জাপানে উচ্চশিক্ষা: দিতে হবে যে যে পরীক্ষা
Published: 29th, June 2025 GMT
জাপান তার শিক্ষাব্যবস্থা, উন্নত জ্ঞান ও প্রযুক্তির কারণে বিশ্বের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় দেশ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। জাপানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো শুধু একাডেমিক কৃতিত্বের দিকে নয়, মানব উন্নয়নের দিকেও মনোযোগ দেয়। বর্তমানে বিশ্বের ১৭০টির বেশি দেশের প্রায় ২ লাখ ২০ হাজার বিদেশি শিক্ষার্থী জাপানের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোয় পড়াশোনা করছেন।
জাপানে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জীবনযাপনের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ রয়েছে। কম অপরাধপ্রবণ ও গণপরিবহনের জন্য বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত দেশটি। স্বাস্থ্যবিমাব্যবস্থাসহ কম খরচে উন্নত চিকিৎসাসেবা পাওয়া যায় এখানে। স্বল্প সম্পদ থাকা সত্ত্বেও দেশটি অর্থনৈতিকভাবে উন্নতি করেছে।
আরও পড়ুনউচ্চশিক্ষায় বিদেশে যেতে প্রস্তুতি কেমন, জেনে নিন ধাপগুলো১৪ এপ্রিল ২০২৪জাপানের শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো—তোহকু বিশ্ববিদ্যালয়
টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়
ওসাকা বিশ্ববিদ্যালয়
টোকিও ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি
কিয়োটো বিশ্ববিদ্যালয়
কিউশু বিশ্ববিদ্যালয়
হোক্কাইডো বিশ্ববিদ্যালয়
নাগোয়া বিশ্ববিদ্যালয়
সুকুবা বিশ্ববিদ্যালয়
ইন্টারন্যাশনাল ক্রিস্টিয়ান ইউনির্ভাসিটি
জাপানে পড়াশোনা করতে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের এক্সামিনেশন ফর জাপানিজ ইউনিভার্সিটি অ্যাডমিশন ফর ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট-ইজেইউ, জাপানি ভাষার দক্ষতা পরীক্ষা-জেএলপিটি, ইউনিফাইড/কমন ইউনিভার্সিটি এন্ট্রান্স পরীক্ষাসহ কয়েকটি পরীক্ষার মধ্যে একটি দিতে হয়।
আরও পড়ুনচীনে উচ্চশিক্ষা: স্কলারশিপের সঙ্গে আছে পড়ার শেষে চাকরি ও স্থায়ী হওয়ার সুযোগ২৬ আগস্ট ২০২৪ইজেইউ পরীক্ষা
জাপানের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় আন্ডারগ্র্যাজুয়েটে অধ্যয়ন করতে চাইলে শিক্ষার্থীদের ‘এক্সামিনেশন ফর জাপানিজ ইউনিভার্সিটি অ্যাডমিশন ফর ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট-ইজেইউ’ পরীক্ষা দিতে হয়। এটি আন্ডারগ্র্যাজুয়েটে অধ্যয়নের অন্যতম একটি পরীক্ষার পদ্ধতি। বিজ্ঞানের প্রাথমিক একাডেমিক জ্ঞান, জাপান, বিশ্ব এবং গণিতের জ্ঞান পরিমাপের জন্য এ পরীক্ষা দিতে হয়। এ পরীক্ষা বছরে দুবার হয়। এ পরীক্ষায় পাওয়া স্কোরের মেয়াদ থাকে দুই বছর।
জাপানের মোট ৪৭৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ে কেউ পড়তে চাইলে আবেদনের ইজেইউ স্কোর জমা দিতে বলে। প্রতিবছর জুন ও নভেম্বরে এ পরীক্ষা হয়। ভারতের নয়াদিল্লিসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পরীক্ষাটি অনুষ্ঠিত হয়।
ফাইল ছবি.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: এ পর ক ষ
এছাড়াও পড়ুন:
বৃষ্টিদিনে ভবনের যত্ন
বর্ষা মৌসুমে বাতাসে আর্দ্রতা থাকে সর্বোচ্চ, আর এর সঙ্গে ভবনের বিভিন্ন অংশে যদি পানির অনুপ্রবেশ ঘটে, তখনই শুরু হয় ভবনের ড্যাম্পনেস। বর্ষায় ভেজা স্যাঁতসেঁতে ভবনে বসবাস মানেই স্বাস্থ্যঝুঁকি। ড্যাম্পনেস হচ্ছে ভবনের ক্রনিক ডিজিজ, পুরোপুরি নিরাময়যোগ্য নয়, শুধুই সাময়িক ব্যবস্থাপনা!
প্লিন্থ ও ফাউন্ডেশন
বেজমেন্টবিশিষ্ট ভবনের বেজমেন্ট ফ্লোরে সাম্পপিটে জমা পানি অপসারণের জন্য সার্বক্ষণিক সাম্প-পাম্প ব্যবহার করতে হবে। এ ছাড়া সাম্পপিট সংযোগকারী পাইপ নেটওয়ার্কে ব্লকেড বা জ্যাম থাকলে তা পরিষ্কার করতে হবে। বেজমেন্টের রিটেনিং ওয়াল শতভাগ পানি লিকেজ প্রতিরোধী হতে হবে।
বেজমেন্টবিহীন ভবনের চারপাশের ভূমির ঢাল বা স্লোপ যেন বৃষ্টির পানিকে ভবন থেকে দূরে সরিয়ে দেয়, সেটা নিশ্চিত করতে হবে। ভবনের ড্যাম্প প্রুফ কোর্সের উপরিভাগে কোনো লিকেজ আছে কি না, সেটা নিশ্চিত হয়ে প্রয়োজনে মেরামত করতে হবে। ভবনের চারপাশের নর্দমা ও পিটগুলো আবশ্যিকভাবে পরিষ্কার রাখতে হবে।
মাটির নিচের জলাধারের মুখ নিচ্ছিদ্রভাবে বন্ধ রাখতে হবে নতুবা ভারী বর্ষায় বাইরের দূষিত পানি কিংবা ব্যাঙ–পোকামাকড় প্রবেশ করতে পারে।
বাইরের দেয়াল
দেয়ালে ফাটল বা ক্র্যাক দেখা দিলে দ্রুত মেরামত করতে হবে। দেয়ালে কোনো প্রকার গাছ জন্মাতে দেওয়া যাবে না। সানশেড, কার্নিশ বা ড্রোপ ওয়ালের নিচে পানিপ্রতিরোধী জলপট্টি বা ড্রিপ কোর্স রাখতে হবে, যাতে পানি ভবনের দিকে প্রবেশে বাধাগ্রস্ত হয়। ছাদসংলগ্ন প্যারাপেট ওয়ালের টপ ঢাল ভবনের বাইরের দিকে নয়, ছাদের দিকে থাকবে, নতুবা পানি গড়িয়ে বাইরের দেয়ালের রং নষ্টসহ দেয়ালকে ড্যাম্প করে ফেলবে। এ ছাড়া দেয়ালে নির্দিষ্ট উচ্চতা পরপর অনুভূমিক গ্রুভের সংস্থান থাকলে ভবনের বাইরের পানির অবাধ প্রবাহ বাধাপ্রাপ্ত হয়ে দেয়ালকে ড্যাম্পমুক্ত রাখবে। শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্র থেকে নির্গত পানি পাইপের মাধ্যমে নিচের নর্দমায় সংযোগ দিতে হবে। একটি বিশেষ কথা—ভেজা দেয়ালে রং করা যাবে না, প্লাস্টার বা আস্তরের আর্দ্রতা সর্বোচ্চ ১৬ শতাংশ থাকলেই কেবল দেয়ালে রং করা যাবে। বাজারে সাশ্রয়ী দামে ময়েশ্চার মিটার পাওয়া যায়, সংগ্রহে রাখা যেতে পারে।
অভ্যন্তরীণ বায়ুমান নিশ্চিতকরণ
ভবনে বায়ু চলাচল উপযোগী বা ক্রস ভেন্টিলেশন ব্যবস্থা রাখুন। বৃষ্টি না থাকলে জানালা খুলে স্বাভাবিক বায়ু চলাচল নিশ্চিত করুন। প্রয়োজনে ভেন্টিলেটর, এগজস্ট ফ্যান বা ডিহিউমিডিফায়ার ব্যবহার ভবনকে শুষ্ক রাখবে। সিলিং কিংবা ওয়ালে ড্যাম্প স্পট দেখা যাওয়া মাত্র এর উৎস চিহ্নিত করুন, বাথরুম/পাকঘরের পানির লাইন কিংবা বাইরের রেইন ডাউন পাইপের সম্ভাব্য লিকেজ মেরামত করুন। ড্যাম্প স্পটের আস্তর ফেলে দিয়ে সময় নিয়ে পুনরায় আস্তর করুন, এরপর সম্পূর্ণ শুকনা মৌসুমে আর্দ্রতা মেপে রং করুন।
আজকাল বাসাবাড়িতে নানা রকম কৃত্রিম বোর্ডের ইন্টেরিয়র ডেকোরেশন এবং বিল্ট-ইন আসবাব দেখা যায়, বর্ষা মৌসুমে এসব ডেকোরেশন ও আসবাব ড্যাম্প হতে পারে। কাজেই এসব বোর্ডের আসবাব নির্মাণকালে অবশ্যই ভবনের দেয়ালে এনামেল পেইন্ট করে তার ওপরে ৩-৫ মিলিমিটার পিভিসি শিট বসাতে হবে, এর ওপরে বোর্ডের আসবাব ফিক্স করা উচিত, তাহলে এসব আসবাব ও কাপড়চোপড় ড্যাম্পমুক্ত থাকবে।
মোসলেহ উদ্দীন আহাম্মদ অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (অব.) গণপূর্ত অধিদপ্তর