বলিউডের জনপ্রিয় থ্রিলার ‘গুপ্ত’ ও ‘মোহরা’র পরিচালক রাজীব রাইয়ের জীবন যেন এক রুদ্ধশ্বাস থ্রিলারের চেয়ে কম কিছু নয়। নব্বইয়ের দশকে যখন মুম্বাই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির ওপর আন্ডারওয়ার্ল্ডের ছায়া ঘনিয়ে এসেছিল, তখন গ্যাংস্টারদের টার্গেটে পরিণত হন তিনি। অফিসে হামলা হয়, ফোনে আসত একের পর এক হুমকি। আত্মরক্ষার জন্য সিআইডির কাছ থেকে নিতে হয়েছিল নিরাপত্তা প্রশিক্ষণ। শেষ পর্যন্ত পাড়ি জমাতে হয় যুক্তরাজ্যে। সম্প্রতি সিদ্ধার্থ কাননের এক সাক্ষাৎকারে নিজের সেই ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা জানালেন এই চিত্রপরিচালক।

হুমকি ফোন, আতঙ্কের দিন

রাজীব রাই বলেন, ‘“গুপ্ত”-এর পরই সমস্যা শুরু হয়। এরপর আমি দুটি ছবি বানিয়েছিলাম, যেগুলো চলেনি। তখনই ল্যান্ডলাইনে ফোন আসে। কেউ টাকা চায়নি, আমি কথা বলিনি। প্রথম কলেই বুঝে গিয়েছিলাম কিছু একটা গড়বড় আছে। পুলিশের সঙ্গে সঙ্গে যোগাযোগ করি। পুলিশ জানিয়ে দেয়, কোনোভাবেই যেন যোগাযোগ না রাখি।’

‘গুপ্ত’ সিনেমার দৃশ্য। আইএমডিবি.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ধর্ম অবমাননার প্রতিবাদে ইবিতে মানববন্ধন

ধর্ম অবমাননার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) হিন্দু ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (৬ আগস্ট) দুপুর ১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে তারা এ কর্মসূচি পালন করেন। পরে এ বিষয়ে বিচার চেয়ে প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ প্রদান করেন তারা। 

মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা ‘আমার সোনার বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘অসম্প্রদায়িক বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘এক দুই তিন চার, ধর্ম অবমাননাকারী বহিষ্কার’, ‘আমার পরিচয়, আগে আমি বাংলাদেশি’ ইত্যাদি প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন।

আরো পড়ুন:

ইবি শিক্ষার্থী সাজিদ হত্যার দ্রুত বিচার দাবিতে জবিতে মানববন্ধন

ইবি শিক্ষার্থী সাজিদ হত্যা: তদন্ত শুরু করেছে সিআইডি

শিক্ষার্থীরা বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিনিয়ত আমাদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে কিছু শিক্ষার্থী অবমাননাকর পোস্ট দিচ্ছে। এসব পোস্ট বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপে অ্যাডমিনদের উপস্থিতিতে প্রকাশিত হচ্ছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক ও অগ্রহণযোগ্য।

আমরা এর সুষ্ঠু তদন্ত ও দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। একইসঙ্গে, যিনি ধর্ম অবমাননার কাজ করেছেন, তারও তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি— যেন ভবিষ্যতে কেউ এমন কাজ করার সাহস না পায়।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান বলেন, “আমরা এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। আলোচনা সাপেক্ষে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”

ঢাকা/তানিম/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ