Prothomalo:
2025-08-09@06:45:33 GMT

গাজার ধ্বংসস্তূপে বইয়ের আলো

Published: 9th, August 2025 GMT

ইসরায়েলের গণহত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞের মধে৵ও গাজায় একটি ছোট বইয়ের দোকান ‘ইকরা কিতাবাক’ যেন আলো ছড়াচ্ছে। দোকানটি ২০২৪ সালের এপ্রিলের শেষ দিকে চালু হয়। গাজার ঠিক কেন্দ্রস্থলে, নুসাইরাত শরণার্থী ক্যাম্পের ধ্বংসস্তূপের মাঝখানে।

আরবি ও ইংরেজি ভাষার উপন্যাস, কবিতা, দর্শন, ধর্মীয় ও আত্মোন্নয়নমূলক বই পরিপাটি করে সাজানো রয়েছে রাস্তার পাশে কাঠের অস্থায়ী তক্তার ওপর। ধূসর ধ্বংসাবশেষের মধ্যে সেগুলোর রঙিন প্রচ্ছদগুলো যেন চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয় আশপাশের নৈরাশ্যের প্রতি।

আধা বিধ্বস্ত বা পুরোপুরি ভেঙে পড়া ভবন এবং বিমান হামলার ধ্বংসাবশেষে ঘেরা সেই জায়গায় বই যেন একেবারেই বেমানান; কিন্তু বইগুলোর শিরোনাম সেখানকার আশা, ভালোবাসা, ক্ষতি ও প্রতিরোধের গল্প বলছে। দোকানটি হয়ে উঠেছে ছোট্ট ফিলিস্তিন, যেটি ইসরায়েলের গণহত্যা মুছে ফেলতে চেয়েছে।

এটি পরিচালনা করছেন দুই ভাই—সালাহ ও আবদুল্লাহ সারসুর। তাঁরা নিজেদের বাড়ি হারিয়েছেন এবং বর্তমানে নুসাইরাত ক্যাম্পে একটি স্কুলে আশ্রয় নিয়েছেন।

ছোটবেলা থেকেই বইয়ের প্রতি প্রবল আগ্রহ দুই ভাইয়ের। তাই ২১ মাস ধরে গাজায় চলতে থাকা ইসরায়েলি গণহত্যা ও দুর্ভোগ সত্ত্বেও তাঁরা পড়া বন্ধ করেননি। তবে এ সময়ে বই পাওয়া খুব কঠিন ছিল; কিন্তু আবদুল্লাহ একাধিকবার জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ও খরচ করে গাজা শহরের সামির মনসুর বইয়ের দোকানসহ উত্তর গাজার বিভিন্ন স্থানে যান ভালো বইয়ের খোঁজে।

আবদুল্লাহর ভাষ্য, এটা আমরা কেবল নিজেদের জন্য করিনি। আমরা জানতাম, ক্যাম্পে আরও অনেকে আছেন, যাঁরা বই পড়তে ভালোবাসেন; কিন্তু সবাই বের হতে পারছেন না।

এ ভাবনা থেকে দুই ভাই সিদ্ধান্ত নেন, বইকে মানুষের কাছে নিয়ে আসবেন। তাঁরা নিজেদের স্বল্প সঞ্চয় একত্র করে উত্তর গাজা থেকে অনেকগুলো বই কিনে আনেন এবং সেই বই দিয়েই শুরু করেন তাঁদের ছোট্ট দোকান।

এই দুই ভাইয়ের উদ্দেশ্য ব্যবসা নয়, মানুষের জন্য বই সহজলভ্য করা, যেন মানুষ আবার পড়ার অভ্যাসে ফিরতে পারেন।

সালাহ বলেন, ‘এটা শুধু একটি ব্যবসা শুরু করার বিষয় নয়, এটি মানুষের সঙ্গে আমাদের ভালোবাসা ভাগ করে নেওয়ার বিষয়। আমরা চাই, মানুষ আবার পড়া শুরু করুক।’

ওই ছোট্ট দোকানটি হয়ে উঠেছে সেখানকার মানুষের সময় কাটানোর কেন্দ্রবিন্দু। মানুষ যে দোকানটিতে ছুটে যাচ্ছেন, তাতে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই। কারণ, ফিলিস্তিনের একটি সমৃদ্ধ সাহিত্য ঐতিহ্য আছে এবং সেখানে আছে বিশ্বের উচ্চতম সাক্ষরতার হার। ‘দ্য ইলেকট্রনিক ইন্তিফাদা’র প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজায় ১৫ বছরের ঊর্ধ্বের প্রায় ৯৮ শতাংশ মানুষ পড়তে পারে। উইকিপিডিয়ার তথ্যমতে, গোটা ফিলিস্তিনে সাক্ষরতার হার ৯৭ শতাংশ। যেখানে যুক্তরাষ্ট্রে প্রাপ্তবয়স্কদের সাক্ষরতার হার ৮৬ শতাংশ।

সারসুর ভাইদের দোকানটি এমন স্থানে পরিণত হয়েছে, যা গাজায় একেবারেই বিরল। কারণ, ইসরায়েলি বাহিনী অধিকাংশ পাঠাগার, বিশ্ববিদ্যালয় ও স্কুল ধ্বংস করেছে। তা–ই নয়, তারা অনেক কবি ও লেখককে হত্যা করেছে।

ফিলিস্তিনি লেখক আমাল আবু সাইফ বলেন, ‘যখনই মনে হয় আর সহ্য করতে পারছি না, আমাকে পৃথিবী থেকে অন্য এক জগতে পালাতে হবে, তখনই আমি বইয়ের মাধ্যমে পালিয়ে যাই। এই বইয়ের দোকান এখন আমার সবচেয়ে প্রিয় একমাত্র জায়গা, যেখানে আমি আবার নিজেকে আগের মতো ভাবতে পারি।’

আমালের বিশ্বাস, পড়ালেখা হলো তাঁর প্রতিরোধের একমাত্র পথ। প্রয়াত কবি মাহমুদ দারবিশের দেখানো পথকে তিনি মনে করেন, অত্যাচারিত মানুষের লেখা একধরনের প্রতিরোধ।

সম্প্রতি আমালের প্রথম উপন্যাস আথির গাজা (প্রিয় গাজা) প্রকাশিত হয়েছে। তাঁর ভাষ্য, ‘আমরা একটি ছোট তাঁবুতে আশ্রয় নিয়েছিলাম। কিছুই করার ছিল না; না কোনো বিশ্ববিদ্যালয়, না ক্লাস—শুধু খাবার ও পানির খোঁজে ঘুরে বেড়ানো আর কাঠ জ্বালিয়ে রান্না করা। একদিন নিজেকে বললাম, আমি কত দিন এভাবে বসে থাকব? না, আমি কিছু করতে চাই। আমি পরিবর্তন আনতে চাই।’

২০২৪ সালের জানুয়ারিতে তিনি প্রতিদিনের অভিজ্ঞতা ও যন্ত্রণা মুঠোফোনের নোটস অ্যাপে লিখতে শুরু করেন। শুরুতে অল্প অল্প করে লিখতেন; কয়েক মাস পর সেই লেখাগুলোকেই তিনি বড় করে উপন্যাসে রূপ দেন। জুলাইয়ে তাঁর বইটি প্রকাশিত হয়। এখন তা সমগ্র আরবে পাওয়া যাচ্ছে।

অন্যদিকে কথাসাহিত্যিক হাসান আল-কাতরাউই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লেখেন, ‘সারসুর ভাইদের বই তাঁর কাছে জীবনরেখার মতো। ওরা (ইসরায়েলিরা) আমাদের বাহ্যিকভাবে ধ্বংস করে আর আমরা নিজেদের গড়ি ভেতর থেকে।’

হাসান আল-কাতরাউই বলেন, খাবারের ক্ষুধা সাময়িক; কিন্তু পড়ার ক্ষুধা চিরন্তন।

অধিকাংশ ফিলিস্তিনি গর্ব করেন তাঁদের পড়াশোনার প্রতি ভালোবাসা নিয়ে। প্রায় দুই বছর ধরে সেখানকার শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস হয়েছে। অথচ এই ভয়াবহ অবস্থাতেও মানুষ পড়া, লেখা ও শেখা থামাননি।

ইকরা কিতাবাক এখন কেবল বই কেনার জায়গা নয়; এটি হয়ে উঠেছে আলাপচারিতার স্থান, শিশুদের জন্য গল্পের বইয়ের পাতা উল্টে দেখা ও তাদের হারানো শিক্ষাজীবনকে খানিকটা হলেও পূরণ করার জায়গা। প্রবীণদের জন্য পুরোনো মুখস্থ কবিতা আবার ফিরে পাওয়া; আর লেখকদের জন্য নতুন গল্প ও বই লেখার অনুপ্রেরণার জায়গা।

গাজায় ইসরায়েলি বোমাবর্ষণে অনেক লাইব্রেরি আংশিক বা পুরোপুরি ধ্বংস হয়েছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে গাজাজুড়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ।

বিশ্ববিদ্যালয় ও স্কুলের শিক্ষকদের ওপর আক্রমণ পরিষ্কার করে যে ইসরায়েলের লক্ষ্যবস্তু কেবল অবকাঠামো নয়, একটি জাতির ইতিহাস মুছে ফেলার, কণ্ঠস্বর স্তব্ধ ও বুদ্ধিবৃত্তিক চেতনা ধ্বংস করার চেষ্টা।

কিন্তু চিন্তা কখনো মারা যায় না। যত দিন চিন্তা বেঁচে থাকবে, বইয়ের প্রয়োজন থাকবে, যা সারসুর ভাইয়েরাই প্রমাণ করছেন।

সূত্র: দ্য ইলেকট্রনিক ইন্তিফাদা, লিটারেরি হাব

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ইসর য় ল র দ র জন য দ ক নট স রস র বইয় র

এছাড়াও পড়ুন:

ইসরায়েলের হামলায় নিহত ফিলিস্তিনি ফুটবলের ‘পেলে’

ফিলিস্তিন জাতীয় দলের সাবেক ফরোয়ার্ড সুলেইমান আল–ওবেইদ ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর হামলায় নিহত হয়েছেন। গাজার দক্ষিণাঞ্চলে মানবিক সাহায্য পেতে অপেক্ষমাণ ফিলিস্তিনি জনতার ওপর ইসরায়েলি বাহিনী হামলা চালালে প্রাণ হারান ৪১ বছর বয়সী এই ফুটবলার। ফিলিস্তিন ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (পিএএফ) গতকাল তাদের ওয়েবসাইটে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সুলেইমানের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে।

আরও পড়ুনবন্ধু সুয়ারেজ ও ‘দেহরক্ষী’ দি পলে কোয়ার্টার ফাইনালে মেসির মায়ামি৫ ঘণ্টা আগে

পিএএফের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘গাজা উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলে মানবিক সাহায্যের জন্য অপেক্ষমাণ মানুষের ওপর ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় শহীদ হয়েছেন জাতীয় দলের সাবেক খেলোয়াড় ও বিচ সার্ভিসেস দলের তারকা সুলেইমান আল–ওবেইদ। ফিলিস্তিন ফুটবলে সুলেইমান “দ্য গ্যাজেল (হরিণ)”, “দ্য ব্লাক পার্ল (কালো মুক্তা)”, “হেনরি অব প্যালেস্টাইন” এবং “পেলে অব প্যালেস্টাইন ফুটবল” নামে পরিচিত ছিলেন। পাঁচ সন্তান রেখে মারা গেছেন ফিলিস্তিন ফুটবলের এই পেলে।’

গাজায় জন্ম নেওয়া সুলেইমান সার্ভিসেস বিচ ক্লাবের হয়ে ক্যারিয়ার শুরু করেন। এরপর পশ্চিম তীরে গিয়ে সেখানকার ক্লাব আল আমারি ইয়ুথ সেন্টারে ২০০৯ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত খেলেন। ২০১০–১১ মৌসুমে ফিলিস্তিনের প্রথম পেশাদার ফুটবল লিগ জেতেন সুলেইমান। আল আমারি ছেড়ে আল শাতিয়া ক্লাবে এক মৌসুম খেলেন সুলেইমান। এরপর গাজা স্পোর্টস ক্লাবের হয়ে সাউদার্ন গভর্নরেটস প্রিমিয়ার লিগে ২০২৬–১৭ মৌসুমে ১৭ গোল করে সর্বোচ্চ গোলদাতা হন। পরের মৌসুমে আল খাদামা ক্লাবের হয়েও লিগে সর্বোচ্চ গোলদাতা হন।

আরও পড়ুনলা লিগায় সর্বোচ্চ বেতন পাওয়া ১০ ফুটবলার৬ ঘণ্টা আগে

পিএএফের বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, দুর্দান্ত গতি ও দক্ষতার জন্য ২০০৭ সালে ফিলিস্তিন জাতীয় দলে জায়গা করে নেন সুলেইমান। ২০১৩ সালে জাতীয় দলের হয়ে শেষ ম্যাচটি খেলার আগে ২৪ ম্যাচে করেন ২ গোল। এর মধ্যে সুলেইমানের বিখ্যাত গোলটি ২০১০ সালে পশ্চিম এশিয়ান ফুটবল ফেডারেশন চ্যাম্পিয়নশিপে। ইয়েমেনের বিপক্ষে ‘সিজর্স কিকে’ চোখধাঁধানো গোলটি করেছিলেন।

সুলেইমানের মৃত্যুতে শোক জানিয়ে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড কিংবদন্তি এরিক ক্যান্টোনা নিজের ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডলে লিখেছেন, ”‘সাহায্য পাওয়ার আশায় রাফায় অবস্থান করার সময় ফিলিস্তিন জাতীয় দলের তারকা সুলেইমান আল–ওবেইদকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। তাকে “ফিলিস্তিনের পেলে” ডাকা হতো। আমরা তাদের আর কত গণহত্যা করতে দেব? ফিলিস্তিন মুক্ত হোক।’”

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘লম্বা ক্যারিয়ারে সুলেইমান আল–ওবেইদ ১০০–এর বেশি গোল করে ফিলিস্তিন ফুটবলের অন্যতম উজ্জ্বল তারকায় পরিণত হয়েছিলেন।’ তাঁর মৃত্যুর মধ্য দিয়ে খেলাধুলা ও স্কাউটিং–সংশ্লিষ্ট পরিবারে শহীদের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৬৬২, যেটা ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের নির্মূলীকরণ যুদ্ধের মাধ্যমে শুরু হয়। ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন–সংশ্লিষ্ট মৃত মানুষের সংখ্যা ৩২১। এর মধ্যে রয়েছেন খেলোয়াড়, কোচ, প্রশাসক, সংগঠক, রেফারি ও ক্লাবের বোর্ড সদস্য।’

তবে গত ২৩ জুলাই পিএএফের এক্সে করা পোস্টের বরাত দিয়ে ফুটবলপ্যালেস্টাইন ওয়েবসাইট জানিয়েছে, গত ৬৬৯ দিনে ইসরায়েলের হামলায় ৪০০–এর বেশি ফুটবলার নিহত হয়েছেন। সেই পোস্টে তখন জানানো হয়েছিল, সর্বশেষ ৬৫৬ দিনে খেলাধুলা ও স্কাউটিং–সংশ্লিষ্ট ৮০০–এর বেশি নিহত হয়েছেন ইসরায়েলের হামলায়।

গত ২৯ জুলাই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ফিলিস্তিন অলিম্পিক কমিটি জানিয়েছে, শুধু জুলাই মাসেই গাজা ও দখলকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের হামলায় ৪০ জন ফিলিস্তিনি অ্যাথলেট নিহত হয়েছেন। বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, ‘একেকটি দিন যায় আর ফিলিস্তিনের ক্রীড়াঙ্গনে বিয়োগান্ত ঘটনার নতুন অধ্যায় যোগ হয়।’

গাজায় গণহত্যামূলক যুদ্ধ শুরুর পর ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে ৬১ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নাগরিক মারা গেছেন। আহত হয়েছেন দেড় লাখের বেশি; তাঁদের মধ্যে বেশির ভাগই নারী ও শিশু বলে জানিয়েছে ইরানের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম প্রেসটিভি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • লেভেল প্লেয়িং ছাড়া নির্বাচনে যাওয়া হাত পা বেঁধে সাঁতার কাটার শামিল: জাপা
  • চিহ্নিত গণহত্যাকারীদের ছবি প্রদর্শন করে ঢাবিকে কলঙ্কিত করেছে শিবির, বিবৃতিতে ছাত্র ইউনিয়ন
  • জামায়াতকে মুক্তিযুদ্ধে বিরোধিতার দায় স্বীকারের আহ্বান ৩২ বিশিষ্ট নাগরিকের
  • ইসরায়েলের হামলায় নিহত ফিলিস্তিনি ফুটবলের ‘পেলে’
  • চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীদের ছবি প্রদর্শনের ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের পদত্যাগ দাবি শিক্ষক নেটওয়ার্কের
  • সাবেক ডিআইজি গাজী মোজাম্মেল গংদের বিচারের দাবিতে শহরে মানববন্ধন  
  • একাত্তরের গণহত্যায় জড়িতদের বিরুদ্ধে চবিতে গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের বিক্ষোভ