সাবেক ঘনিষ্ঠ মিত্র ইলন মাস্কের নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের পরিকল্পনার তীব্র সমালোচনা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

গতকাল রোববার মার্কিন প্রেসিডেন্টকে বহনকারী উড়োজাহাজ এয়ারফোর্স ওয়ানে ওঠার আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি মনে করি, তৃতীয় কোনো রাজনৈতিক দল গড়া একেবারেই হাস্যকর।’

ট্রাম্প বলেন, এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে দ্বিদলীয় রাজনীতিই চলে আসছে। আর তাঁর মনে হয়, তৃতীয় কোনো দল তৈরি করলে তা শুধু বিভ্রান্তিই বাড়াবে।

আরও পড়ুনযুক্তরাষ্ট্রে নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করার ঘোষণা দিলেন ইলন মাস্ক ০৬ জুলাই ২০২৫

নতুন রাজনৈতিক দল গড়ার বিষয়ে মাস্ক কয়েক সপ্তাহ ধরে ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন। অবশেষে গত সপ্তাহান্তে এক্সে (সাবেক টুইটার) দেওয়া পোস্টে মাস্ক ঘোষণা দেন, তিনি রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাট দলের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে ‘আমেরিকা পার্টি’ গঠন করেছেন।

ট্রাম্প ও মাস্ক একসময় ঘনিষ্ঠ মিত্র ছিলেন। ২০২৪ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পকে জয়ী হতে সহায়তা করেন মাস্ক। তিনি ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারাভিযানে বড় অঙ্কের অনুদান দেন।

নির্বাচনে জয়ী হয়ে দ্বিতীয় দফায় ক্ষমতা গ্রহণের পর ট্রাম্প সরকারি দক্ষতা দপ্তর চালু করেন। তিনি নতুন এ দপ্তরের প্রধান করেন মাস্ককে। এ দপ্তরের কাজ সরকারি ব্যয় কমাতে সহায়তা করা। ১৩০ দিনের ম্যান্ডেট নিয়ে এ দায়িত্বে এসেছিলেন মাস্ক। ট্রাম্পের সঙ্গে মতবিরোধের জেরে শেষ পর্যন্ত প্রশাসন থেকে মাস্ক সরে যান। পরবর্তী সময়ে দুজনের মধ্যে বিরোধ আরও তীব্র হয়।

আরও পড়ুনইলন মাস্ককে রাজনীতি বাদ দিয়ে ব্যবসায় মন দিতে বললেন মার্কিন অর্থমন্ত্রী৬ ঘণ্টা আগে

গত শুক্রবার ট্রাম্প বহুল আলোচিত ‘বিগ বিউটিফুল বিল’ নামে পরিচিত করছাড় ও ব্যয় বৃদ্ধির বিলকে আইনে পরিণত করেন। এটির কড়া সমালোচক মাস্ক পরদিন শনিবার নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করার ঘোষণা দেন।

ট্রাম্প গতকাল তাঁর মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে দেওয়া এক পোস্টে বলেছেন, মাস্ককে পুরোপুরি পথহারা হতে দেখে তাঁর সত্যিই দুঃখ লাগছে।

আরও পড়ুনইলন মাস্ক কেন নতুন দল গঠন করছেন, কী করতে চান তিনি১২ ঘণ্টা আগে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: গঠন কর দল গঠন

এছাড়াও পড়ুন:

প্লেনের সিট একদিকে মুখ করে সাজানো থাকে কেন?

ট্রেনের সিটগুলো অনেক সময় মুখোমুখি সাজানো থাকে। এতে যাত্রীরা একজন আরেকজনের সঙ্গে কথা-গল্পে মেতে উঠতে পারেন। আবার ক্লাসরুমের বেঞ্চগুলো একদিকে মুখ করে সাজানো থাকে। এতে এক ক্লাসে অনেক শিক্ষার্থী বসতে পারে।  ঠিক একই রকমভাবে প্লেনের সিটগুলোও একদিকে মুখ করে সাজানো থাকে। প্লেনের সিটগুলো ট্রেনের সিটগুলোর মতো না সাজিয়ে ক্লাসরুমের বেঞ্চের মতো একদিকে মুখ করে সাজিয়ে রাখার নানা কারণ রয়েছে।

প্লেনে সিটগুলো থাকে যাত্রীরা ধাক্কাধাক্কি করা ছাড়াই সহজে সারিবদ্ধভাবে বের হতে পারেন।  কিন্তু সিটগুলো মুখোমুখি থাকলে নামার সময় বিশৃঙ্খলা তৈরি হতে পারে।সেজন্য দ্রুত ও শান্তভাবে বেরিয়ে আসার জন্য সিট একদিকে রাখাই সবচেয়ে ভালো।এছাড়াও প্লেনের সিটগুলো সারিবদ্ধভাবে সাজিয়ে রাখার আরও কারণ রয়েছে।

আরো পড়ুন:

ইলুমিনাতি স্যাটানিজম বা শয়তানবাদ সম্পর্কে কতটুকু জানেন?

ত্বকের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে যে ময়েশ্চারাইজার 

প্লেন যখন রানওয়ে ধরে তীব্র গতিতে ছুটে গিয়ে আকাশে উড়তে শুরু করে, তখন যাত্রীরা স্বাভাবিকভাবেই পেছনের দিকে হেলে পড়েন। তখন সিটের সঙ্গে পিঠ একদম লেগে থাকে। সিটগুলো শুধু সামনের দিকে মুখ করা থাকায় এই চাপটা যাত্রীদের পিঠে এবং শরীরে সমানভাবে ছড়িয়ে পড়ে। এজন্য মুখোমুখি সিট থাকার চেয়ে এক মুখে সারিবদ্ধভাবে থাকা ভালো।  

অবশ্য আরও একটি বড় কারণ রয়েছে, তাহলো জায়গা বাঁচানো যায়। সব সিট একদিকে মুখ করে রাখলে একটা প্লেনের ভেতরে বেশি সংখ্যক যাত্রী বসতে পারেন। 

তবে বিজনেস ক্লাস বা ফার্স্ট ক্লাসে সিটগুলো আবার দুই দিকে মুখ করা যায়।

সূত্র: ইন্টারেস্টিং জুনিয়র ম্যাগাজিন

ঢাকা/লিপি

সম্পর্কিত নিবন্ধ