নব্বই দশকের জনপ্রিয় বলিউড অভিনেত্রী জুহি চাওলা। দীর্ঘ অভিনয় ক্যারিয়ারে অসংখ্য দর্শকপ্রিয় সিনেমা উপহার দিয়েছেন। দর্শকদের মুঠো মুঠো ভালোবাসা যেমন কুড়িয়েছেন, তেমনি অঢেল সম্পদেরও মালিক হয়েছেন।

ভারতীয় সিনেমার সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিকপ্রাপ্ত অভিনেত্রীদের মধ্যে রয়েছেন—দীপিকা পাড়ুকোন, আলিয়া ভাট, প্রিয়াঙ্কা চোপড়া, ঐশ্বরিয়ার মতো তারকা শিল্পীরা। কিন্তু অর্থ-সম্পদের দিক থেকে সবাইকে টপকে গেছেন জুহি চাওলা।  

লাইভ মিন্ট ডটকমের তথ্য অনুসারে, জুহি চাওলার মোট সম্পদের পরিমাণ ৪ হাজার ৬০০ কোটি রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৬ হাজার ৩৯৭ কোটি টাকার বেশি)। হুরুন ইন্ডিয়া রিচ লিস্ট অনুযায়ী, ভারতীয় অভিনেত্রীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সম্পদের মালিক জুহি চাওলা। ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন, দীপিকা পাড়ুকোন, আলিয়া ভাট, প্রিয়াঙ্কা চোপড়া, কারিনা কাপুর খানকে ছাড়িয়ে গেছেন জুহি।

ইদানীং সিনেমায় ক্যামিও চরিত্রে দেখা যায় জুহি চাওলাকে। তার আয়ের মূল উৎস শুধু সিনেমা নয়। বরং বুদ্ধিদীপ্ত ব্যবসায়িক উদ্যোগও। আইপিএল ক্রিকেট টিমের অংশীদারিত্ব রয়েছে জুহির। তাছাড়া লাভজনক রিয়েল এস্টেটে বিনিয়োগ করে আজকের অবস্থান তৈরি করেছেন এই অভিনেত্রী।

শাহরুখ খানের সঙ্গে আইপিএল দল কলকাতা নাইট রাইডার্সের (কেকেআর) সহ-মালিক জুহি ও তার স্বামী জয় মেহতা। এই দলের পেছনে জুহি বিনিয়োগ করেছেন ৬২৯ কোটি রুপি। বর্তমানে এই দলটির মূল্য আছে ৯ হাজার ১৩৯ কোটি রুপি। শাহরুখ খানের সঙ্গে ‘রেড চিলিস গ্রুপ’ প্রতিষ্ঠা করেন জুহি। সৌরাষ্ট্র সিমেন্ট লিমিটেডের ০.

০৭ শতাংশের শেয়ার হোল্ডার জুহি। যদিও ট্রেন্ডিলেন জানিয়েছে, এটি জুহির স্বামীর মেহতা গ্রুপের একটি অংশ। মুম্বাইতে ইতালিয়ান এবং লেবানিজ খাবারের দুটো রেস্তোরাঁও রয়েছে জুহির। 

১৯৮৪ সালে ‘মিস ইন্ডিয়া’ খেতাব জিতেন জুহি চাওলা। ১৯৮৬ সালে ‘সুলতানাত’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে পা রাখেন। তখন তার বয়স মাত্র ১৯ বছর। ১৯৮৮ সালে ‘কেয়ামত সে কেয়ামত তক’ সিনেমায় আমির খানের সঙ্গে জুটি বেঁধে অভিনয় করে খ্যাতি লাভ করেন জুহি। এ সিনেমার জন্য শ্রেষ্ঠ নবাগত অভিনেত্রী বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার লাভ করেন জুহি। 

জুহি চাওলা অভিনীত জনপ্রিয় সিনেমাগুলোর মধ্যে রয়েছে—‘হাম হ্যায় রাহি পেয়ার কে’ (১৯৯৩), ‘ডর’ (১৯৯৩), ‘ইয়েস বস’ (১৯৯৭), ‘ইশক’ (১৯৯৭), ‘বোল রাধা বোল’ (১৯৯২), ‘রাজু বান গায়া জেন্টলম্যান’ (১৯৯২), ‘লাভ লাভ লাভ’ (১৯৮৯), ‘দিওয়ানা মাস্তানা’ (১৯৯৭) প্রভৃতি। 

ঢাকা/শান্ত

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

বিএনপি নেতা শহিদুলকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে চতুর্থ দিনের মতো বিক্ষোভ

সাতক্ষীরা-৩ (কালীগঞ্জ-আশাশুনি) আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী পরিবর্তন করে দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শহিদুল আলমকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে টানা চতুর্থ দিনের মতো বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন তাঁর অনুসারী নেতা-কর্মীরা।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে আশাশুনি বাসস্ট্যান্ড মোড়ে আশাশুনি-বড়দল সড়কে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সমাবেশে আশাশুনি উপজেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী ছাড়াও বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে সাধারণ মানুষ অংশ নেন। এ সময় আশাশুনি বাজার এলাকায় এ ঘণ্টা ধরে যান চলাচল বন্ধ থাকে।

রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে গত সোমবার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে ২৩৭টি আসনে দলীয় প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এতে সাতক্ষীরা-৩ আসনে মনোনয়ন পান দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য কাজী আলাউদ্দীন। এ আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন বিএনপিপন্থী চিকিৎসকদের সংগঠন ড্যাবের নেতা শহিদুল আলম।

এর আগে সোমবার মনোনয়ন ঘোষণার দিন, গত মঙ্গল ও বুধবার কালীগঞ্জ ও আশাশুনির বিভিন্ন এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ, আধা বেলা হরতাল ও কুশপুত্তলিকা দাহ কর্মসূচি পালন করেন শহিদুল আলমের অনুসারীরা।

আজকের সমাবেশে আশাশুনি সদর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি আবু হেনা মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক খালিদুজ্জামান, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সরদার রুহুল আমিন, বিএনপি নেতা আজহারুল ইসলাম, এস এম আখতারুজ্জামান, মনিরুজ্জামান, রাফসান আহমেদ, ইলিয়াস আলী, করিমুজ্জামান, জাকির হোসেন, ফিরোজ আহমেদ, হাফিজুল ইসলাম, শফিকুল ইসলাম প্রমুখ।

বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, তৃণমূলের মতামত না নিয়ে সাতক্ষীরা-৩ আসনে কাজী আলাউদ্দীনকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে, যিনি অতীতে জাতীয় পার্টির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। গত ১৭ বছরে তিনি এক দিনের জন্যও আশাশুনিতে আসেননি। কখনো স্থানীয় নেতা-কর্মীদের পাশে দাঁড়াননি। এলাকার মানুষের খোঁজও নেননি। আশাশুনির মানুষ তাঁকে চেনেন না। তাঁরা বলেন, শহিদুল আলম শুধু একজন রাজনীতিক নন, তিনি এলাকার গরিব মানুষের নির্ভরতা। তাঁর ব্যক্তিগত উদ্যোগে অসহায় রোগীদের বিনা খরচে চিকিৎসা দিয়ে তিনি সবার প্রিয় হয়ে উঠেছেন। আশাশুনির মানুষ তাঁকেই চান প্রতিনিধি হিসেবে।

সমাবেশ থেকে কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের দাবিতে এক দফা আলটিমেটাম দেওয়া হয়। বক্তারা বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজী আলাউদ্দীনের মনোনয়ন বাতিল করে শহিদুল আলমকে মনোনয়ন দিতে হবে। অন্যথায় আশাশুনি থেকে ঢাকার উদ্দেশে লংমার্চ শুরু করা হবে। সমাবেশে দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত ধারাবাহিক কর্মসূচি চলবে বলে জানানো হয়।

বিক্ষোভের সময় নেতা-কর্মীদের হাতে ‘গরিবের ডাক্তারকে চাই’, ‘হটাও কাজী, বাঁচাও ধানের শীষ’, ‘আশাশুনির মাটি, শহিদুল আলমের খাঁটি’ ইত্যাদি ফেস্টুন দেখা যায়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ