দিনের শেষ ওভারে ব্রায়ান বেনেটকে বেশ সমীহই করলেন রাচিন রবীন্দ্র ও হেনরি নিকোলস। জিম্বাবুয়ের খণ্ডকালীন স্পিনারের করা শেষ ওভারটি থেকে নিলেন মাত্র ১ রান। কতটা সমীহ করেছেন, সেটা বুঝতে চোখ রাখতে পারেন আগের ওভারগুলোতেও। ব্রেনেটের আগের ৫ ওভারে রান উঠেছে যথাক্রমে ১২, ১১, ১২, ২০ ও ৬।

বুলাওয়েতে আজ সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় দিনে স্বাগতিক বোলারদের ওপর রীতিমতো ঝড় বইয়ে দিয়েছে নিউজিল্যান্ড। সারা দিনে ৯১ ওভার ব্যাট করেছে কিউইরা। মাত্র দুই উইকেট হারিয়ে রান করেছে ৪২৭। আগের দিনের রান যোগ করে নিউজিল্যান্ডের প্রথম ইনিংসের রান দাঁড়িয়েছে ৩ উইকেটে ৬০১–এ। প্রথম ইনিংসে ১২৫ রানে অলআউট হওয়া জিম্বাবুয়ে এখনই ম্যাচে ৪৭৬ রানে পিছিয়ে।

নিউজিল্যান্ডের এই বড় সংগ্রহের মূলে তিন ব্যাটসম্যানের দেড় শ ছোঁয়া ইনিংস। ১ উইকেটে ১৭৪ রান নিয়ে দিন শুরুর সময় ডেভন কনওয়ে অপরাজিত ছিলেন ৭৪ রানে। বাঁহাতি এই ওপেনার নিজের পঞ্চম সেঞ্চুরি পূর্ণ করে আউট হয়েছেন ১৫৩ রানে। তার আগে দিনের শুরুর দিকে ফেরেন আগের বিকেলে নাইটওয়াচম্যান হিসেবে নামা জ্যাকব ডাফি। কনওয়েকে বোল্ড করেন ব্লেসিং মুজারাবানি, ডাফিকে বেনেটের ক্যাচ বানান ভিনসেন্ট মাসেকেসা।

লাঞ্চ বিরতি থেকে ফেরার কিছুক্ষণ পর কনওয়ে আউট হয়ে গেলে জুটি বাঁধেন রাচিন রবীন্দ্র ও হেনরি নিকোলস। দিনের বাকি অংশে এ দুই ব্যাটসম্যানই জিম্বাবুয়ে বোলারদের সময়টা কঠিন করে তুলেছেন। দিন শেষে অবিচ্ছিন্ন দুজনই, এরই মধ্যে যোগ করেছেন ২৫৬ রান।

এর চেয়েও বড় অর্জন দুজনই সেঞ্চুরি পূর্ণ করার পর দেড় শর ঘরও ছুঁয়েছেন। চারে নামা নিকোলসের অপরাজিত ২৪৫ বলে ১৫০ রান করে। আর তৃতীয় টেস্ট সেঞ্চুরি করা রবীন্দ্র অপরাজিত ১৩৯ বলে ১৬৫ রানে। যার মধ্যে ২১টি চারের সঙ্গে আছে ২টি ছক্কাও।

নিউজিল্যান্ডের তিন ব্যাটসম্যান ১৫০ স্পর্শের মাধ্যমে একটি রেকর্ডের খাতায় নাম লিখিয়েছেন। টেস্ট ক্রিকেটে এর আগে এক ইনিংসে তিনটি দেড় শ দেখা গেছে দুবার। প্রথমবার ১৯৩৮ সালে ওভালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ইংল্যান্ডের (লিওনার্ড হাটন, মরিস লেল্যান্ড ও জো হার্ডস্টাফ), আরেকটি ১৯৮৬ সালে কানপুরে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ভারতের (সুনীল গাভাস্কার, মোহাম্মদ আজহারউদ্দিন ও কপিল দেব)।

সংক্ষিপ্ত স্কোর (দ্বিতীয় দিন শেষে):জিম্বাবুয়ে প্রথম ইনিংস: ১২৫। নিউজিল্যান্ড প্রথম ইনিংস: ১৩০ ওভারে ৬০১/৩ (রবীন্দ্র ১৬৫*, কনওয়ে ১৫৩, নিকোলস ১৫০*, ইয়াং ৭৪; মুজারাবানি ১/১০১)।.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প রথম ইন রব ন দ র ন ক লস

এছাড়াও পড়ুন:

ব্যালন ডি’অর জিতে কাঁদলেন দেম্বেলে, বোনমাতির হ্যাটট্রিকের হাসি

একহারা গড়ন হলেও উইংয়ে বেশ শক্তপোক্ত উসমান দেম্বেলে। সহজে কেউ টলাতে পারে না। তবে সেটা বাইরের অংশ। মনে মনে দেম্বেলে বেশ নরম। আবেগে টলে যান।

সাফল্যের সিঁড়ি ভাঙতে ভাঙতে শেষ ধাপে দেম্বেলের সামনে ছিল বিজয়মঞ্চের সিঁড়ি। সেখান থেকে কিংবদন্তিদের ডাক পাওয়ার আগেই অতিথিদের মাঝে রব উঠেছিল, ‘উসমান! উসমান! উসমান!’ সেই ভিড়ে অন্তত একজন যে চুপচাপ ছিলেন তা নিশ্চিত। লামিনে ইয়ামাল!

দেম্বেলের একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী। মঞ্চ থেকে কিছুক্ষণ আগেই ঘোষণা করা হয়েছে লড়াইটা ৩০ জন থেকে নেমে এসেছে তাঁদের দুজনে মাঝে।

ফয়সালা ঘোষণায় মঞ্চে ডাক পড়েছে পিএসজিতেই খেলা এক কিংবদন্তির, যার বাড়িতেও আছে এই অনুষ্ঠানের মধ্যমণি--ব্যালন ডি’অর ট্রফি! ভদ্রলোকের নাম রোনালদিনিও। মঞ্চে দাঁড়িয়ে খাম খুলে তিনি বিজয়ীর নাম ঘোষণা করার আগেই দর্শকসারির একাংশ তাদের রায় জানিয়ে দেন। উসমান!

সেটা হবে না কেন? বলতে পারেন, ‘দেশের ছেলে’ বলে কথা! ব্যালন ডি’অর রাতের রঙ্গমঞ্চটা প্যারিসের থিয়াত্র দ্যু শাতলে। দেম্বেলে একে তো ফ্রান্সের ছেলে, তারওপর প্যারিসেরই ক্লাব পিএসজির তারকা। গত মৌসুমে ৫৩ ম্যাচে ৩৫ গোল ও ১৬টি গোল বানিয়ে পিএসজিকে জিতিয়েছেন ঐতিহাসিক ‘ট্রেবল’। প্যারিস যে ট্রফিটার জন্য মাথা কুটে মরেছে, সেই ইউরোপসেরার চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ে করেছেন ৮ গোল। লিগ জয়েও যৌথভাবে সর্বোচ্চ গোলদাতা। রোনালদিনিও এক শব্দে ‘দেম্বেলে’ নামটি বলার আগেই বিজয়ী কে, প্যারিস যেন তা জানত!

কোপা ট্রফি জেতেন ইয়ামাল

সম্পর্কিত নিবন্ধ