৮১ হাজার টাকা দিয়ে খামার শুরু, এখন তিনি কোটিপতি
Published: 28th, June 2025 GMT
সংসারের টানাপোড়েন রোধে ছেলেকে বিদেশে পাঠাতে চেয়েছিলেন কৃষক বাবা; কিন্তু ছেলে চেয়েছিলেন দেশে থেকে পড়াশোনার পাশাপাশি কিছু করার। ১৫ বছর আগে বাবার কাছ থেকে ৮১ হাজার টাকা নিয়ে বাড়ির পাশে মুরগির খামার শুরু করেন তিনি। লাভের টাকায় জমি কিনে পাঁচটি পুকুর কেটে মাছ চাষ করেন। এরপর একে একে হাঁস, ছাগল ও গরুর খামার গড়েছেন। এখন তিন কোটি টাকার সম্পদের মালিক তিনি। খামারগুলো থেকে প্রতিবছর আয় হচ্ছে ৩০ লাখ টাকা।
সফল এই খামারির নাম মশিউর রহমান। তাঁর বাড়ি রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার দামোদরপুর ইউনিয়নের মৌলভীপাড়া গ্রামে। বাবার নাম রফিকুল ইসলাম। চার ভাইবোনের মধ্যে তিনি বড়। রংপুরের কারমাইকেল কলেজের ইতিহাস বিভাগ থেকে ২০১৭ সালে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। বর্তমানে তাঁর খামারে কাজ করছেন ২১ জন। তাঁর অনুপ্রেরণায় এলাকার অনেকে খামার গড়ে স্বাবলম্বী হয়েছেন। সম্মাননা হিসেবে উপজেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ মৎস্যচাষির পুরস্কারও পেয়েছেন।
মশিউর রহমান বলেন, ‘একসময় সমাজ ও বাড়িতে অবহেলিত ছিলাম। চাকরি করলে নিজে হয়তো ভালো থাকতে পারতাম। কিন্তু ২১টি পরিবারকে ভালো রাখতে পারতাম না। আজ নিজেরা যেমন ভালো আছি, তেমনি ওই পরিবারগুলোও ভালোভাবে চলছে। খামার গড়ার এটাই বড় সার্থকতা।’
খামারি হওয়ার গল্প তুলে ধরে মশিউর জানান, কৃষক বাবার কিছু আবাদি জমি ছিল। সংসারে টানাপোড়েন লেগেই থাকত। বাবা চাইতেন বড় ছেলে হিসেবে বিদেশে পাঠিয়ে সংসারের অভাব ঘোচাতে; কিন্তু তিনি বিদেশে যেতে রাজি হননি। বাড়িতে বসে কিছু করার কথা ভাবেন। একদিন কলেজে যাওয়ার পথে মুরগির খামার দেখে খামার গড়ার কথা মাথায় আসে। কিন্তু টাকা কোথায় পাবেন। বাবার কাছে চাইলে তিনি দিতে রাজি হননি। পরে এক শিক্ষকের মাধ্যমে বাবাকে রাজি করান।
নিজের মুরগির খামারে কাজ করছেন মশিউর রহমান ও তাঁর স্ত্রী সুমি খাতুন.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: খ ম র গড়
এছাড়াও পড়ুন:
সাভারে ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ২৮
সাভারে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আলহাজ আবুল বাশার (৭৫) নামে এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে তিনি মারা যান। এছাড়া, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ভাইরাসে আক্রান্ত ২৮ জন ভর্তি আছেন।
আরো পড়ুন:
রোগী সেজে সাভার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অভিযান দুদকের
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রতিপক্ষের হামলা: গুলিবিদ্ধ যুবকের মৃত্যু
আবুল বাশার ধামরাই উপজেলার বাসনা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি সাভারের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বিনোদ বাইদ এলাকায় পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন। সাভার বাজার রোড বাইতুল নুর জামে মসজিদের ক্যাশিয়ার হিসেবে প্রায় ১০ বছর ধরে কর্মরত ছিলেন তিনি।
স্বজনরা জানান, গত চারদিন ধরে জ্বর ছিল আবুল বাশারের। অবস্থার অবনতি হলে তাকে এনাম মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বৃহস্পতিবার রাতে তিনি মারা যান।
এনাম মেডিকেলের ডিউটি ম্যানেজার মো. মিরাজ বলেন, “আমাদের হাসপাতালে আবুল বাশার নামে এক ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। তিনি নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন ছিলেন।”
সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক ডা. মো. সাইদুল ইসলাম বলেন, “বৃহস্পতিবার শুধু সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ভর্তি রয়েছেন ২৮ জন রোগী। এই উপজেলায় প্রতিদিন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী বাড়ছে।”
ঢাকা/সাব্বির/মাসুদ