ভারতের সবচেয়ে ধনী অভিনেত্রী জুহি চাওলা কত টাকার মালিক?
Published: 8th, August 2025 GMT
নব্বই দশকের জনপ্রিয় বলিউড অভিনেত্রী জুহি চাওলা। দীর্ঘ অভিনয় ক্যারিয়ারে অসংখ্য দর্শকপ্রিয় সিনেমা উপহার দিয়েছেন। দর্শকদের মুঠো মুঠো ভালোবাসা যেমন কুড়িয়েছেন, তেমনি অঢেল সম্পদেরও মালিক হয়েছেন।
ভারতীয় সিনেমার সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিকপ্রাপ্ত অভিনেত্রীদের মধ্যে রয়েছেন—দীপিকা পাড়ুকোন, আলিয়া ভাট, প্রিয়াঙ্কা চোপড়া, ঐশ্বরিয়ার মতো তারকা শিল্পীরা। কিন্তু অর্থ-সম্পদের দিক থেকে সবাইকে টপকে গেছেন জুহি চাওলা।
লাইভ মিন্ট ডটকমের তথ্য অনুসারে, জুহি চাওলার মোট সম্পদের পরিমাণ ৪ হাজার ৬০০ কোটি রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৬ হাজার ৩৯৭ কোটি টাকার বেশি)। হুরুন ইন্ডিয়া রিচ লিস্ট অনুযায়ী, ভারতীয় অভিনেত্রীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সম্পদের মালিক জুহি চাওলা। ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন, দীপিকা পাড়ুকোন, আলিয়া ভাট, প্রিয়াঙ্কা চোপড়া, কারিনা কাপুর খানকে ছাড়িয়ে গেছেন জুহি।
ইদানীং সিনেমায় ক্যামিও চরিত্রে দেখা যায় জুহি চাওলাকে। তার আয়ের মূল উৎস শুধু সিনেমা নয়। বরং বুদ্ধিদীপ্ত ব্যবসায়িক উদ্যোগও। আইপিএল ক্রিকেট টিমের অংশীদারিত্ব রয়েছে জুহির। তাছাড়া লাভজনক রিয়েল এস্টেটে বিনিয়োগ করে আজকের অবস্থান তৈরি করেছেন এই অভিনেত্রী।
শাহরুখ খানের সঙ্গে আইপিএল দল কলকাতা নাইট রাইডার্সের (কেকেআর) সহ-মালিক জুহি ও তার স্বামী জয় মেহতা। এই দলের পেছনে জুহি বিনিয়োগ করেছেন ৬২৯ কোটি রুপি। বর্তমানে এই দলটির মূল্য আছে ৯ হাজার ১৩৯ কোটি রুপি। শাহরুখ খানের সঙ্গে ‘রেড চিলিস গ্রুপ’ প্রতিষ্ঠা করেন জুহি। সৌরাষ্ট্র সিমেন্ট লিমিটেডের ০.
১৯৮৪ সালে ‘মিস ইন্ডিয়া’ খেতাব জিতেন জুহি চাওলা। ১৯৮৬ সালে ‘সুলতানাত’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে পা রাখেন। তখন তার বয়স মাত্র ১৯ বছর। ১৯৮৮ সালে ‘কেয়ামত সে কেয়ামত তক’ সিনেমায় আমির খানের সঙ্গে জুটি বেঁধে অভিনয় করে খ্যাতি লাভ করেন জুহি। এ সিনেমার জন্য শ্রেষ্ঠ নবাগত অভিনেত্রী বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার লাভ করেন জুহি।
জুহি চাওলা অভিনীত জনপ্রিয় সিনেমাগুলোর মধ্যে রয়েছে—‘হাম হ্যায় রাহি পেয়ার কে’ (১৯৯৩), ‘ডর’ (১৯৯৩), ‘ইয়েস বস’ (১৯৯৭), ‘ইশক’ (১৯৯৭), ‘বোল রাধা বোল’ (১৯৯২), ‘রাজু বান গায়া জেন্টলম্যান’ (১৯৯২), ‘লাভ লাভ লাভ’ (১৯৮৯), ‘দিওয়ানা মাস্তানা’ (১৯৯৭) প্রভৃতি।
ঢাকা/শান্ত
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
জুবিনের কফিন জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়লেন স্ত্রী
সিঙ্গাপুর থেকে সংগীতশিল্পী জুবিন গার্গের মরদেহ আসামে নেওয়া হয়েছে। দিল্লি থেকে গুয়াহাটি বিমানবন্দরে নিয়ে আসা হয় শিল্পীর মরদেহ। রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) জুবিনের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় তার বাসভবনে। এসময় গায়কের স্ত্রী গরিমা গার্গ স্বামীর কফিন জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়েন। খবর এনডিটিভির।
বেশ কিছু ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। তার একটিতে দেখা যায়, অসংখ্য মানুষ ঘিরে ধরেছে জুবিনের কফিন। কফিনের ওপরে মাথা রেখে কাঁদছেন তার স্ত্রী গরিমা। অন্য একটি ভিডিওতে দেখা যায়, জবিন গার্গের মরদেহ নিয়ে যাচ্ছে একটি সাদা রঙের অ্যাম্বুলেন্স। অসংখ্য মানুষ নেমে এসেছেন রাস্তায়।
আরো পড়ুন:
জুবিনের মৃত্যু, মামলা, মুখ খুললেন স্ত্রী গরিমা
পরপারে ভালো থেকো জুবিন: সোহম চক্রবর্তী
‘কিং অব হামিং’খ্যাত গায়ক জুবিন গার্গ গত ১৯ সেপ্টেম্বর সিঙ্গাপুরে মারা যান। আসামের অসংখ্য ভক্ত বিমানবন্দরে গিয়ে তার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানান। আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা, পররাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী পবিত্র মার্গারিটা দিল্লির আইহিআই বিমানবন্দরে শিল্পীর মরদেহে শ্রদ্ধা জানান।
আসাম সরকার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, “আসাম সরকার গভীর শোকের সঙ্গে জানাচ্ছে যে, শ্রী জুবিন গার্গ একজন অসামান্য শিল্পী, সাংস্কৃতিক আইকন, চলচ্চিত্র নির্মাতা এবং কোটি কোটি মানুষের হৃদয়ের নায়ক। তার মরদেহ রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত অর্জুন ভগেশ্বর বড়ুয়া স্পোর্টস কমপ্লেক্সে (সরুসজাই স্টেডিয়াম) রাখা হবে। বন্ধু-বান্ধব, অনুরাগী এবং ভক্তদের অনুরোধ করা হচ্ছে, সম্মানজনকভাবে আসামের এই প্রিয় সন্তানের শেষ যাত্রাকে স্মরণীয় করে তুলতে সহযোগিতা করুন।”
নর্থ-ইস্ট ইন্ডিয়া ফেস্টিভ্যালে যোগ দিতে সিঙ্গাপুর যান জুবিন গার্গ। এ উৎসবের একজন প্রতিনিধি এনডিটিভি-কে বলেন, “স্কুবা ডাইভিংয়ের সময়, জুবিন গার্গ শ্বাসকষ্ট অনুভব করেন এবং সঙ্গে সঙ্গেই তাকে সিপিআর দেওয়া হয়। তারপর দ্রুত তাকে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বিকাল আড়াইটা নাগাদ জুবিনকে মৃত ঘোষণা করা হয়।”
১৯৭২ সালের ১৮ নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেন জুবিন গার্গ। তিনি একাধারে ছিলেন গায়ক, সংগীত পরিচালক, সুরকার, গীতিকার, সংগীত প্রযোজক, অভিনেতা ও চলচ্চিত্র পরিচালক। ১৯৯২ সালে অনুষ্ঠিত যুব মহোৎসব পাশ্চাত্য একক পরিবেশনায় স্বর্ণপদক লাভ করার পর জুবিনের জীবন বদলে যায়। ১৯৯২ সালে অসমিয়া অ্যালবাম ‘অনামিকা’ মুক্তির মাধ্যমে জুবিন পেশাদার সংগীতজগতে প্রবেশ করেন।
২০০৬ সালে ‘গ্যাংস্টার’ সিনেমায় ‘ইয়া আলি’ গান গেয়ে তাক লাগিয়ে দেন জুবিন। তারপর বেশ কয়েকটি সুপারহিট গান উপহার দেন তিনি। পরে বলিউডে খুব একটা কাজ করতে দেখা যায়নি তাকে। তবে আসামের আঞ্চলিক সংগীত নিয়েই বেশি ব্যস্ত ছিলেন এই শিল্পী।
ঢাকা/শান্ত