নবাগত আহান পান্ডে ও অনীত পড্ডা অভিনীত ‘সাইয়ারা’ সিনেমা দর্শক-সমালোচকদের ভূয়সী প্রশংসা কুড়াচ্ছে। মোহিত সুরি নির্মিত সিনেমাটি বক্স অফিসেও দারুণ সাড়া ফেলেছে। এতটাই ঝড় তুলেছে যে, অনেকেই হতবাক!  

যশরাজ ফিল্মস প্রযোজিত ‘সাইয়ারা’ সিনেমা নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৪৫ কোটি রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৬৩ কোটি ২০ লাখ টাকা)। মুক্তির ১৮ দিনে সিনেমাটি বিশ্বব্যাপী আয় করেছে ৪৭২ কোটি রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৬৫৫ কোটি ১৮ লাখ টাকার বেশি); যা বাজেটের ১ হাজার গুণের বেশি।  

‘সাইয়ারা’ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য ঠিক কত টাকা পারিশ্রমিক পেয়েছেন আহান-অনীত—তা নিয়ে চর্চা চলছে নেট দুনিয়ায়।

একটি সূত্র ইন্ডিয়া টুডে-কে জানিয়েছে, রোমান্টিক-ড্রামা ঘরানার সিনেমাটির জন্য দুজনেই ১৫-২০ লাখ রুপির (বাংলাদেশি মুদ্রায় ২০-২৭ লাখ টাকা) মধ্যে পারিশ্রমিক পেয়েছেন। তবে নতুন প্রকল্পে (সিনেমা) পারিশ্রমিকের এই অঙ্ক অনেকটাই বাড়বে।

বলিউডের একজন সিনিয়র প্রোডাকশন এক্সিকিউটিভ বিষয়টি নিয়ে ইন্ডিয়া টুডের সঙ্গে কথা বলেছেন। শীর্ষস্থানীয় স্টুডিওগুলোর সঙ্গে তার কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে। নবাগত তারকা জুটির কম পারিশ্রমিককে স্বাভাবিক বলে মনে করেন তিনি। 

খানিকটা ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, “একটি বড় ব্যানারে অভিষেক সিনেমার জন্য এমন পারিশ্রমিক স্বাভাবিক। কিন্তু সিনেমাটি বক্স অফিসে দারুণ সাফল্য পাওয়ায়, এখন নিঃসন্দেহে তারা অনেক বেশি পারিশ্রমিক দাবি করতে পারবেন।”

নতুন সিনেমায় জুটি বাঁধতে যাচ্ছেন আহান-অনীত। বৃদ্ধি পাচ্ছে পারিশ্রমিকও। তা জানিয়ে তিনি বলেন, “এই সিনেমার সাফল্য রাতারাতি দুটি নামকে বাজারে চাহিদাসম্পন্ন করেছে। পারিশ্রমিক পুননির্ধারণের জন্য আহান ও অনীত এখন অনেক শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছেন। তাদের পরবর্তী সিনেমার প্রাথমিক আলোচনা শুরু হয়েছে। নতুন সিনেমার জন্য ৩৫-৫০ লাখ রুপি পারিশ্রমিক নিতে পারেন তারা।”

গত কয়েক বছরে যারা অভিষেকেই বাণিজ্যিকভাবে সাফল্য পেয়েছেন, তাদের পারিশ্রমিক উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। যেমন: ‘ধড়ক’ সিনেমা মুক্তির পর শ্রীদেবী কন্যা জাহ্নবী কাপুরের পারিশ্রমিক বেড়ে যায়। ‘সাইয়ারা’ সিনেমার পর আহান-অনীত একই পথে এগোচ্ছেন বলে মনে করছেন সিনেমা সংশ্লিষ্টরা।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

বিএনপি নেতা শহিদুলকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে চতুর্থ দিনের মতো বিক্ষোভ

সাতক্ষীরা-৩ (কালীগঞ্জ-আশাশুনি) আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী পরিবর্তন করে দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শহিদুল আলমকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে টানা চতুর্থ দিনের মতো বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন তাঁর অনুসারী নেতা-কর্মীরা।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে আশাশুনি বাসস্ট্যান্ড মোড়ে আশাশুনি-বড়দল সড়কে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সমাবেশে আশাশুনি উপজেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী ছাড়াও বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে সাধারণ মানুষ অংশ নেন। এ সময় আশাশুনি বাজার এলাকায় এ ঘণ্টা ধরে যান চলাচল বন্ধ থাকে।

রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে গত সোমবার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে ২৩৭টি আসনে দলীয় প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এতে সাতক্ষীরা-৩ আসনে মনোনয়ন পান দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য কাজী আলাউদ্দীন। এ আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন বিএনপিপন্থী চিকিৎসকদের সংগঠন ড্যাবের নেতা শহিদুল আলম।

এর আগে সোমবার মনোনয়ন ঘোষণার দিন, গত মঙ্গল ও বুধবার কালীগঞ্জ ও আশাশুনির বিভিন্ন এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ, আধা বেলা হরতাল ও কুশপুত্তলিকা দাহ কর্মসূচি পালন করেন শহিদুল আলমের অনুসারীরা।

আজকের সমাবেশে আশাশুনি সদর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি আবু হেনা মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক খালিদুজ্জামান, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সরদার রুহুল আমিন, বিএনপি নেতা আজহারুল ইসলাম, এস এম আখতারুজ্জামান, মনিরুজ্জামান, রাফসান আহমেদ, ইলিয়াস আলী, করিমুজ্জামান, জাকির হোসেন, ফিরোজ আহমেদ, হাফিজুল ইসলাম, শফিকুল ইসলাম প্রমুখ।

বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, তৃণমূলের মতামত না নিয়ে সাতক্ষীরা-৩ আসনে কাজী আলাউদ্দীনকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে, যিনি অতীতে জাতীয় পার্টির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। গত ১৭ বছরে তিনি এক দিনের জন্যও আশাশুনিতে আসেননি। কখনো স্থানীয় নেতা-কর্মীদের পাশে দাঁড়াননি। এলাকার মানুষের খোঁজও নেননি। আশাশুনির মানুষ তাঁকে চেনেন না। তাঁরা বলেন, শহিদুল আলম শুধু একজন রাজনীতিক নন, তিনি এলাকার গরিব মানুষের নির্ভরতা। তাঁর ব্যক্তিগত উদ্যোগে অসহায় রোগীদের বিনা খরচে চিকিৎসা দিয়ে তিনি সবার প্রিয় হয়ে উঠেছেন। আশাশুনির মানুষ তাঁকেই চান প্রতিনিধি হিসেবে।

সমাবেশ থেকে কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের দাবিতে এক দফা আলটিমেটাম দেওয়া হয়। বক্তারা বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজী আলাউদ্দীনের মনোনয়ন বাতিল করে শহিদুল আলমকে মনোনয়ন দিতে হবে। অন্যথায় আশাশুনি থেকে ঢাকার উদ্দেশে লংমার্চ শুরু করা হবে। সমাবেশে দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত ধারাবাহিক কর্মসূচি চলবে বলে জানানো হয়।

বিক্ষোভের সময় নেতা-কর্মীদের হাতে ‘গরিবের ডাক্তারকে চাই’, ‘হটাও কাজী, বাঁচাও ধানের শীষ’, ‘আশাশুনির মাটি, শহিদুল আলমের খাঁটি’ ইত্যাদি ফেস্টুন দেখা যায়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ