জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) আরও পাঁচ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তাদের বিরুদ্ধে মোটা অঙ্কের ঘুষের বিনিময়ে করদাতাদের করফাঁকির সুযোগ করে দেওয়াসহ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। 

মঙ্গলবার যেসব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু হয়েছে তারা হলেন, এনবিআর সদস্য লুতফুল আজীম, যুগ্ম কমিশনার তারেক হাছান, বৃহৎ করদাতা ইউনিটের অতিরিক্ত কমিশনার আব্দুল রশীদ মিয়া, সিআইসি বিভাগের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন ও কর অঞ্চল-১৬ এর উপ-কর কমিশনার মোহাম্মদ শিহাবুল ইসলাম।

তাদের বিরুদ্ধে করের পরিমাণ কমিয়ে দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে। ফলে সরকার প্রতিবছর বিপুল পরিমাণ রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। কিছু ক্ষেত্রে কর্মকর্তারা ঘুষ না পেয়ে করফাঁকি দেওয়ার মিথ্যা মামলা করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান মালিককে হয়রানি করছেন বলেও দুদকের কাছে তথ্য রয়েছে।

বুধবার দুদকের মহাপরিচালক মো.

আক্তার হোসেন এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, সুনির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতেই তাদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু হয়েছে।

এনবিআরে দুদক আতঙ্ক: এনবিআরের কর্মকর্তা-কর্মচারিরা গত রোববার আন্দোলন থেকে সরে দাঁড়ালেও বোর্ডের ১১ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান শুরু হওয়ায় তাদের মাঝে উদ্বেগ, উৎকন্ঠা দেখা দিয়েছে। একাধিক কর্মকর্তা সমকালকে জানান, আন্দোলন প্রত্যাহার করার পর সবাই নিজ নিজ দপ্তরে কাজে যোগ দিয়েছেন। তবে তাদের মধ্যে এখন দুদকের অনুসন্ধান নিয়ে আতঙ্ক রয়েছে। 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: এনব আর কর মকর ত র ব র দ ধ

এছাড়াও পড়ুন:

১৫ মাসে ২৬টি নতুন দল, কোন উদ্দেশ্যে

রাজনৈতিক দলের নাম সমতা পার্টি। আত্মপ্রকাশ ২০২৪ সালের ২১ সেপ্টেম্বর। সেদিন ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ৩০ জনের মতো লোক জড়ো হন। তাঁদের প্রায় সবার হাতে ছিল সমতা পার্টি লেখা পোস্টার।

নতুন দল করার দরকার হলো কেন—এই প্রশ্নে সমতা পার্টির নেতারা সেদিন বলেছিলেন, কোনো রাজনৈতিক দলই জনগণকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করে না, তাই...।

সমতা পার্টির আত্মপ্রকাশের ঠিক এক বছর পর দেশের জন্য ‘কিছু করার’ চেষ্টা থেকে জন্ম নেয় পিপলস পাওয়ার পার্টি। এই দলের নেতারা নিজেদের ‘সার্বভৌমত্বের প্রহরী’ হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন। গত ২৭ সেপ্টেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবে আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে জানানো হয়, দলটির ১১ সদস্যের উপদেষ্টা কমিটি রয়েছে। তবে সেদিন উপদেষ্টাদের নামের পূর্ণাঙ্গ তালিকা দিতে পারেননি দলটির উদ্যোক্তারা।

প্রথম আলোর হিসাব অনুযায়ী, জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের পর দেশে গত ১৫ মাসে কমপক্ষে ২৬টি রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ ঘটেছে। এর মধ্যে ৬টি দলের নামের মধ্যে কোনো না কোনোভাবে ‘জনতা’ শব্দ রয়েছে। বেশির ভাগ দলের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠান হয়েছে জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে। আবার কোনো দলের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠান হয়েছে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে, একটি দল নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে মিছিল করে।

নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের পেছনে কয়েকটি উদ্দেশ্য কাজ করতে পারে। বিগত ১৬ বছরে যাঁরা বঞ্চিত ছিলেন, পটপরিবর্তনের পর তাঁরা নতুন করে রাজনীতিতে আসার চেষ্টা করছেন। আবার কেউ কেউ নতুন করে প্রভাব বিস্তারের উদ্দেশ্যে, দখলদারত্বের মতো কাজে যুক্ত হওয়ার চিন্তায়ও রাজনৈতিক দল গঠন করতে পারেন।দিল রওশন জিন্নাত আরা নাজনীন, অধ্যাপক, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়

সম্পর্কিত নিবন্ধ