‘গণ-অভ্যুত্থানে বিরোধিতাকারী’ ২১ শিক্ষকের তালিকা প্রকাশ ছাত্রদলের, বিচার দাবিতে বিক্ষোভ
Published: 7th, August 2025 GMT
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বিরোধিতাকারী ২১ শিক্ষকের নাম ও ছবি প্রকাশ করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করেছে শাখা ছাত্রদল। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
সমাবেশ শেষে বেলা সাড়ে ৩টার দিকে প্যারিস রোড থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রশাসন ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়। ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা এ সময় ‘ফ্যাসিস্টের দালালেরা, হুঁশিয়ার সাবধান’, ‘বছর গেল পেড়িয়ে, আওয়ামী লীগের দোসর কেন বাহিরে’, ‘সুপারিশ, স্বজনপ্রীতি, নিয়োগ বাণিজ্য এই ক্যাম্পাসে চলবে না’, ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’, ‘প্রশাসনের কালো হাত, ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও’ ইত্যাদি স্লোগান ও প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়টির শাখা ছাত্রদলের সভাপতি সুলতান আহমেদ বলেন, ‘প্রশাসন আমাদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে প্রতারণা করে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা করছে। আমরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করে আজ ২১ জন ফ্যাসিবাদের দোসর শিক্ষকের নাম-পরিচয় প্রকাশ করেছি; যাতে প্রশাসন দ্রুত তাঁদের প্রচলিত আইনের আওতায় আনতে পারে।’
আওয়ামীপন্থী ফ্যাসিস্ট শিক্ষকদের বিচারের আগে রাকসু নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না বলে মন্তব্য করেছেন শাখা ছাত্রদলের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি শাকিলুর রহমান। তিনি বলেন, বর্তমান প্রশাসন একটি একপাক্ষিক জামায়াতি সংগঠনের এজেন্ডা বাস্তবায়নের প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। অথচ এই প্রশাসনের প্রথম কাজ ছিল আওয়ামী দোসরদের বিচার।
ছাত্রদলের করা তালিকায় উল্লেখযোগ্য শিক্ষকেরা হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার, সাবেক সহ–উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান উল ইসলাম ও অধ্যাপক হুমায়ুন কবীর, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এস এম একরামুল্লা, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক মুসতাক আহমেদ, সাবেক সহ-উপাচার্য ও রসায়ন বিভাগের বর্তমান সভাপতি চৌধুরী জাকারিয়া, ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক আবুল কাশেম, মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক বোরাক আলী, ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক আবদুল্লাহ আল মামুন, আইন বিভাগের অধ্যাপক আবু নাসের ওয়াহেদ, মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ওমর ফারুক সরকার প্রমুখ।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ছ ত রদল র
এছাড়াও পড়ুন:
ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে ভোটের তফসিল, প্রবাসীদের জন্য পোস্টাল ভোট
আগামী ডিসেম্বর মাসের প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
ইসির প্রাথমিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামী ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত সময়ের মধ্যে যারা ভোটার হবেন, তাঁরা আগামী নির্বাচনে ভোট দিতে পারবেন। আর প্রবাসী ভোটারদের ‘পোস্টাল ব্যালটের’ মাধ্যমে ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে যাচ্ছে ইসি। এ ক্ষেত্রে প্রার্থী চূড়ান্ত হওয়ার আগেই দলীয় ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জন্য বরাদ্দ করা প্রতীকসহ ব্যালট পেপার প্রবাসী ভোটারদের কাছে পাঠানো হবে।
আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ইসির বৈঠক শেষে নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান। আজ সকাল ১১টা থেকে শুরু করে মাঝে বিরতি দিয়ে সন্ধ্যা প্রায় ৭টা পর্যন্ত বৈঠক করে ইসি।
বৈঠকে প্রবাসীদের ভোটাধিকার পদ্ধতি, রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণবিধি ও নির্বাচন সংক্রান্ত আইন গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) সংশোধন করা নিয়ে আলোচনা হয়। রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণবিধির খসড়া চূড়ান্ত করা হয়। আরপিও নিয়ে আলোচনা হলেও তা শেষ হয়নি। পরবর্তী বৈঠকে এটি নিয়ে আরও আলোচনা হবে।
নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা কবে নাগাদ হতে পারে—এমন প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, এটি নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়নি। শিগগির এ বিষয়ে আলোচনা হবে। তবে ইতিমধ্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) বলেছেন, ভোটের তারিখের দুই মাস আগে তফসিল ঘোষণা করবে।
আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, ‘আপনারা ধরেই নিতে পারেন, এই শিডিউল ঘোষণার কাজটা আমাদের, ডিসেম্বর মাসের প্রথমার্ধেই আপনারা পাবেন।’ তিনি বলেন, ভোট হবে পবিত্র রমজান মাসের আগে। যদি ১৮ ফেব্রুয়ারি রমজান মাস শুরু হয়, তার আগে শপথ গ্রহণ, নতুন সরকারের ক্ষমতা গ্রহণ এসবের জন্য দু-চার দিন সময় দিতে হবে। এসবের আগে ভোট হবে। ভোটের যে তারিখ হবে তার আনুমানিক ৬০ দিন আগে তফসিল হবে বলে তিনি জানান।