অন্তর্বর্তী সরকার: এক বছরে সফলতা ও ব্যর্থতা
Published: 8th, August 2025 GMT
গণ-অভ্যুত্থানের পর অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছরের মূল্যায়নে প্রশংসা ও সমালোচনা-উভয় দিকই সামনে এসেছে। সরকারের এক বছরের সফলতা-ব্যর্থতার আলোচনায় প্রাধান্য পাচ্ছে অর্থনীতি, বিচার সংস্কার এবং মব ভায়োলেন্সের মতো ইস্যুগুলো।
অন্তর্বর্তী সরকারের সবচেয়ে বড় সফলতা কী এই প্রশ্নে অর্থনীতিতে ব্যাংক, বাজার, রিজার্ভসহ সার্বিক পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য সরকার কৃতিত্ব পাচ্ছে।
তবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির, মব ভায়োলেন্স, মৌলিক সংস্কার এমনকি বিচার প্রক্রিয়ার কিছু বিষয়ে সরকারের ভূমিকার নানা সমালোচনা করছেন পর্যবেক্ষক এবং বিশ্লেষকরা।
আরো পড়ুন:
রাজনীতিতে পরিবর্তন ও ক্ষমতার ভারসাম্য রক্ষার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে
স্বাস্থ্য খাতে পরিবর্তনের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি, আগামীতে সুফল পাওয়া যাবে
৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের পতনের পর আন্দোলনকারী সব পক্ষের সমর্থনে অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বে ৮ আগস্টে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়। অভ্যুত্থান পরবর্তী সরকারের সামনে সংস্কার, বিচার এবং নির্বাচন অনুষ্ঠান এই তিনটি বড় দায়িত্ব ছিল।
এছাড়া ভঙ্গুর অবস্থা থেকে দেশের অর্থনীতিকে সামাল দেওয়ার চ্যালেঞ্জ ছিল সরকারের সামনে।
অর্থনীতির স্থিতিশীলতা
অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা আনা এবং বিপর্যয়কর পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকার যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে তার প্রশংসা রয়েছে। তবে বিনিয়োগ পরিস্থিতির উন্নয়ন না হওয়ায় দুর্বলতার কথাও সামনে আনছেন অর্থনীতিবিদরা।
সরকারের এক বছরের মূল্যায়ন করে অর্থনীতিবিদ ড.
তিনি বলেন, “অর্থনীতিতে সামষ্টিক স্থিতিশীলতার একটা বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে ছিল সরকারের পক্ষ থেকে মূল্যস্ফীতিকে নিয়ন্ত্রণ করা, টাকার পতন আটকানো, সুদের হার একটা অবস্থায় রাখা, বাজেট ঘাটতিকে নিয়ন্ত্রণে রাখা ইত্যাদি। কাজের ভেতরে সাফল্য এসেছে এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই।”
তবে অর্থনীতির এই সাফল্যটা মূলত হয়েছে বাইরের খাতে বা এক্সটার্নাল সেক্টরে। অর্থাৎ রেমিট্যান্স বেড়েছে, রপ্তানি চালু আছে, আমদানি কম হওয়ার ফলে বৈদেশিক লেনদেনে একটা ভারসাম্য এসেছে এবং সরকার অনেক পুরোনো বিদেশি ঋণ শোধ করেছে। এই সময়কালে বৈদেশিক মুদ্রার মজুত সে অর্থে কমেনি বলেও মনে করেন দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
তবে তার দৃষ্টিতে কর আহরণ বা আরো কার্যকরভাবে সরকারের বিনিয়োগ বা বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে অনেক বড় দুর্বলতা রয়ে গেছে।
তিনি বলেন, “সবচেয়ে বড় দুর্বলতা রয়ে গেছে আমরা ব্যক্তি খাতে বিনিয়োগ চালু করতে পারিনি। যে কর্মসংস্থানের আকাঙ্ক্ষা থেকে ছাত্র গণঅভ্যুত্থান হলো সেই কর্মসংস্থানের জায়গাটা দুর্বল রয়ে গেল।”
অর্থনীতিতে সরকারের সমস্যার জায়গা তুলে ধরে তিনি বলছেন, “সরকার অনেক সংস্কারের কথা বলে। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে কোনো মধ্যমেয়াদী নীতিকাঠামো দেওয়া হয়নি অর্থনীতির।”
তিনি উল্লেখ করেন, “সফল হয়েছে কি ব্যর্থ হয়েছে এটা কোনো লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আমি মূল্যায়ন করব, এটা পারছি না। আমি যেটা পারি সেটা হলো যে আগে কী ছিল, এখন কী হয়েছে। সেহেতু আগের সাথে পরের তুলনা করে আমরা দেখি যে একটা মিশ্র পরিস্থিতি এখানে আছে।”
বিচার ও সংস্কার
অন্তর্বর্তী সরকারের সামনে বড় দায়িত্ব ছিল জুলাই হত্যার বিচার এবং প্রশাসন থেকে শুরু করে নির্বাচন, দুর্নীতি দমন কমিশন, পুলিশ বাহিনীসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে মৌলিক কিছু সংস্কার করা।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, “বিচার, সংস্কার ও নির্বাচন তিনটি ক্ষেত্রেই কিছু ইতিবাচক অগ্রগতি হয়েছে।”
জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করতে সরকার একটি রূপরেখা দিয়েছে। তবে বিচার ও সংস্কার ইস্যুতে অগ্রগতির বেলায় সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলার সুযোগ রয়েছে বলে তিনি মনে করেন।
গত এক বছরে বিচার ব্যবস্থা প্রসঙ্গে ইফতেখারুজ্জামান বলেন, “বিচার প্রক্রিয়া প্রশ্নবিদ্ধ, এ নিয়ে বিতর্কের কোনো সুযোগ নেই।”
কারণ হিসেবে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, “ঢালাও মামলার ব্যাপারে শুরু থেকেই তাদের উদ্বেগ রয়েছে। এটি কোনো দেশেই বিচার প্রক্রিয়ার জন্য সুষ্ঠু না বলে তারা মনে করেন।”
এ বিষয়ে সরকারের একটা অবস্থান আছে যে মামলাগুলো সরকার করে না, সে কথা উল্লেখ করে ইফতেখারুজ্জামান বলেন,“এটা ঠিক। কিন্তু এটাকে নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রতিকারের উপায় তো সরকারকেই বের করতে হবে। সেদিকে আমরা তেমন কিছু দেখি না। কতটুকু বিচার, কতটুকু প্রতিশোধ এই প্রশ্নটা ওঠা খুবই যৌক্তিক, যেভাবে চলছে। অন্যদিক থেকে আবার বিচারকেন্দ্রিক অনিয়ম-দুর্নীতি-যেমন মামলা বাণিজ্য, গ্রেপ্তার বাণিজ্য, জামিন বাণিজ্য এই বিষয়গুলো মোটামুটি এক ধরনের স্বাভাবিকতায় রূপান্তর করা হয়েছে।”
ইফতেখারুজ্জামান সরকার গঠিত দুদক সংস্কার কমিশনের প্রধান ছিলেন, এছাড়া জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশনেরও সদস্য।
তিনি বলছেন, “দ্বিতীয় পর্যায়ে যে পাঁচটি সংস্কার কমিশন, সে কমিশনগুলো যথাযথ সময়ে রিপোর্ট দিয়েছে। রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে আশু করণীয় প্রস্তাবনাগুলো জমা দিয়েছে সরকারের কাছে। কিন্তু সেগুলো নিয়ে কোনো আলোচনা নেই, কোনো অগ্রগতি নেই।”
তার ভাষায়, “দুদক সংস্কার কমিশনসহ প্রথম দফার ছয়টি কমিশনের মধ্যে যে পাঁচটি কমিশনের আশু করণীয় প্রস্তাবগুলো এসেছে সেগুলোর ভাগ্যে কী হয়েছে এ প্রশ্নের জবাব কিন্তু সরকারের কাছ থেকে পাওয়া যায় না। যদিও সরকার বলছে ‘পদক্ষেপ নিচ্ছি’, কিন্তু বাস্তবে বলার মতো কোনো সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।”
ইফতেখারুজ্জামান প্রশ্ন রাখেন, “কিছু কিছু ক্ষেত্রে যেটা হয়েছে পিক অ্যান্ড চুজ। যেমন প্রশাসনিক সংস্কারের ক্ষেত্রে কমিশনের শতাধিক সুপারিশ ছিল, তার মধ্যে থেকে দেড় ডজনের মতো সুপারিশ পিক করা হয়েছে; যেখানে প্রাধান্যটা যদি দেখি, একটা দৃষ্টান্ত হচ্ছে- টয়লেট পরিষ্কার রাখতে হবে। বাংলাদেশে প্রশাসন সংস্কারের যে মৌলিক যায়গাগুলো সেগুলো কোথায়?”
আইনশৃঙ্খলার অবনতি ও ‘মব ভায়োলেন্স’
অন্তর্বর্তী সরকারের গত এক বছরে সারা দেশে ‘মব ভায়োলেন্স’ নিয়ে তীব্র সমালোচনা হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষক জোবাইদা নাসরীন বলেন, “সরকার বা সেনাবাহিনী বলছে যে মব ভায়োলেন্স টলারেট করবে না। কিন্তু কার্যত আমরা দেখতে পাচ্ছি যে মবের বিরুদ্ধে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না এবং আমরা দেখেছি যে সরকার বিভিন্ন সময় একে বৈধতা দিয়েছে বলে মনে হয়েছে।”
মব নিয়ে সমালোচনার মুখে বিভিন্ন সময় সরকারের উপদেষ্টারা বলেছেন, মব ভায়োলেন্সকে সরকার পৃষ্ঠপোষকতা করে না, এমনকি এর সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উন্নতির জন্য সরকার সেনাবাহিনীকে মেজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দিয়ে মাঠে রেখেছে। সরকারের দাবি, পরিস্থিতির উন্নতির জন্য সরকারের চেষ্টার ঘাটতি নেই।
সূত্র: বিবিসি
ঢাকা/এসবি
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সরক র ইফত খ র জ জ ম ন মব ভ য় ল ন স সরক র র এক সরক র র স পর স থ ত র জন য স এক বছর ন বল ন দ র বল র একট অবস থ
এছাড়াও পড়ুন:
৪০ বছর বয়সে ক্যারিয়ার পরিবর্তন করতে চান, সফলতার উপায়
একসময় অফিস মানেই ছিল সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত নির্দিষ্ট রুটিন। সিভিতে গ্যাপ থাকলে চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা কমে যেত। একই প্রতিষ্ঠানে দীর্ঘদিন কাজ করাকেই মনে করা হতো সাফল্যের চাবিকাঠি। ৪০ বছর বয়স পেরিয়ে নতুন ক্যারিয়ার শুরু করতে যাওয়াটা ছিল প্রায় অসম্ভব এক চিন্তা। কিন্তু সময় বদলে গেছে। এখন হাইব্রিড কর্মপরিবেশ, দীর্ঘ কর্মজীবন ও কর্মজীবনে অর্থবহতা খোঁজার প্রবণতা এই পুরোনো নিয়মগুলোকে অচল করে দিয়েছে। আজকের যুগে ৪০ বছর বয়সে ক্যারিয়ার পরিবর্তন আর ঝুঁকি নয়, বরং হতে পারে এক নতুন শুরুর সোনালি সুযোগ।
আরও পড়ুনপ্রাথমিকে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষার শিক্ষক নিয়োগের সুযোগ বাদ২০ ঘণ্টা আগেকেন ৪০ বছর ক্যারিয়ার পরিবর্তনের জন্য সেরা সময়৪০ বছর বয়সে পেশাগত জীবনে যে অভিজ্ঞতা, আত্মবিশ্বাস ও যোগাযোগ নেটওয়ার্ক তৈরি হয়, তা তরুণ বয়সে পাওয়া সম্ভব নয়। বর্তমানে মানুষ ৭০ বছর বা তারও বেশি সময় পর্যন্ত কর্মজীবনে থাকছেন। তাই ৪০ বছর বয়সে ক্যারিয়ার পরিবর্তন আসলে কর্মজীবনের মাঝপথ নয়; বরং এক নতুন অধ্যায়ের শুরু।
অনলাইন শেখার প্ল্যাটফর্ম, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও শক্তিশালী পেশাগত কমিউনিটির কারণে এখন ক্যারিয়ার পরিবর্তন অনেক সহজ ও বাস্তবসম্মত হয়ে উঠেছে।
আরও পড়ুনতিন প্রশ্নেই মাপা হয় মেধার ঝলক২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫যা সহজ করে এই পরিবর্তন– আর্থিক স্থিতিশীলতা: তরুণ বয়সের তুলনায় এই সময়ে আপনার সঞ্চয় বেশি থাকে, যা আপনাকে নতুন পথে এগিয়ে যেতে সাহস জোগাবে।
– শক্তিশালী নেটওয়ার্ক: বছরের পর বছর ধরে তৈরি পেশাগত সম্পর্ক নতুন সুযোগের দরজা খুলে দিতে পারে।
– মানবিক দক্ষতা: নেতৃত্ব, যোগাযোগ, সমস্যা সমাধান ও সম্পর্ক গঠনের দক্ষতা অভিজ্ঞতার মাধ্যমে তৈরি হয়—যা প্রযুক্তিনির্ভর কর্মক্ষেত্রে আরও মূল্যবান।
– স্পষ্টতা ও আত্মবিশ্বাস: আপনি এখন জানেন কোন কাজ আপনাকে অনুপ্রাণিত করে আর কোনটি করে না।
– নিজের মূল্যবোধ ও উদ্দেশ্যের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ কাজ খুঁজে পাওয়া
– দীর্ঘ অভিজ্ঞতাকে নতুনভাবে কাজে লাগানো
– কম স্ট্রেস ও বেশি ফ্লেক্সিবিলিটি অর্জন
– উদ্যোক্তা হওয়ার সুযোগ নেওয়া
ধাপ ১: নিজের প্রেরণা ও চাহিদা বুঝতে পারা। আপনি কেন পরিবর্তন চাইছেন, তা নির্ধারণ করুন—ক্লান্তি, নতুন চ্যালেঞ্জ, ক্ষেত্রের পরিবর্তন বা স্বপ্ন পূরণের জন্য?
ধাপ ২: বাধাগুলো চিহ্নিত করে ফেলুন। ভয়, অনিশ্চয়তা বা দিকনির্দেশনার অভাবই বড় বাধা হতে পারে। এগুলো চিহ্নিত করাই প্রথম পদক্ষেপ।
ধাপ ৩: পরিকল্পিতভাবে এগিয়ে যান। লক্ষ্য নির্ধারণ ও পার্সোনাল ব্র্যান্ড পুনর্মূল্যায়ন করুন। অতীত অভিজ্ঞতার দক্ষতাগুলো নতুন ভূমিকায় কীভাবে কাজে লাগবে, তা নিয়ে ভেবে উপায় বের করে ফেলুন। প্রয়োজনীয় কোর্স, সার্টিফিকেশন বা প্রজেক্টের মাধ্যমে নতুন দক্ষতা অর্জন করতে পারলে সুবিধা হবে। পুরোনো যোগাযোগ নতুন করে বাড়ান। নতুন ইন্ডাস্ট্রির (কোম্পানি/প্রতিষ্ঠান) মানুষের সঙ্গে কথা বলুন। এ ছাড়া খণ্ডকালীন, ছোট প্রজেক্ট করে আগ্রহ যাচাই করে নিন।
বয়সকে সীমা নয়, সম্ভাবনা হিসেবে দেখুন। অনেকে মনে করেন, ৪০ বছর বয়সের পর আর কিছু নতুন শুরু করা সম্ভব নয়। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। এই বয়সে আপনি জানেন আপনি কে, আপনার কাছে অভিজ্ঞতা আছে, আর প্রযুক্তি ও শেখার সুযোগ আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। তাই এখনই হতে পারে আপনার নতুন করে নিজেকে গড়ে তোলার সেরা সময়।
একটি ছোট পদক্ষেপই বড় পরিবর্তনের সূচনা করতে পারে। আপনার ৪০ বছর বয়সের ক্যারিয়ার পরিবর্তন কোনো সীমাবদ্ধতা নয়—এটাই হতে পারে আপনার জীবনের সেরা অধ্যায়ের শুরু।
তথ্যসূত্র: ফোর্বস
আরও পড়ুনফ্রিল্যান্সিংয়ে নামার আগে এ পাঁচটি বিষয় ভাবুন১৯ অক্টোবর ২০২৫