ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ভর্তি পরীক্ষায় পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খানের কাছে স্মারকলিপি জমা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী। আজ সোমবার দুপুরে এই স্মারকলিপি দেওয়া হয়।

স্মারকলিপিতে শিক্ষার্থীরা উল্লেখ করেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের দ্বারা শুরু হওয়া চব্বিশের জুলাই গণ–অভ্যুত্থান মূলত শিক্ষা ও চাকরির ক্ষেত্রে কোটাব্যবস্থার বিরুদ্ধে ছিল। সেই আন্দোলনে অসংখ্য শিক্ষার্থী জীবন দিয়েছেন, রক্ত দিয়েছেন, আহত হয়েছেন। তাঁদের মূল দাবি ছিল—শিক্ষা ও চাকরিতে শতভাগ মেধাভিত্তিক সুযোগ নিশ্চিত করা। কিন্তু দুঃখজনকভাবে দেখা যাচ্ছে, এই আন্দোলনের পরও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি বিজ্ঞপ্তিতে অযৌক্তিক পোষ্যকোটা পুনর্বহাল রাখা হয়েছে। এতে শুধু শিক্ষক নয়, কর্মকর্তা/কর্মচারীদের ছেলে-মেয়ে, স্বামী-স্ত্রীদের জন্যও বিশেষ সুযোগ রাখা হয়েছে।

এই বিশেষ সুযোগকে সম্পূর্ণ অযৌক্তিক, বৈষম্যমূলক ও চব্বিশের জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের মূল উদ্দেশ্যের পরিপন্থী বলে স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়।

স্মারকলিপিতে শিক্ষার্থীরা দুটি দাবি তুলে ধরেন। প্রথমত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিপ্রক্রিয়া শতভাগ মেধাভিত্তিক করতে হবে। আর দ্বিতীয়ত, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও তাঁদের ছেলেমেয়ে, স্বামী-স্ত্রীর জন্য চালু করা সব ধরনের পোষ্য কোটা অবিলম্বে বাতিল করতে হবে।

উল্লেখ্য, ১৮ সেপ্টেম্বর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য ১০টি শর্তে পোষ্য কোটা ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত হয়। উপাচার্যের দায়িত্বে নিযুক্ত সহ-উপাচার্যের (প্রশাসন) সভাপতিত্বে সিনেট ভবনে অনুষ্ঠিত ভর্তি উপকমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ওই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নামেন। শিক্ষার্থীরা বলেন, পোষ্য কোটা একটা মীমাংসিত ইস্যু। এটি অন্যায্য ও অযৌক্তিক একটি কোটা। এটিকে নামে-বেনামে ফিরিয়ে আনা চলবে না। এর জেরে ২০ সেপ্টেম্বর শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের হাতাহাতি ও ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটেছে। পরে রাতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে পোষ্য কোটা স্থগিত করার ঘোষণা দেওয়া হয়। তবে শির্ক্ষার্থীরা এই কোটা বাতিলের পক্ষে অনড় অবস্থান নেন। পরদিন সিন্ডিকেটের সভায় উপাচার্যের নেওয়া সিদ্ধান্তই বহাল রাখে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট।

আরও পড়ুনসিন্ডিকেটের জরুরি সভা শেষ, পোষ্য কোটা স্থগিতই থাকছে২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: স ম রকল প কর মকর ত উপ চ র য

এছাড়াও পড়ুন:

প্রতিটি পূজা মণ্ডপে মণ্ডপে পাহারায় থাকবে বিএনপির নেতৃবৃন্দরা : মামুন মাহমুদ

নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ বলেছেন, নারায়ণগঞ্জ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি জেলা। এই জেলায় সকল ধর্মের মানুষ আমরা একসাথে বসবাস করি।

সেই সুবাদে নারায়ণগঞ্জের অনেক ঐতিহ্য রয়েছে।  আসন্ন শারদীয় দুর্গোৎসবকে সফল করতে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা সব ধরনের সহযোগিতা করবে। জেলার প্রতিটি পূজা মণ্ডপে মণ্ডপে পাহারায় থাকবে বিএনপি'র নেতৃবৃন্দরা। 

পূজা মন্ডপ পরিদর্শনের নামে আমাদের নেতাকর্মীরা যাতে হোন্ডা মোহড়া ও পাহারা এই দুটোই যেন কেউ না দেয়। তার জন্য আমাদের সবাইকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। আর পূজা মন্ডপে অনেক নারী পূজারীরা অংশগ্রহণ করে থাকে।

তাদের আসা-যাওয়ার পথে কেউ যেন ইভটিজিং না করে। তার জন্য আমাদের নিজস্ব ভলেন্টিয়াররা সজাগ দৃষ্টি রাখবেন। আর তার জন্য মণ্ডপ কর্তৃপক্ষ পর্যাপ্ত পরিমাণে আলোর ব্যবস্থা রাখবেন। 

শারদীয় দুর্গোৎসবকে আনন্দময় ও নিরাপদ করার লক্ষ্যে জেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের  মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথাগুলো বলেন।

সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায়  সিদ্ধিরগঞ্জের গ্রিন গার্ডেন পার্টি সেন্টারে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির উদ্যোগে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।

তিনি আরও বলেন, বিশেষ করে আযান ও নামাজের সময় অন্তত ৩০ মিনিট আপনারা পূজা অর্চনা খানিক খানের জন্য বিরতি রাখবেন। আপনারা ভিতরে আপনাদের পূজা করবেন কিন্তু ঢাকঢোল, গানবাজনা ও সাউন্ড সিস্টেম বন্ধ রাখবেন। এই বিষয়টি আপনার বিশেষ দৃষ্টিতে দেখবেন।

অনেক সময় দেখা দেয় এক দিকটা আজান হচ্ছে অন্য দিকটা মন্ডপে ঢাকঢোল বাজানো হচ্ছে। এতে করে একটি সিমপিতি তৈরি হতে পারে। সুতরাং এই জিনিসটা আপনারা বিশেষ ভাবে গুরুত্ব দিয়ে দেখবেন। 

মতবিনিময় সভায় পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দ বক্তব্যে তাদের চাহিদা ও প্রত্যাশার কথা তুলে ধরেন এবং দুর্গোৎসবকে আনন্দময় এবং নিরাপদ করতে মতবিনিময় সভার আয়োজন করায়  বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান এবং নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায়কসহ বিএনপি নেতৃবৃন্দকে অভিনন্দন জানান।

নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপি যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুকুল ইসলাম রাজীব, নারায়ণগঞ্জ জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শংকর কুমার দে, সাধারণ সম্পাদক শিখন সরকার শিপন, মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বিষ্ণুপ্রদ সাহা, রূপগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি এড. মাহফুজুর রহমান হুমায়ুন, আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপি'র সভাপতি ইউসুফ আলী ভূঁইয়া, সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন, ফতুল্লা থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এড. আব্দুল বারী ভূঁইয়াসহ জেলা বিএনপিসস, তারাবো, আড়াইহাজার ও সোনারগাঁ  পৌরসভা বিএনপির নেতৃবৃন্দ  এবং অঙ্গ সংগঠনের জেলা নেতৃবৃন্দ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ