মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আজ বুধবার ভারতের ওপর অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন। রাশিয়া থেকে জ্বালানি কেনার কারণে ‘জরিমানা’ হিসেবে অতিরিক্ত এই ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। এর ফলে আগের ২৫ শতাংশ পাল্টা শুল্কসহ ভারতীয় পণ্যে ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করল যুক্তরাষ্ট্র।

আজ বুধবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ–সংক্রান্ত নির্বাহী আদেশে সই করেছেন। আজ থেকে ২১ দিন পর এই শুল্ক কার্যকর হবে।

এর আগে সপ্তাহের শুরুতে ট্রাম্প হুমকি দিয়েছিলেন যে তিনি ভারতের ওপর ‘উল্লেখযোগ্য মাত্রায়’ শুল্ক বৃদ্ধি করবেন। তাঁর অভিযোগ, রাশিয়া থেকে বিপুল পরিমাণ তেল কিনে তা থেকে মোটা অঙ্কের লাভ করছে ভারত।

গত সোমবার ভারত যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিরুদ্ধে কড়া প্রতিক্রিয়া দেখায়। ভারত বলেছিল, রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কেনার জন্য দিল্লিকে নিশানা করাটা ‘অন্যায় ও অযৌক্তিক’। ভারত আরও দাবি করেছিল, এতে দ্বিচারিতা আছে। কারণ, যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউ নিজেরাও এখনো রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক অব্যাহত রেখেছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: শ শ ল ক আর প

এছাড়াও পড়ুন:

বিএনপি নেতা শহিদুলকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে চতুর্থ দিনের মতো বিক্ষোভ

সাতক্ষীরা-৩ (কালীগঞ্জ-আশাশুনি) আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী পরিবর্তন করে দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শহিদুল আলমকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে টানা চতুর্থ দিনের মতো বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন তাঁর অনুসারী নেতা-কর্মীরা।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে আশাশুনি বাসস্ট্যান্ড মোড়ে আশাশুনি-বড়দল সড়কে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সমাবেশে আশাশুনি উপজেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী ছাড়াও বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে সাধারণ মানুষ অংশ নেন। এ সময় আশাশুনি বাজার এলাকায় এ ঘণ্টা ধরে যান চলাচল বন্ধ থাকে।

রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে গত সোমবার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে ২৩৭টি আসনে দলীয় প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এতে সাতক্ষীরা-৩ আসনে মনোনয়ন পান দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য কাজী আলাউদ্দীন। এ আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন বিএনপিপন্থী চিকিৎসকদের সংগঠন ড্যাবের নেতা শহিদুল আলম।

এর আগে সোমবার মনোনয়ন ঘোষণার দিন, গত মঙ্গল ও বুধবার কালীগঞ্জ ও আশাশুনির বিভিন্ন এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ, আধা বেলা হরতাল ও কুশপুত্তলিকা দাহ কর্মসূচি পালন করেন শহিদুল আলমের অনুসারীরা।

আজকের সমাবেশে আশাশুনি সদর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি আবু হেনা মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক খালিদুজ্জামান, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সরদার রুহুল আমিন, বিএনপি নেতা আজহারুল ইসলাম, এস এম আখতারুজ্জামান, মনিরুজ্জামান, রাফসান আহমেদ, ইলিয়াস আলী, করিমুজ্জামান, জাকির হোসেন, ফিরোজ আহমেদ, হাফিজুল ইসলাম, শফিকুল ইসলাম প্রমুখ।

বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, তৃণমূলের মতামত না নিয়ে সাতক্ষীরা-৩ আসনে কাজী আলাউদ্দীনকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে, যিনি অতীতে জাতীয় পার্টির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। গত ১৭ বছরে তিনি এক দিনের জন্যও আশাশুনিতে আসেননি। কখনো স্থানীয় নেতা-কর্মীদের পাশে দাঁড়াননি। এলাকার মানুষের খোঁজও নেননি। আশাশুনির মানুষ তাঁকে চেনেন না। তাঁরা বলেন, শহিদুল আলম শুধু একজন রাজনীতিক নন, তিনি এলাকার গরিব মানুষের নির্ভরতা। তাঁর ব্যক্তিগত উদ্যোগে অসহায় রোগীদের বিনা খরচে চিকিৎসা দিয়ে তিনি সবার প্রিয় হয়ে উঠেছেন। আশাশুনির মানুষ তাঁকেই চান প্রতিনিধি হিসেবে।

সমাবেশ থেকে কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের দাবিতে এক দফা আলটিমেটাম দেওয়া হয়। বক্তারা বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজী আলাউদ্দীনের মনোনয়ন বাতিল করে শহিদুল আলমকে মনোনয়ন দিতে হবে। অন্যথায় আশাশুনি থেকে ঢাকার উদ্দেশে লংমার্চ শুরু করা হবে। সমাবেশে দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত ধারাবাহিক কর্মসূচি চলবে বলে জানানো হয়।

বিক্ষোভের সময় নেতা-কর্মীদের হাতে ‘গরিবের ডাক্তারকে চাই’, ‘হটাও কাজী, বাঁচাও ধানের শীষ’, ‘আশাশুনির মাটি, শহিদুল আলমের খাঁটি’ ইত্যাদি ফেস্টুন দেখা যায়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ