হৃতিকের ছেলেকে পাপারাজ্জিদের তাড়া, ভিডিও ভাইরাল
Published: 7th, August 2025 GMT
ধীর পায়ে হেঁটে গেট দিয়ে বের হচ্ছেন হৃতিক রোশানের কনিষ্ঠ পুত্র হৃদান রোশান। হঠাৎ খেয়াল করেন পাপারাজ্জিরা তার ভিডিও করছেন। তারপর দ্রুত পায়ে হাঁটতে থাকেন। লক্ষ্য তার পার্কিং করা গাড়ি। তা দেখে পাপারাজ্জিরা তাড়া করেন, তুমুল গতিতে দৌড়াতে থাকেন তারা। তা দেখে হন্তদন্ত হয়ে নিজের গাড়িতে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল একটি ভিডিওতে এমন দৃশ্য দেখা যায়।
কিশোরা হৃদানের সঙ্গে পাপারাজ্জিদের এই আচরণ ভালোভাবে নেননি নেটিজেনরা। ক্ষোভ উগড়েছেন তারা। এটাকে ‘হেনস্তা’ বলে মন্তব্য তাদের। একজন লেখেন, “এটা এক প্রকার ক্রাইম।” পুলিশের দৃষ্টি আর্কষণ করে একজন লেখেন, “পুলিশের উচিত এই ব্যাপারগুলোতে নজর দেওয়া। এভাবে মানুষকে তাড়া করে!” একই দাবি জানিয়ে অন্যজন লেখেন, “এভাবে স্টার কিডদের হ্যারাস করার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সময় হয়েছে।”
কটাক্ষ করে একজন লেখেন, “এদের কি লজ্জা করে না! হৃতিকের উচিত কড়া পদক্ষেপ নেওয়া।” “প্রত্যেকে ক্যামেরা ফোন নিয়ে পাপারাজ্জিদের মতো ঘুরে বেড়াচ্ছে। একটা ছোট ছেলেকে তাড়া করা, অভিনেত্রীদের পিছন থেকে ভিডিও করা, ক্লিপে নোংরা ভাষা ব্যবহার করা, হাসাহাসি করা। সময় এসেছে এসব বন্ধ করার!”
আরো পড়ুন:
আলোচনায় হৃতিক-কিয়ারার চুম্বন দৃশ্য
রাকেশ রোশান হাসপাতালে
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ার পর এখনো এ বিষয়ে কোনো বক্তব্য দেননি হৃতিক কিংবা তার প্রাক্তন স্ত্রী সুজান খান।
২০০০ সালের ২০ ডিসেম্বর ভালোবেসে ঘর বাঁধেন হৃতিক রোশান ও সুজান খান। ২০০৬ সালে জন্ম হয় এই দম্পতির প্রথম সন্তান হৃহানের। ২০০৮ সালে জন্মগ্রহণ করে তাদের দ্বিতীয় সন্তান হৃদান। কিন্তু এ জুটির চলার পথে ছন্দপতন ঘটে। ২০১৩ সাল থেকে আলাদা থাকতে শুরু করেন। ২০১৪ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়। বিচ্ছেদের সময় সুজান ৪০০ কোটি রুপি খোরপোশ দাবি করেন। সর্বশেষ ৩৮০ কোটি রুপি গুণতে হয় হৃতিককে।
সংসার ভেঙে গেলেও প্রায়ই দু’জন মিলে সন্তানদের সঙ্গে সময় কাটান হৃতিক-সুজান। দুই পুত্রকে নিয়ে বিদেশে অবসর কাটাতেও দেখা গেছে। ২০২৫ সালকে স্বাগত জানাতে দুই পুত্র ও প্রাক্তন স্ত্রীকে নিয়ে দুবাইয়ে উড়ে গিয়েছিলেন হৃতিক।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হ ত ক র শন চলচ চ ত র
এছাড়াও পড়ুন:
এক কাপ কফি খাও, তারপর লিখতে বসো—মতি ভাই বললেন
‘অতর্কিতেই আকাশ আনল
বিদ্যুৎময় আলোকচিত্র
নতুন একটা কবিতা পড়তে
উঠে দাঁড়ালেন অরুণ মিত্র।’—কবির সুমন
যখন মোবাইল ফোনের চার্জ কমে আসে, আপনি কী করেন? চার্জ দেন। যখন আপনার মনের চার্জ কমে আসে, আপনি কী করেন? আমি কী করি, আপনাকে বলি। আমি সাইফুল সামিনকে দেখি। আমাদের সহকর্মী, বন্ধু, তরুণতর সাইফুল ইসলাম ওরফে সাইফুল সামিন। এখন সামিনের বয়স ৪০ ছুঁয়েছে। সাইফুল সামিন প্রথম আলোয় এবার অন্যতম সেরা কর্মীর পুরস্কার পেয়েছেন। সাইফুল সামিন আজ থেকে ১৭ বছর আগে ছিলেন একজন তরুণ শিক্ষার্থী। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের ছাত্র। প্রথম আলোর ঢাকায় থাকি পাতায় প্রদায়ক হিসেবে লিখতেন। খবর সংগ্রহ করতেই গিয়েছিলেন তেজগাঁও রেলস্টেশনে। দুর্ভাগ্যক্রমে ট্রেনের নিচে তাঁর দুই পা চলে যায়, প্রায় কোমরের কাছাকাছি জায়গা থেকে তাঁর দুটো পা কাটা পড়ে। সেই সাইফুল সামিন বেঁচে যান। প্রথম আলো তাঁর চিকিৎসার দায়িত্ব নেয়। আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তাঁর দুটো কৃত্রিম পায়ের তহবিল জোগাড়ের জন্য ক্যাম্পেইন শুরু করে। প্রথম আলো তাতে হাত মেলায়। অনেকের সহযোগিতায় কৃত্রিম পা নিয়ে উঠে দাঁড়ান সাইফুল সামিন।
সাইফুল অন্য যেকোনো সাংবাদিকের মতো নিয়মিত আসেন প্রথম আলোয়। একজন সহকারী নিয়োগ দিয়ে রেখেছেন তিনি, তাঁকে চলাচলে সাহায্য করার জন্য। তিনি ৫ মিনিট দেরিও করতে চান না। কারও চেয়ে কম কাজও করেন না। তিনি যে আমাদের সেরা কর্মীর পুরস্কার পাবেন, তাতে আর আশ্চর্য কী!
সেরা কর্মীদের একজন সাইফুল সামিন