জাপান তার শিক্ষাব্যবস্থা, উন্নত জ্ঞান ও প্রযুক্তির কারণে বিশ্বের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় দেশ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। জাপানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো শুধু একাডেমিক কৃতিত্বের দিকে নয়, মানব উন্নয়নের দিকেও মনোযোগ দেয়। বর্তমানে বিশ্বের ১৭০টির বেশি দেশের প্রায় ২ লাখ ২০ হাজার বিদেশি শিক্ষার্থী জাপানের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোয় পড়াশোনা করছেন।

জাপানে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জীবনযাপনের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ রয়েছে। কম অপরাধপ্রবণ ও গণপরিবহনের জন্য বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত দেশটি। স্বাস্থ্যবিমাব্যবস্থাসহ কম খরচে উন্নত চিকিৎসাসেবা পাওয়া যায় এখানে। স্বল্প সম্পদ থাকা সত্ত্বেও দেশটি অর্থনৈতিকভাবে উন্নতি করেছে।

আরও পড়ুনউচ্চশিক্ষায় বিদেশে যেতে প্রস্তুতি কেমন, জেনে নিন ধাপগুলো১৪ এপ্রিল ২০২৪জাপানের শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো—

তোহকু বিশ্ববিদ্যালয়

টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়

ওসাকা বিশ্ববিদ্যালয়

টোকিও ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি

কিয়োটো বিশ্ববিদ্যালয়

কিউশু বিশ্ববিদ্যালয়

হোক্কাইডো বিশ্ববিদ্যালয়

নাগোয়া বিশ্ববিদ্যালয়

সুকুবা বিশ্ববিদ্যালয়

ইন্টারন্যাশনাল ক্রিস্টিয়ান ইউনির্ভাসিটি

জাপানে পড়াশোনা করতে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের এক্সামিনেশন ফর জাপানিজ ইউনিভার্সিটি অ্যাডমিশন ফর ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট-ইজেইউ, জাপানি ভাষার দক্ষতা পরীক্ষা-জেএলপিটি, ইউনিফাইড/কমন ইউনিভার্সিটি এন্ট্রান্স পরীক্ষাসহ কয়েকটি পরীক্ষার মধ্যে একটি দিতে হয়।

আরও পড়ুনচীনে উচ্চশিক্ষা: স্কলারশিপের সঙ্গে আছে পড়ার শেষে চাকরি ও স্থায়ী হওয়ার সুযোগ২৬ আগস্ট ২০২৪

ইজেইউ পরীক্ষা

জাপানের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় আন্ডারগ্র্যাজুয়েটে অধ্যয়ন করতে চাইলে শিক্ষার্থীদের ‘এক্সামিনেশন ফর জাপানিজ ইউনিভার্সিটি অ্যাডমিশন ফর ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট-ইজেইউ’ পরীক্ষা দিতে হয়। এটি আন্ডারগ্র্যাজুয়েটে অধ্যয়নের অন্যতম একটি পরীক্ষার পদ্ধতি। বিজ্ঞানের প্রাথমিক একাডেমিক জ্ঞান, জাপান, বিশ্ব এবং গণিতের জ্ঞান পরিমাপের জন্য এ পরীক্ষা দিতে হয়। এ পরীক্ষা বছরে দুবার হয়। এ পরীক্ষায় পাওয়া স্কোরের মেয়াদ থাকে দুই বছর।

জাপানের মোট ৪৭৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ে কেউ পড়তে চাইলে আবেদনের ইজেইউ স্কোর জমা দিতে বলে। প্রতিবছর জুন ও নভেম্বরে এ পরীক্ষা হয়। ভারতের নয়াদিল্লিসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পরীক্ষাটি অনুষ্ঠিত হয়।

ফাইল ছবি.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: এ পর ক ষ

এছাড়াও পড়ুন:

দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালতকে পৃথক করা হয়েছে, মামলাজট কমার আশা

দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালতকে সম্পূর্ণভাবে পৃথক করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয় আজ বৃহস্পতিবার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

আইন মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালতকে পৃথক করা হয়েছে। এর ফলে মামলা পরিচালনার সময় বাঁচবে এবং মামলার নিষ্পত্তি বহুলাংশে বৃদ্ধি পাবে।

জেলা আদালতগুলোতে যুগ্ম জেলা জজ, অতিরিক্ত জেলা জজ এবং জেলা জজ—এই তিন পর্যায়ের বিচারকেরা একই সঙ্গে দেওয়ানি ও ফৌজদারি (দায়রা) মামলার বিচার করেন। একই বিচারকের ওপর এই দ্বৈত দায়িত্ব মামলাজট এবং বিচারিক দীর্ঘসূত্রতার একটি প্রধান কারণ।

আইন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশের অধস্তন আদালতগুলোতে বর্তমানে বিচারাধীন দেওয়ানি মামলার সংখ্যা প্রায় ১৬ লাখ এবং ফৌজদারি মামলা প্রায় ২৩ লাখ। ফৌজদারি মামলা দেওয়ানি মামলার তুলনায় বেশি হওয়া সত্ত্বেও ফৌজদারি বিচারককে উভয় ধরনের মামলা পরিচালনা করতে হয়। এর ফলে মামলা নিষ্পত্তির গতি হ্রাস পায় এবং মামলাজট বৃদ্ধি পায়।

এই বাস্তবতা বিবেচনায় পৃথক ২০৩টি অতিরিক্ত দায়রা আদালত এবং ৩৬৭টি যুগ্ম দায়রা আদালত প্রতিষ্ঠা করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। এই আদালতগুলোতে বিচারকেরা কেবল ফৌজদারি মামলার বিচার করবেন। ফলে বিচারকদের দ্বৈত দায়িত্বের অবসান ঘটাবে এবং বিচারিক কার্যক্রমে প্রত্যাশিত গতি তৈরি হবে। এই সিদ্ধান্তের ফলে বিদ্যমান মামলাজট উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পাবে বলে আশা করছে আইন মন্ত্রণালয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ