বরগুনার আদালত চত্বর থেকে হাতকড়া খুলে পুলিশ হেফাজত থেকে পালিয়ে যাওয়া আসামি আল আমিনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

সোমবার (৪ আগস্ট) রাতে সদর উপজেলার ক্রোক এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এর আগে রবিবার বিকালে আদালত থেকে জেলহাজতে পাঠানোর সময় হাতকড়া খুলে পালিয়ে যায় এ আসামি।

বরগুনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়াকুব হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গ্রেপ্তার হওয়া আল আমিন উপজেলার লেমুয়া পাঠাকাটা গ্রামের আলতাফ হোসেনের ছেলে।

সদর থানা পুলিশ জানায়, আল আমিনের বিরুদ্ধে তার প্রথম স্ত্রী ২০১৮ সালে বরগুনা সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে একটি পারিবারিক মামলা করেন। মামলায় আল আমিনের বিরুদ্ধে ডিক্রি জারি করা হয়। এমনকি পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

গত শনিবার বরগুনা থানার পুলিশ আল আমিনকে গ্রেপ্তার করে। রবিবার আদালতে হাজির করলে সিনিয়র সহকারী জজ তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। বিকালে আসামিদের কারাগারে নেওয়ার পথে জেলা ও জজ আদালতের দক্ষিণ পাশের প্রধান ফটকের সামনে প্রিজন ভ্যানে তোলার সময় আল আমিন হাতকড়া খুলে পালিয়ে যায়।

বরগুনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়াকুব হোসেন রাইজিংবিডিকে বলেন, “এই ঘটনায় অপরাধীকে পুনরায় গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। তবে, দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হওয়ায় এক পুলিশ অফিসারকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে।”

ঢাকা/ইমরান/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গ র প ত র কর বরগ ন

এছাড়াও পড়ুন:

সাভারে ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ২৮

সাভারে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আলহাজ আবুল বাশার (৭৫) নামে এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে তিনি মারা যান। এছাড়া, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ভাইরাসে আক্রান্ত ২৮ জন ভর্তি আছেন। 

আরো পড়ুন:

রোগী সেজে সাভার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অভিযান দুদকের 

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রতিপক্ষের হামলা: গুলিবিদ্ধ যুবকের মৃত্যু

আবুল বাশার ধামরাই উপজেলার বাসনা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি সাভারের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বিনোদ বাইদ এলাকায় পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন। সাভার বাজার রোড বাইতুল নুর জামে মসজিদের ক্যাশিয়ার হিসেবে প্রায় ১০ বছর ধরে কর্মরত ছিলেন তিনি।

স্বজনরা জানান, গত চারদিন ধরে জ্বর ছিল আবুল বাশারের। অবস্থার অবনতি হলে তাকে এনাম মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বৃহস্পতিবার রাতে তিনি মারা যান।

এনাম মেডিকেলের ডিউটি ম্যানেজার মো. মিরাজ বলেন, “আমাদের হাসপাতালে আবুল বাশার নামে এক ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। তিনি নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন ছিলেন।”

সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক ডা. মো. সাইদুল ইসলাম বলেন, “বৃহস্পতিবার শুধু সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ভর্তি রয়েছেন ২৮ জন রোগী। এই উপজেলায় প্রতিদিন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী বাড়ছে।” 

ঢাকা/সাব্বির/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ