ধীর পায়ে হেঁটে গেট দিয়ে বের হচ্ছেন হৃতিক রোশানের কনিষ্ঠ পুত্র হৃদান রোশান। হঠাৎ খেয়াল করেন পাপারাজ্জিরা তার ভিডিও করছেন। তারপর দ্রুত পায়ে হাঁটতে থাকেন। লক্ষ্য তার পার্কিং করা গাড়ি। তা দেখে পাপারাজ্জিরা তাড়া করেন, তুমুল গতিতে দৌড়াতে থাকেন তারা। তা দেখে হন্তদন্ত হয়ে নিজের গাড়িতে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল একটি ভিডিওতে এমন দৃশ্য দেখা যায়।  

কিশোরা হৃদানের সঙ্গে পাপারাজ্জিদের এই আচরণ ভালোভাবে নেননি নেটিজেনরা। ক্ষোভ উগড়েছেন তারা। এটাকে ‘হেনস্তা’ বলে মন্তব্য তাদের। একজন লেখেন, “এটা এক প্রকার ক্রাইম।” পুলিশের দৃষ্টি আর্কষণ করে একজন লেখেন, “পুলিশের উচিত এই ব্যাপারগুলোতে নজর দেওয়া। এভাবে মানুষকে তাড়া করে!” একই দাবি জানিয়ে অন্যজন লেখেন, “এভাবে স্টার কিডদের হ্যারাস করার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সময় হয়েছে।” 

কটাক্ষ করে একজন লেখেন, “এদের কি লজ্জা করে না! হৃতিকের উচিত কড়া পদক্ষেপ নেওয়া।” “প্রত্যেকে ক্যামেরা ফোন নিয়ে পাপারাজ্জিদের মতো ঘুরে বেড়াচ্ছে। একটা ছোট ছেলেকে তাড়া করা, অভিনেত্রীদের পিছন থেকে ভিডিও করা, ক্লিপে নোংরা ভাষা ব্যবহার করা, হাসাহাসি করা। সময় এসেছে এসব বন্ধ করার!” 

আরো পড়ুন:

আলোচনায় হৃতিক-কিয়ারার চুম্বন দৃশ্য

রাকেশ রোশান হাসপাতালে

সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ার পর এখনো এ বিষয়ে কোনো বক্তব্য দেননি হৃতিক কিংবা তার প্রাক্তন স্ত্রী সুজান খান।  

২০০০ সালের ২০ ডিসেম্বর ভালোবেসে ঘর বাঁধেন হৃতিক রোশান ও সুজান খান। ২০০৬ সালে জন্ম হয় এই দম্পতির প্রথম সন্তান হৃহানের। ২০০৮ সালে জন্মগ্রহণ করে তাদের দ্বিতীয় সন্তান হৃদান। কিন্তু এ জুটির চলার পথে ছন্দপতন ঘটে। ২০১৩ সাল থেকে আলাদা থাকতে শুরু করেন। ২০১৪ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়। বিচ্ছেদের সময় সুজান ৪০০ কোটি রুপি খোরপোশ দাবি করেন। সর্বশেষ ৩৮০ কোটি রুপি গুণতে হয় হৃতিককে। 

সংসার ভেঙে গেলেও প্রায়ই দু’জন মিলে সন্তানদের সঙ্গে সময় কাটান হৃতিক-সুজান। দুই পুত্রকে নিয়ে বিদেশে অবসর কাটাতেও দেখা গেছে। ২০২৫ সালকে স্বাগত জানাতে দুই পুত্র ও প্রাক্তন স্ত্রীকে নিয়ে দুবাইয়ে উড়ে গিয়েছিলেন হৃতিক।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হ ত ক র শন চলচ চ ত র

এছাড়াও পড়ুন:

ট্রুডো ও সোফি: জীবন থেমে থাকে না, হৃদয় আবার ডাকে

জাস্টিন ট্রুডো যখন রাজনীতিতে আসেন, তখন থেকেই তাঁর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে সাধারণ মানুষের আগ্রহ ছিল তুঙ্গে। বিশেষ করে তাঁর স্ত্রী সোফি গ্রেগোয়ার সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিল অনেকের কাছে এক আদর্শ প্রেমের গল্প। কিন্তু ২০২৩ সালের আগস্টে তাঁদের বিচ্ছেদের ঘোষণায় অনেকেই বিস্মিত হন। কারণ, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁদের তুমুল প্রেমময় ছবি, সন্তানদের হাস্যোজ্জ্বল মুখ দেখে ভক্তরা ধারণা করেছিলেন, এমন জুটির ভাঙন কখনো সম্ভব নয়। হাতে হাত রেখে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত কাটাবেন তাঁরা। কিন্তু মানুষ ভাবে এক, হয় আর এক।

‘এক বৈশাখে দেখা হল দুজনার/ জ্যৈষ্ঠিতে হল পরিচয়/ আসছে আষাঢ় মাস মন তাই ভাবছে/ কি হয় কি হয়!’

ট্রুডো ও সোফির প্রথম দেখা বৈশাখ মাসে হয়তো হয়নি। তাঁদের দেখা হয়েছিল শৈশবে। সোফি ছিলেন ট্রুডোর ছোট ভাই মিশেলের স্কুলের সহপাঠী ও বন্ধু। এই সূত্রে ট্রুডো পরিবারে যাতায়াত ছিল সোফির। সে সময় তাঁদের মধ্যে কোনো প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠেনি। তাঁদের প্রেমের সূত্রপাত হয় অনেক বছর পরে, ২০০৩ সালে, যখন তাঁরা একটি দাতব্য অনুষ্ঠানে যোগ দেন। ট্রুডোর বয়স তখন ৩১, আর সোফির ২৮।

সোফি তখন একজন টেলিভিশন ও রেডিও উপস্থাপক। ট্রুডো ছিলেন একজন শিক্ষক ও বক্তা। সেই অনুষ্ঠানে তাঁদের মধ্যে এক গভীর সংযোগ তৈরি হয়। সোফি একটি সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ট্রুডোর সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি যেন তাঁর ‘আত্মার আয়না’ দেখতে পাচ্ছিলেন। ট্রুডোও সোফির বুদ্ধিদীপ্ত, প্রাণবন্ত উপস্থিতি ও সামাজিক সচেতনতায় মুগ্ধ হয়েছিলেন। দ্রুতই তাঁদের মধ্যে বন্ধুত্ব প্রেমের সম্পর্কে গড়ায়। ২০০৪ সালের অক্টোবরে সোফিকে বিয়ের প্রস্তাব দেন ট্রুডো। সোফি সানন্দে রাজি হন।

জাস্টিন ট্রুডো ও সোফি গ্রেগোয়ার

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ‘ট্রাম্প-মোদি ব্রোমান্স’ সত্ত্বেও ভারত–মার্কিন সম্পর্ক তলানিতে কেন, সামনে কী
  • সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়েও নারী কেন ন্যায্য হিস্যা পাবে না
  • টাঙ্গাইলে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩
  • পঞ্চগড়ে ছুরিকাঘাতে ছাত্রদলের কর্মী নিহত, প্রতিবাদে বিক্ষোভ
  • এখানে অযোগ্যরা তেল দেওয়া ছাড়া জায়গা তৈরি করতে পারে না
  • ঢাবিতে বিক্ষোভে মেয়েদের ভিডিও করার সময় কলেজছাত্র আটক
  • মোদির অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসই শেষ পর্যন্ত কাল হয়ে দাঁড়ালো
  • মাগুরায় ‘রেডি টু কুক ফিশ’ প্রযুক্তিতে সফল উদ্যোক্তা লিজা
  • ট্রুডো ও সোফি: জীবন থেমে থাকে না, হৃদয় আবার ডাকে