মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্কের নতুন রাজনৈতিক দলের উদ্যোগকে হাস্যকর বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। 

রবিবার এয়ার ফোর্স ওয়ানে ওঠার আগে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। 

ট্রাম্প বলেন, “আমি মনে করি তৃতীয় একটি দল শুরু করা খুবই হাস্যকর। আমেরিকায় সবসময় দুই দলীয় ব্যবস্থা ছিল, আর আমি মনে করি তৃতীয় দল শুরু করলে শুধু বিভ্রান্তি বাড়বে।”

কয়েক সপ্তাহ ধরে ইঙ্গিত দেওয়ার পর, ইলন মাস্ক গত সপ্তাহে এক্স-এ (আগের টুইটার) পোস্ট করেন যে, তিনি ‘আমেরিকান পার্টি’ নামে একটি নতুন দল গঠন করছেন, যা রিপাবলিকান ও ডেমোক্রেটিক এই দল বা ‘ইউনিপার্টির’ বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ জানাবে।

ট্রাম্প ও মাস্ক আগে বেশ ঘনিষ্ঠ ছিলেন। টেসলা প্রধান মাস্ক যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সির (ডোজ) এর নেতৃত্বে ছিলেন, যার কাজ ছিল সরকারি খরচ কমানো।

মাস্ক বারবার এমন সরকারি নীতির সমালোচনা করেছেন, যেগুলো যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় ঋণ বাড়ায়।

এর আগে ট্রাম্প তার সোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশালে পোস্ট করে বলেন, “গত পাঁচ সপ্তাহে ইলন মাস্ককে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ হারাতে দেখা আমার জন্য কষ্টদায়ক, সে যেন এক ধরনের ট্রেন দুর্ঘটনায় পরিণত হয়েছে।” 

ট্রাম্পের সঙ্গে প্রকাশ্য বিবাদ চলাকালে মাস্ক অনলাইনে তার এই নতুন রাজনৈতিক দলের কথা বলেছেন।

ঢাকা/ইভা 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইলন ম স ক

এছাড়াও পড়ুন:

প্লেনের সিট একদিকে মুখ করে সাজানো থাকে কেন?

ট্রেনের সিটগুলো অনেক সময় মুখোমুখি সাজানো থাকে। এতে যাত্রীরা একজন আরেকজনের সঙ্গে কথা-গল্পে মেতে উঠতে পারেন। আবার ক্লাসরুমের বেঞ্চগুলো একদিকে মুখ করে সাজানো থাকে। এতে এক ক্লাসে অনেক শিক্ষার্থী বসতে পারে।  ঠিক একই রকমভাবে প্লেনের সিটগুলোও একদিকে মুখ করে সাজানো থাকে। প্লেনের সিটগুলো ট্রেনের সিটগুলোর মতো না সাজিয়ে ক্লাসরুমের বেঞ্চের মতো একদিকে মুখ করে সাজিয়ে রাখার নানা কারণ রয়েছে।

প্লেনে সিটগুলো থাকে যাত্রীরা ধাক্কাধাক্কি করা ছাড়াই সহজে সারিবদ্ধভাবে বের হতে পারেন।  কিন্তু সিটগুলো মুখোমুখি থাকলে নামার সময় বিশৃঙ্খলা তৈরি হতে পারে।সেজন্য দ্রুত ও শান্তভাবে বেরিয়ে আসার জন্য সিট একদিকে রাখাই সবচেয়ে ভালো।এছাড়াও প্লেনের সিটগুলো সারিবদ্ধভাবে সাজিয়ে রাখার আরও কারণ রয়েছে।

আরো পড়ুন:

ইলুমিনাতি স্যাটানিজম বা শয়তানবাদ সম্পর্কে কতটুকু জানেন?

ত্বকের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে যে ময়েশ্চারাইজার 

প্লেন যখন রানওয়ে ধরে তীব্র গতিতে ছুটে গিয়ে আকাশে উড়তে শুরু করে, তখন যাত্রীরা স্বাভাবিকভাবেই পেছনের দিকে হেলে পড়েন। তখন সিটের সঙ্গে পিঠ একদম লেগে থাকে। সিটগুলো শুধু সামনের দিকে মুখ করা থাকায় এই চাপটা যাত্রীদের পিঠে এবং শরীরে সমানভাবে ছড়িয়ে পড়ে। এজন্য মুখোমুখি সিট থাকার চেয়ে এক মুখে সারিবদ্ধভাবে থাকা ভালো।  

অবশ্য আরও একটি বড় কারণ রয়েছে, তাহলো জায়গা বাঁচানো যায়। সব সিট একদিকে মুখ করে রাখলে একটা প্লেনের ভেতরে বেশি সংখ্যক যাত্রী বসতে পারেন। 

তবে বিজনেস ক্লাস বা ফার্স্ট ক্লাসে সিটগুলো আবার দুই দিকে মুখ করা যায়।

সূত্র: ইন্টারেস্টিং জুনিয়র ম্যাগাজিন

ঢাকা/লিপি

সম্পর্কিত নিবন্ধ