চোখেমুখে ক্লান্তির ছাপ, তবে মনে হয়তো তাঁর রেশ ছিল না। নইলে কি আর ওভাবে ভক্তদের সেলফি, ছবির আবদার পূরণ করতে পারেন! সিটি গ্রুপ-প্রথম আলো ক্রীড়া পুরস্কার ২০২৪ আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হয়ে যাওয়ার পর মঞ্চে যার শুরু। এরপর বিশ্রাম নিতে যাওয়ার পথে সোনারগাঁও হোটেলের দ্বিতীয় তলার লিফটে ওঠার আগপর্যন্ত একই কাজ করতে হয়েছে তাসকিন আহমেদকে। এমন সন্ধ্যায় অবশ্য ফুরফুরে মেজাজে থাকাটাই স্বাভাবিক। সেলফি পর্বের কিছুক্ষণ আগেই যে তাঁর হাতে উঠেছে সিটি গ্রুপ-প্রথম আলো বর্ষসেরা রানারআপ পুরস্কার।
তাসকিনের হাতে এ পুরস্কার উঠেছে ২০২৪ সালের অসাধারণ পারফরম্যান্সের সৌজন্যে। ২০১৪ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হওয়া তাসকিন ২০২১ সাল থেকেই ধারাবাহিক পারফর্ম করছেন। তবে ২০২৪ সালটা তাঁর জন্য একটু আলাদাই, পরিসংখ্যানও সেটাই বলছে। গত বছর তিনি উইকেট পেয়েছেন ৬৩টি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে গত বছর সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহকের তালিকায় তাসকিনের চেয়ে এগিয়ে ছিলেন শুধু দুজন—যশপ্রীত বুমরা (৮৬) ও ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা (৬৪)।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মেধাক্রম ৩২ হাজার: পোষ্য কোটায় ভর্তি হলেন ববি উপাচার্যের মেয়ে
পোষ্য কোটায় ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. তৌফিক আলমমের মেয়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞান অনুষদের একটি বিভাগে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন তিনি।
জানা গেছে, গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে তার প্রাপ্ত নম্বর ৪০ এবং ফলাফলে মেধাক্রম ছিল ৩২ হাজার। তবে ওই অনুষদে কোটা ব্যাতিত মেধাতালিকার সর্বশেষ ৫০৩৫ মেধাক্রম পর্যন্ত শিক্ষার্থী ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেয়েছেন।
আরো পড়ুন:
বিভিন্ন দাবিতে ববি শিক্ষার্থীদের ফের মহাসড়ক অবরোধ
নির্মাণাধীন নভোথিয়েটার ও বিটেক ভবন ববি শিক্ষার্থীদের দখলে
২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে পোষ্য কোটায় ভর্তি হওয়া তিনজন শিক্ষার্থীর পরিচয় জানা গেছে। এরা হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের মেয়ে যার প্রাপ্ত নম্বর ৪০, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টোর কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসানের ছেলে (৩৯.৫০ নম্বর) ও ইলেকট্রিশিয়ান আরিফ হোসেন সুমনের ছেলে (৫৩.৫০ নম্বর)। চলতি বছর পোষ্য কোটাসহ বিভিন্ন কোটায় ভর্তি হয়েছেন মোট ২১ জন শিক্ষার্থী।
চলতি বছর বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্যান্য কোটায় ভর্তি হন ১৮ শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে ‘এ’ ইউনিটে প্রতিবন্ধী কোটায় তিনজন, হরিজন ও দলিত কোটায় একজন। ‘বি’ ইউনিটে মুক্তিযোদ্ধা (সন্তান) চারজন, প্রতিবন্ধী দুইজন, হরিজন ও দলিত একজন, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী একজন। ‘সি’ ইউনিটে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী দুইজন, বিকেএসপি একজন, মুক্তিযোদ্ধা একজন, হরিজন ও দলিত একজন, প্রতিবন্ধী একজন।
গত বছর কোটা নিরসনে কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে রুপ নেয়। পরে আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। কিন্তু তারপরেও কোটা পদ্ধতি বহাল রেখে উপাচার্য নিজ মেয়েকে কোটায় ভর্তি করানোয় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
তারা জানান, পোষ্য কোটা হলো সবচেয়ে বড় অযোক্তিক কোটা। একজন উপাচার্যের সন্তান যদি মেধার ভিত্তিতে ভর্তি হতে না পেরে কোটার সুযোগ নিয়ে ভর্তি হয়, তা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা চাই এই অযোক্তিক কোটা বাতিল করা হোক এবং যোগ্যদের সুযোগ দেওয়া হোক।
এ বিষয়ে ভর্তি টেকনিক্যাল কমিটির সদস্য সহযোগী অধ্যাপক ড. রাহাত হোসাইন ফয়সাল বলেন, “গুচ্ছের নিয়ম অনুযায়ী ৩০ নম্বর পাস মার্ক অতিক্রম করলেই কোটা ব্যবহার করা যায়। উপাচার্যের মেয়ে শর্ত পূরণ করেই কোটার সুবিধা পেয়েছেন। এখানে নিয়মের বাহিরে কোনো বাড়তি সুবিধা দেওয়া হয়নি।”
ঢাকা/আরিফ/মেহেদী