চোখেমুখে ক্লান্তির ছাপ, তবে মনে হয়তো তাঁর রেশ ছিল না। নইলে কি আর ওভাবে ভক্তদের সেলফি, ছবির আবদার পূরণ করতে পারেন! সিটি গ্রুপ-প্রথম আলো ক্রীড়া পুরস্কার ২০২৪ আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হয়ে যাওয়ার পর মঞ্চে যার শুরু। এরপর বিশ্রাম নিতে যাওয়ার পথে সোনারগাঁও হোটেলের দ্বিতীয় তলার লিফটে ওঠার আগপর্যন্ত একই কাজ করতে হয়েছে তাসকিন আহমেদকে। এমন সন্ধ্যায় অবশ্য ফুরফুরে মেজাজে থাকাটাই স্বাভাবিক। সেলফি পর্বের কিছুক্ষণ আগেই যে তাঁর হাতে উঠেছে সিটি গ্রুপ-প্রথম আলো বর্ষসেরা রানারআপ পুরস্কার।
তাসকিনের হাতে এ পুরস্কার উঠেছে ২০২৪ সালের অসাধারণ পারফরম্যান্সের সৌজন্যে। ২০১৪ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হওয়া তাসকিন ২০২১ সাল থেকেই ধারাবাহিক পারফর্ম করছেন। তবে ২০২৪ সালটা তাঁর জন্য একটু আলাদাই, পরিসংখ্যানও সেটাই বলছে। গত বছর তিনি উইকেট পেয়েছেন ৬৩টি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে গত বছর সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহকের তালিকায় তাসকিনের চেয়ে এগিয়ে ছিলেন শুধু দুজন—যশপ্রীত বুমরা (৮৬) ও ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা (৬৪)।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
গণ-অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া দলও কি স্বৈরাচারী হয়ে উঠতে পারে
১৫ বছর ধরে অনেক ব্যক্তি, রাজনৈতিক দল আর সংগঠন মিলে স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য চেষ্টা করে আসছিল। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট মাসে শেখ হাসিনার শাসনের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতা রাস্তায় নেমে আসেন।
এর ফলে হাসিনা সরকারের পতন হয় ও তিনি এবং তাঁর দলের কর্মীরা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন। এ পরিবর্তন শুধু একটা সরকারের পরিবর্তন নয়, বরং দীর্ঘ সময়ের ভয় ও দমনের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের সাহস, আশা ও গণতান্ত্রিক চেতনার একটি বড় জয় ছিল।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দেখা যায়, কিছু গোষ্ঠী ও রাজনৈতিক দল এই আন্দোলনের সফলতাকে শুধু নিজের নামে দাবি করতে শুরু করে। কেউ কেউ বলতে থাকে, তাদের কারণেই সরকার পতন ঘটেছে। তাই তারাই ভবিষ্যতে ক্ষমতার একমাত্র ভাগীদার।
আবার কিছু ধর্মীয় বা আদর্শিক গোষ্ঠী আন্দোলনের মধ্য দিয়ে নিজেদের শক্তি বাড়ানোর চেষ্টা করছে, যারা আগে প্রকাশ্যে তেমন সক্রিয় ছিল না। এ ছাড়া কিছু নতুন দল, যারা আগে রাজনীতিতে খুব একটা পরিচিত ছিল না, তারাও হঠাৎ করে সামনে চলে এসেছে। তারা নিজেদের ‘নতুন শক্তি’, ‘ভিন্নধারার দল’ হিসেবে উপস্থাপন করে, কিন্তু তাদের আচরণে কখনো কখনো পুরোনো রাজনীতির কৌশলই দেখা যায়।
আরও পড়ুনশেখ হাসিনা স্বৈরশাসকদের টিকে থাকার দুটি মূলমন্ত্রেই ব্যর্থ২২ আগস্ট ২০২৪এই আন্দোলনের সময় বিভিন্ন গোষ্ঠী একসঙ্গে থাকলেও আন্দোলনের পর তারা নিজেদের অবস্থান ঠিক করতে গিয়ে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। কেউ কেউ আবার নিজেদের মধ্যে ক্ষমতার হিসাব-নিকাশ করছে। এতে আন্দোলনের মূল চেতনা—জনগণের অধিকার, গণতন্ত্র, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা যেন ধীরে ধীরে পেছনের দিকে চলে গেছে।
এ বাস্তবতায় প্রশ্ন ওঠে, যাঁরা ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমেছিলেন, তাঁরাই কি আবার ভবিষ্যতে ক্ষমতায় গিয়ে নতুন একধরনের স্বৈরতন্ত্রের জন্ম দেবেন?
ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটে। ৫ আগস্ট, ২০২৪