তাঁর বয়স এখনো ১৮ হয়নি। অন্য অনেক দেশের মতো ক্রোয়েশিয়ায়ও ভোটার হতে বয়স ১৮ হতে হয়। এখনো ভোটার না হতে পারলে কী হবে, এরই মধ্যে একটা বিশ্ব রেকর্ড গড়ে ফেলেছেন জ্যাক ভুকুসিচ। সাইপ্রাসের বিপক্ষে ঘরের মাঠে টি-টোয়েন্টি সিরিজে গতকাল ভুকুসিচ ক্রোয়েশিয়ার অধিনায়কত্ব করেছেন। তাতেই হয়ে গেছে রেকর্ডটা। ম্যাচের দিন (৭ আগস্ট ২০২৫) তাঁর বয়স ছিল ১৭ বছর ৩১১ দিন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ইতিহাসে ভুকুসিচই এখন সবচেয়ে কম বয়সী অধিনায়ক!

নেতৃত্বের অভিষেকটা অবশ্য সুখকর হয়নি ভুকুসিচের। একই দিনে তাঁর নেতৃত্বে দুটি ম্যাচ খেলেছে ক্রোয়েশিয়া, দুটিতেই সাইপ্রাসের কাছে হেরেছে তাঁর দল।

আইসিসি সহযোগী সদস্য দেশগুলোর ম্যাচকে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টির মর্যাদা দেওয়ার পর থেকেই এ রকম হচ্ছে। কোথায় কে কোন রেকর্ড গড়ছেন আর কোন রেকর্ড ভেঙে দিচ্ছেন হিসাব রাখা মুশকিল। ভুকুসিচের আগেই যেমন রেকর্ডটা ছিল ফ্রান্সের নোমান আমজাদের। ২০২২ সালের জুলাইয়ে চেক প্রজাতন্ত্রের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে ১৮ বছর ২৪ দিন বয়সে ফ্রান্সকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন আমজাদ। শুধু এই দুজনই নন, টি-টোয়েন্টি ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সবচেয়ে কম বয়সী চার অধিনায়কই সহযোগী সদস্য দেশের।

আরও পড়ুনটের স্টেগেনের অধিনায়কত্ব কেড়ে নিল বার্সা, নতুন অধিনায়ক কে৫৪ মিনিট আগেরশিদ খান.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র কর ড

এছাড়াও পড়ুন:

রোনালদো বললেন, ‘স্পেনের চেয়ে সৌদি আরবে গোল করা কঠিন’

ব্রিটিশ সাংবাদিক পিয়ার্স মরগানকে দেওয়া সাক্ষাৎকারের প্রথম পর্বে কথার আগল খুলে দিয়েছিলেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। অন্তরঙ্গ এই সাক্ষাৎকারে রোনালদো তাঁর ক্যারিয়ার, অর্জন, অবসর এবং ফুটবলের প্রতি ভালোবাসা নিয়ে কথা বলেছেন।

একই সাক্ষাৎকারের দ্বিতীয় অংশেও সামনে এসেছে ‘সিআর সেভেনের’ চমকপ্রদ সব মন্তব্য। যেখানে তিনি দিয়েগো জোতার শেষকৃত্যে না যাওয়ার কারণ ব্যাখ্যার পাশাপাশি কথা বলেছেন নিজের গোল করার ক্ষমতা, সৌদি ফুটবল ও বিশ্বকাপ নিয়েও।

লিভারপুল ও পর্তুগালের ফরোয়ার্ড দিয়োগো জোতা এবং তাঁর ভাই আন্দ্রে সিলভা গত জুলাই মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মারা যান। ক্লাব ও জাতীয় দলের বেশ কিছু সতীর্থ পর্তুগালে অনুষ্ঠিত জোতা ও তাঁর ভাইয়ের শেষকৃত্যে যোগ দিলেও রোনালদো ছিলেন অনুপস্থিত। রোনালদো বলেছেন, তিনি জোতার শেষকৃত্যে যাননি। কারণ, তিনি চাননি বিষয়টা ‘একটা সার্কাস’–এ পরিণত হোক।

আরও পড়ুনবিশ্বকাপ জিতলেই কি ইতিহাসের সেরা খেলোয়াড় হয় কেউ—প্রশ্ন রোনালদোর০৫ নভেম্বর ২০২৫

পিয়ার্স মরগানকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রোনালদো বলেন, ‘মানুষ আমার অনেক সমালোচনা করে। আমি তাতে কিছু মনে করি না। যখন তোমার বিবেক পরিষ্কার থাকে, তখন কে কী বলল, তা নিয়ে চিন্তা করার প্রয়োজন নেই। আমি একটা কাজ আর করি না, আমার বাবা মারা যাওয়ার পর থেকে আমি আর কখনো কবরস্থানে যাইনি। আমাকে যারা চেনে, তারা বিষয়টা জানে। আমি যেখানে যাই, সেখানে ভিড় জমে, হইচই হয়, মানে একরকম সার্কাস শুরু হয়ে যায়।’

রোনালদো যোগ করেন, ‘আমি বাইরে যাই না। কারণ, গেলে সবার দৃষ্টি আমার দিকেই চলে যায়। আমি এমন মনোযোগ চাই না। আমি দেখছিলাম যে কিছু লোক সেই সংবেদনশীল মুহূর্তে সাক্ষাৎকার নিচ্ছিল বা ফুটবল নিয়ে কথা বলছিল, আমি এটা পছন্দ করি না।’

পিয়ার্স মরগানকে দেওয়া সাক্ষাৎকারের দ্বিতীয় অংশে রোনালদো কথা বলেছেন নিজের গোল করার ক্ষমতা নিয়েও, ‘বাজে একটি মৌসুমেও যখন আল নাসর কোনো ট্রফি জেতেনি, তখনো আমি ২৫টি গোল করেছি। যদি আমি প্রিমিয়ার লিগে খেলতাম, তাহলে এখনো একই রকম গোল করতাম। ভালো দলে থাকলে ৪০ বছর বয়সেও একই রকম পারফর্ম করতাম।’

সাংবাদিক পিয়ার্স মরগানকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো

সম্পর্কিত নিবন্ধ