গাজায় যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তি চুক্তির সর্বশেষ প্রস্তাব নিয়ে হামাসের সঙ্গে পরোক্ষ আলোচনা করার জন্য রোববার কাতারে একটি প্রতিনিধি দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসরায়েল।

আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার রাতের শেষদিকে এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর দপ্তর জানায়, তিনি আলোচকদের নির্দেশ দিয়েছেন—  তারা যাতে মধ্যস্থতাকারীদের আলোচনার আমন্ত্রণ গ্রহণ করে।

তবে মধ্যস্থতাকারী দেশ কাতার, যুক্তরাষ্ট্র ও মিসরের দেওয়া যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনায় হামাস যে পরিবর্তনের শর্ত দিয়েছে, সেটিকে ‘অগ্রহণযোগ্য’ বলে আখ্যা দিয়েছেন নেতানিয়াহু।

গত শুক্রবার রাতে হামাস জানায়, তারা ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে ‘ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া’ দেখিয়েছে এবং তারা আলোচনার জন্য প্রস্তুত।

তবে একজন ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা জানান, হামাস যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে এমন কিছু সংশোধন চেয়েছে যার মধ্যে একটি হলো— স্থায়ী যুদ্ধবিরতির আলোচনা ব্যর্থ হলেও নিশ্চিত করতে হবে যে, নতুন করে কোনো হামলা হবে না।

গাজার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, শনিবার ইসরায়েলি হামলা ও গুলিতে অন্তত ৩৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

খান ইউনিস শহরের একটি হাসপাতালের বরাতে জানানো হয়, আল-মাওয়াসি এলাকায় তাঁবুগুলোর ওপর বোমা হামলায় এক চিকিৎসক ও তাঁর তিন সন্তানসহ সাতজন নিহত হন।

এদিকে, ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত বিতর্কিত ত্রাণ বিতরণ সংস্থা গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশনের দুই মার্কিন কর্মী খান ইউনিস এলাকায় একটি গ্রেনেড হামলায় আহত হয়েছেন বলে সংস্থাটি জানিয়েছে।

ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র এ হামলার জন্য হামাসকে দায়ী করেছে। যদিও হামাস এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে ঢুকে ভয়াবহ হামলা চালায় হামাস। এর জবাবে সেদিন থেকে গাজায় তাণ্ডব চালাচ্ছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, তখন থেকে এ পর্যন্ত গাজায় অন্তত ৫৭ হাজার ৩৩৮ জন নিহত হয়েছেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ইসর য় ল প রস ত র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

কোনাবাড়ীতে পানিতে ভাসছিল মাদ্রাসার দুই ছাত্রের লাশ

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কোনাবাড়ীতে ডোবায় গোসল করতে নেমে পানিতে ডুবে মাদ্রাসার দুই ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। রোববার সকালে মেট্রো থানার দেওয়ালিয়া দির্ঘীর পাড় গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।

মারা যাওয়া দুই শিশু হলো- রংপুর জেলার মিঠাপুকুর থানার বড় মির্জাপুর শঠিবাড়ী গ্রামের আকমলের ছেলে মো. জুনায়েদ (১২)। সে বাবা-মার সঙ্গে দক্ষিণ দেওয়ালিয়াবাড়ী এলাকায় ইউনুস মিয়ার বাড়িতে ভাড়া থেকে বাগানবাড়ি চার রাস্তার মোড় আল ইসলামিয়া ক্যাডেট মাদ্রাসায় পঞ্চম শ্রেণিতে পড়াশোনা করতো। অন্যজন, সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর থানার তাতলা গ্রামের মো. শামীমের ছেলে মো. আব্দুল মোমিন (১২)। সে তার বাবা-মার সঙ্গে এনায়েতপুরের মামুনের বাড়িতে ভাড়া থেকে একই  মাদ্রাসায় পড়াশোনা করতো।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, সকালে তারা দুইজন ওই ডোবায় গোসল করতে নামে। সাঁতার না জানায় তারা ডোবার মাঝখানে গেলে তলিয়ে যায়। বেলা ১১টার দিকে ডোবার পাশেই ঈদগাহ মাঠে ফুটবল খেলছিলো ছোট্ট ছোট্ট শিশুরা। হঠাৎ শামীম নামে এক শিশু তাদের দুইজনের মরদেহ পানিতে ভাসতে দেখে চিৎকার শুরু করে। পরে আশেপাশের লোকজন এসে ডোবা থেকে ওই দুই শিশুর মরদেহ মাটিতে তোলা হয়।

মো. রুবেল নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ছোট্ট শিশুদের চিৎকারে এগিয়ে এসে দেখি ডোবায় দুই শিশুর মরদেহ ভাসছে। পরে আমিসহ কয়েকজন পানিতে নেমে তাদের মরদেহ ওপরে তুলি। এর মধ্যে ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ওই দুই শিশুর পরিবারের সদস্যরা এসে তাদের সন্তানদের শনাক্ত করে।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন কোনাবাড়ী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. রফিকুল ইসলাম জানান, পরিবারের লিখিত আবেদনের প্রেক্ষিতে বিনা ময়নাতদন্তে মরদেহ দাফনের আবেদন করা হয়েছে। পরে ওই দুই শিশুর মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ