Prothomalo:
2025-08-08@18:07:43 GMT

জিয়া উদ্যান

Published: 8th, August 2025 GMT

ঢাকার অন্যতম প্রাকৃতিক বিনোদনকেন্দ্র জিয়া উদ্যান বর্তমানে চরম অব্যবস্থাপনার শিকার। একসময় সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোতে পরিবার ও সাধারণ কর্মব্যস্ত মানুষ প্রশান্তি পেতে আসত এই উদ্যানে। কিন্তু নিরাপদ এই উদ্যান আজ পরিণত হয়েছে মাদক সেবনসহ বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকাণ্ডের আখড়ায়।

উদ্যানের নির্জন স্থানে সন্ধ্যার পর মাদক সেবন, পতিতাবৃত্তি ও প্রকাশ্যে অশালীন আচরণের ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সন্ধ্যার পর পুরোনো বাণিজ্য মেলার মাঠ ও তার আশপাশে ছিনতাইকারী ও বখাটেরা ওত পেতে থাকে। নিরাপত্তাব্যবস্থার অভাব এবং কর্তৃপক্ষের নজরদারির ঘাটতি এর অন্যতম কারণ। এতে পরিবার, শিশু ও শিক্ষার্থীদের জন্য উদ্যানটি অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।

এই প্রেক্ষাপটে উদ্যানের যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণ, নিয়মিত নিরাপত্তা টহল এবং তরুণ প্রজন্মকে সচেতন করার কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া জরুরি। কর্তৃপক্ষের উচিত উদ্যানটিকে সুষ্ঠু তদারকিতে নিয়ে আসা। দর্শনার্থীরা যাতে এখানে স্বচ্ছন্দে চলাফেরা করতে পারেন এবং জিয়া উদ্যান যেন প্রকৃত অর্থে নগরবাসীর প্রশান্তির স্থান হয়ে উঠতে পারে, এমন পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

মো.

মাহমুদুল হাসান

ইতিহাস বিভাগ, ঢাকা কলেজ

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

গণ-অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া দলও কি স্বৈরাচারী হয়ে উঠতে পারে

১৫ বছর ধরে অনেক ব্যক্তি, রাজনৈতিক দল আর সংগঠন মিলে স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য চেষ্টা করে আসছিল। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট মাসে শেখ হাসিনার শাসনের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতা রাস্তায় নেমে আসেন।

এর ফলে হাসিনা সরকারের পতন হয় ও তিনি এবং তাঁর দলের কর্মীরা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন। এ পরিবর্তন শুধু একটা সরকারের পরিবর্তন নয়, বরং দীর্ঘ সময়ের ভয় ও দমনের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের সাহস, আশা ও গণতান্ত্রিক চেতনার একটি বড় জয় ছিল।

সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দেখা যায়, কিছু গোষ্ঠী ও রাজনৈতিক দল এই আন্দোলনের সফলতাকে শুধু নিজের নামে দাবি করতে শুরু করে। কেউ কেউ বলতে থাকে, তাদের কারণেই সরকার পতন ঘটেছে। তাই তারাই ভবিষ্যতে ক্ষমতার একমাত্র ভাগীদার।

আবার কিছু ধর্মীয় বা আদর্শিক গোষ্ঠী আন্দোলনের মধ্য দিয়ে নিজেদের শক্তি বাড়ানোর চেষ্টা করছে, যারা আগে প্রকাশ্যে তেমন সক্রিয় ছিল না। এ ছাড়া কিছু নতুন দল, যারা আগে রাজনীতিতে খুব একটা পরিচিত ছিল না, তারাও হঠাৎ করে সামনে চলে এসেছে। তারা নিজেদের ‘নতুন শক্তি’, ‘ভিন্নধারার দল’ হিসেবে উপস্থাপন করে, কিন্তু তাদের আচরণে কখনো কখনো পুরোনো রাজনীতির কৌশলই দেখা যায়।

আরও পড়ুনশেখ হাসিনা স্বৈরশাসকদের টিকে থাকার দুটি মূলমন্ত্রেই ব্যর্থ২২ আগস্ট ২০২৪

এই আন্দোলনের সময় বিভিন্ন গোষ্ঠী একসঙ্গে থাকলেও আন্দোলনের পর তারা নিজেদের অবস্থান ঠিক করতে গিয়ে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। কেউ কেউ আবার নিজেদের মধ্যে ক্ষমতার হিসাব-নিকাশ করছে। এতে আন্দোলনের মূল চেতনা—জনগণের অধিকার, গণতন্ত্র, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা যেন ধীরে ধীরে পেছনের দিকে চলে গেছে।

এ বাস্তবতায় প্রশ্ন ওঠে, যাঁরা ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমেছিলেন, তাঁরাই কি আবার ভবিষ্যতে ক্ষমতায় গিয়ে নতুন একধরনের স্বৈরতন্ত্রের জন্ম দেবেন?

ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটে। ৫ আগস্ট, ২০২৪

সম্পর্কিত নিবন্ধ