকে সঙ্গে নিয়ে, গণতন্ত্রের সব পক্ষকে সঙ্গে নিয়ে সংস্কারের সঙ্গে সবাই মিলে এগিয়ে যেতে হবে। এই রাষ্ট্রকে পৃথিবীর বুকে সমৃদ্ধি ও শক্তিশালী রাষ্ট্রে পরিণত করা হবে।
শোভাযাত্রা-পূর্ব সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, যখনই দেশে গণতন্ত্র হত্যার চেষ্টা হয়েছে, তখনই জনগণ তা প্রতিহত করেছে। আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র হত্যার পক্ষে ছিল বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই জ্যেষ্ঠ সদস্য বলেন, ‘অতি দ্রুত আগামী জাতীয় নির্বাচনের দিন তারিখ ঘোষণা করবে বলে আশা করছি।’ তবে নির্বাচন ঠেকাতে বিরোধী শক্তি ষড়যন্ত্র করছে বলেও মনে করেন তিনি। নির্বাচন নিয়ে যেন কেউ ষড়যন্ত্র না করতে পারে, সে জন্য সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান তিনি।
জুলাই ঘোষণাপত্রে জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার নাম না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন মির্জা আব্বাস। সমাবেশে তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার নাম না থাকার বিষয়টি তাঁকে পীড়া দিয়েছে। এরপরও জুলাই ঘোষণাপত্র প্রকাশ করার কারণে স্বাগত জানান তিনি।
সমাবেশে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গত বছরের জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানে সেনাবাহিনীর সহযোগিতার জন্য তাঁদের ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, বিএনপি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করেছে, মাথা নত করেনি।
র্যালি-পূর্ব সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। সঞ্চালনায় ছিলেন বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু। এতে আরও বক্তব্য দেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল আলম ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক।
আরও পড়ুননির্বাচন নিয়ে দোদুল্যমানতা কেটে গেছে: সালাহউদ্দিন আহমদ১৯ ঘণ্টা আগে