মাঝ আকাশে যান্ত্রিক ক্রুটি, ব্যাংকক যাত্রার এক ঘণ্টা পর ঢাকায় ফিরল বিমানের ফ্লাইট
Published: 8th, August 2025 GMT
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ব্যাংককগামী একটি উড়োজাহাজে আবারও যান্ত্রিক ক্রটি দেখা দেওয়ায় উড্ডয়নের প্রায় এক ঘণ্টা পর ঢাকায় ফিরে এসেছে ফ্লাইটটি। এই বিমানে যাত্রী ছিলেন ১৪৬ জন। পরে যাত্রীদের আরেকটি উড়োজাহাজে করে ব্যাংককে পাঠানো হয়।
বিমানের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ঢাকা থেকে থাইল্যান্ডের ব্যাংককের উদ্দেশে গত বুধবার (৬ আগস্ট) দুপুর ১২টা ৬ মিনিটে ছেড়ে যায় বিমানের বিজি-৩৮৮ ফ্লাইটটি। কিন্তু যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে এটি মিয়ানমার থেকে ঢাকায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফিরে আসে।
ফ্লাইটটি পরিচালিত হচ্ছিল এস২–এএফএল রেজিস্ট্রেশনের বোয়িং ৭৩৭-৮০০ উড়োজাহাজ দিয়ে, যার ধারণক্ষমতা ১৭০ জন। উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পর পাইলট ইঞ্জিনে অস্বাভাবিক কম্পন শনাক্ত করেন। তখন উড়োজাহাজটি মিয়ানমারের আকাশসীমায় ছিল। নিরাপত্তার কারণে পাইলট ফ্লাইটটি ফেরত আনার সিদ্ধান্ত নিলে বেলা ১টা ২১ মিনিটে ঢাকায় অবতরণ করে।
এ বিষয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের জনসংযোগ বিভাগের ব্যবস্থাপক আল মাসুদ খান ইউএনবিকে জানান, ব্যাংককগামী ফ্লাইটটি এক ঘণ্টা উড়ে ঢাকায় ফিরে আসে। কী কারণে সমস্যা হয়েছে, তা প্রকৌশল বিভাগ তদন্ত করে জানাবে। ফিরিয়ে আনা যাত্রীদের আজ সন্ধ্যা ৬টা ২ মিনিটে আরেকটি বোয়িং ৭৭৭ উড়োজাহাজে ব্যাংকক পাঠানো হয়।
গত ২৮ জুলাই বিকেল ৩টা ৩৩ মিনিটে ঢাকা থেকে সৌদি আরবের দাম্মামের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া বিজি-৩৪৯ ফ্লাইটটিও একই পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছিল। বোয়িং ৭৭৭-ইআর উড়োজাহাজে পরিচালিত সেই ফ্লাইট এক ঘণ্টা আকাশে ওড়ার পর বিকেল ৪টা ৩৩ মিনিটে ঢাকায় ফিরে আসে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ফ ল ইটট
এছাড়াও পড়ুন:
মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষায় আরও অগ্রগতি প্রয়োজন: অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল
আলোকচিত্রী শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে সাত বছর আগে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) আইনের ৫৭ ধারায় করা মামলা বাতিলকে স্বাগত জানিয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। একই সঙ্গে বাংলাদেশে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষায় আরও অগ্রগতি প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাটি।
অ্যামনেস্টির দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক গবেষণা পরিচালক ইসাবেল লাসে বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এ কথা বলেছেন। তিনি বলেন, ‘শহিদুল আলমের এই রায় অনেক আগেই পাওয়া দরকার ছিল। তাঁকে যখন আটক করা হয়েছিল, তখন আমরা তাঁকে বিবেকের বন্দী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিলাম। তাঁর তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) আইনে গ্রেপ্তার হওয়া কখনো উচিত ছিল না। ২০১৮ সালে নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর বাংলাদেশের (তৎকালীন) কর্তৃপক্ষের অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ ও দমন-পীড়নের সমালোচনা করার কারণেই তাঁকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল।’
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও শান্তিপূর্ণ সমাবেশের ওপর পদ্ধতিগত ও সহিংস উপায়ে দমন-পীড়ন চালানোর ধারা পরিবর্তন করাটা অপরিহার্য বলে মন্তব্য করেন ইসাবেল লাসে। তিনি বলেন, ‘এ জন্য প্রথম পদক্ষেপ হতে পারে, নিজেদের আইনকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন ও মানদণ্ডের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করা এবং যেসব কর্মকর্তা বিক্ষোভকারীদের ওপর অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ বা হেফাজতে থাকা ব্যক্তিদের নির্যাতনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে, তাঁদের বিচার নিশ্চিত করা। যাঁরা এসবের নির্দেশ দিয়েছেন, তাঁদেরও বিচারের আওতায় আনতে হবে। যেহেতু বাংলাদেশ একটি ন্যায়ভিত্তিক ও মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল সমাজের দিকে যাত্রা করছে বলে অনেকে আশা করছেন, তাই সেখানে এ ধরনের দমনমূলক কৌশলের কোনো স্থান নেই।’
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল মনে করে, শহিদুল আলমের মামলা বাতিল করাই যথেষ্ট নয়। মতপ্রকাশের কারণে তাঁকে ১০০ দিনের বেশি আটকে রাখা হয়েছে এবং হেফাজতে থাকা অবস্থায় তাঁর ওপর নির্যাতন হয়েছে। তাঁর এগুলোর প্রতিকার পাওয়ার সুযোগ দেওয়া উচিত।
শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে ২০০৬ সালের আইসিটি আইনের ৫৭ ধারায় করা মামলাটি বৃহস্পতিবার বাতিল করে রায় দেন হাইকোর্ট।