শত বছরের পুরোনো জলাধার। নাম পাহাড়তলী জামে মসজিদ পুকুর। পুকুরটির আয়তন পাড়সহ প্রায় সোয়া এক একর। চট্টগ্রাম-কাপ্তাই প্রধান সড়কের পাশে রাউজানের পাহাড়তলী এলাকায় ছিল পুকুরটির অবস্থান। ১৫ বছর আগে পুকুরটি ভরাট করা হয় আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরীর ক্ষমতার দাপটে। ভরাটকাজ তদারকি করেন পাহাড়তলী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা রোকন উদ্দীন।

পুকুরটি ভরাট করে গড়ে উঠেছে বহুতল বিপণিকেন্দ্র, আবাসন, খেলার কৃত্রিম টার্ফ ও ভাড়া ঘর। বিপণিকেন্দ্রের নাম ডিএন প্লাজা। পুকুরটি বাঁচাতে লাগোয়া পাহাড়তলী চৌমুহনী জামে মসজিদের মোতোয়ালি এ কে এম আকতার কামাল তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুনের শরণাপন্ন হয়েছিলেন। এতে মাসখানেক বন্ধ ছিল ভরাটকাজ। কিন্তু ফজলে করিম চৌধুরীর দাপটে পুনরায় ভরাটকাজ শুরু হয়। এরপর পুকুর ভরাট করে পরিবর্তন করা হয় জমির শ্রেণিও।

সাহারা খাতুনের কাছে যাওয়া এবং জলাশয় ভরাট বন্ধের চেষ্টার পরিণতিও ভোগ করতে হয়েছিল মোতোয়ালি আকতার কামাল চৌধুরীকে। তাঁর অভিযোগ, ফজলে করিম চৌধুরী ফোনে হুমকি দিয়েছিলেন। এ ছাড়া তাঁর ব্যক্তিগত দোকান দখল করে পাহাড়তলী আওয়ামী লীগের কার্যালয় করা হয়েছে।

নির্দেশনা থাকলেও পুকুর ভরাটের বিরুদ্ধে দেড় দশক ধরে মামলার সাহসই করতে পারেনি পরিবেশ অধিদপ্তর। গত বছরের ৫ আগস্ট গণ–অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ফজলে করিম গ্রেপ্তার হয়ে এখন কারাগারে। ভরাটে অভিযুক্তরাও পলাতক। অবশেষে চলতি বছরের ৪ আগস্ট মামলা করে পরিবেশ অধিদপ্তর। এতে রোকন উদ্দীনসহ তিনজনকে আসামি করা হয়। ফজলে করিমের বিরুদ্ধে করা হয় সাধারণ ডায়েরি।

এক পাশে করা হয়েছে কৃত্রিম খেলার মাঠ—টার্ফ.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প হ ড়তল আওয় ম

এছাড়াও পড়ুন:

লক্ষ্মীপুরে আগ্নেয়াস্ত্র-ইয়াবাসহ তিন যুবক গ্রেপ্তার

লক্ষ্মীপুরে যৌথ বাহিনীর অভিযানে আগ্নেয়াস্ত্র, ইয়াবাসহ তিন যুবক গ্রেপ্তার হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে লক্ষ্মীপুর পৌরসভার পশ্চিম লক্ষ্মীপুর এলাকার একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার তিন যুবকের মধ্যে দুজন ভাই। তাঁরা হলেন পশ্চিম লক্ষ্মীপুর এলাকার মনির হোসেনের ছেলে আহম্মদ ফারুক ও আহম্মদ আল আরেফিন। গ্রেপ্তার অপরজন হলেন পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ড বাঞ্ছানগর এলাকার তোফায়েল আহম্মদের ছেলে আহসান আহম্মেদ।

পুলিশ জানায়, অভিযানে ওই বাসা থেকে ২টি এলজি, ৩টি রামদা, ৫টি চাকু, ১টি পিস্তলের ম্যাগাজিন, ২দুটি গুলি, ৮৩টি ইয়াবা বড়ি, সেনাবাহিনীর ইউনিফর্ম ও ৩৬ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া ৪টি খাতা উদ্ধার করা হয়েছে। এসব খাতায় মাদক ব্যবসার হিসাব রাখা হতো।

জানতে চাইলে লক্ষ্মীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল মোন্নাফ প্রথম আলোকে বলেন, এ ঘটনায় লক্ষ্মীপুর সদর থানার উপপরিদর্শক সোহেল রানা বাদী হয়ে মামলা করেছেন। অভিযানে আটক তিনজনকে মামলাটিতে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ