ধামরাইয়ে সবজি-নিত্য পণ্যের বাজার স্থিতিশীল
Published: 23rd, September 2025 GMT
ঢাকার ধামরাইয়ে সবজি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম গত সপ্তাহের তুলনায় স্থিতিশীল রয়েছে। কোনো কোনো সবজির দাম কিছু্টা হেরফের হলেও মশলা, চাল ও মাছ-মাংসের দাম গত সপ্তাহের মতো একই রয়েছে।
যদিও দাম নিয়ে কিছুটা অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন ভোক্তারা। তবে বিক্রেতারা বলছেন, প্রায় মাস খানেক আগে নিত্যপণ্যের দাম যে বৃদ্ধি পেয়েছিল, তারপর সেই বাড়তি দামই রয়েছে। এজন্য সরবরাহ আরো বৃদ্ধির ওপর জোর দিয়েছেন তারা।
মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকালে ধামরাইয়ের বড় বাজার, কালামপুর, ধানতারা, হাতকোড়া, বারবাড়িয়া, কাওয়ালীপাড়া, বাথুলিসহ গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন বাজারে খোঁজ নিয়ে এসব তথ্য জানা গেছে।
বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২৯ জাতের চাল প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০-৬৫ টাকা দরে, চিনিগুড়া চাল ১৩০-১৪০ টাকা দরে, আটা বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা প্রতি কেজি প্যাকেট আর খোলা আটা বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা প্রতি কেজি দরে। সবগুলোর দামই গত সপ্তাহের তুলনায় অপরিবর্তিত রয়েছে।
মসুর ডাল (মোটা) প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা দরে, মুগ ডাল ১৬০-১৭০ টাকা প্রতি কেজি, খেসারির ডাল ৯০-৯৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। চিনি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০৫-১১০ টাকা দরে।
মসলা ও সবজির বাজারে আদা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা করে, গত সপ্তাহের তুলনায় ২০ টাকা কমেছে। রসুনের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে, বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা প্রতি দরে। পেঁয়াজ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়, কাঁচা মরিচ ১৮০ টাকা কেজি, আলু ২০-২২ টাকা প্রতি কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
সবজির বাজারে মুলা শাক ১৫ টাকা আঁটি, পুঁইশাক ৩০ টাকা আঁটি, ডাটা শাক ৩০ টাকা আঁটি, করলা ৮০-১০০ টাকা, কচু ৩০ টাকা কেজি, টমেটো ১০০-১২০ টাকা এবং শসা ৪০-৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৯০ টাকা প্রতি লিটার আর সরিষার তেল ২৪০-২৫০ টাকা করে। এগুলোর দামও গত সপ্তাহের তুলনায় অপরিবর্তিত রয়েছে। মাছ মাংসের বাজারেও গত সপ্তাহের তুলনায় দাম স্থিতিশীল রয়েছে বলে জানান বিক্রেতারা।
তবে দাম স্থিতিশীল থাকলেও একে অসহনশীল বলে অভিযোগ করেন ভোক্তারা। দাম কমাতে প্রশাসনের উদ্যোগ নেওয়ার ওপর জোর দেন তারা।
ঢাকা/সাব্বির/এস
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
নির্দিষ্ট সময়ে ভোট হবে: ডা. জাহিদ হোসেন
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেছেন, “দেশের মানুষ আজ পরিবর্তনের জন্য অপেক্ষা করছেন। নির্দিষ্ট সময়ে ভোট হবে। অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। জনগণই হবেন এ দেশের প্রকৃত ক্ষমতার মালিক।”
মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে দিনাজপুরের হিলি চারমাথা মোড়ে আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আরো পড়ুন:
এ্যানিকে ক্ষমা চাওয়ার দাবি, ধৃষ্টতা বলছে যুবদল-ছাত্রদল
বিএনপির উদার গণতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গি অর্থনৈতিক পরিবেশ অর্জনে সহায়ক
ডা. জাহিদ হোসেন বলেন, “গত দেড় যুগ দেশের মানুষ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেননি। কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়ে একতরফাভাবে ক্ষমতায় টিকে ছিল।”
তিনি বলেন, “বিগত সরকার জোর করে ক্ষমতায় থেকে দেশের গণতন্ত্র, বিচার ব্যবস্থা ও অর্থনীতিকে ধ্বংস করেছে। জনগণের জাগরণের মধ্য দিয়েই গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হবে ইনশাআল্লাহ।”
সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- হাকিমপুর প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান মিলন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুরাদ ইমাম কবিরসহ স্থানীয় সাংবাদিকরা।
আরো উপস্থিত ছিলেন- হাকিমপুর (হিলি) উপজেলা বিএনপির সভাপতি ফেরদৌস রহমান, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন শিল্পী, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এসএম রেজা বিপুল, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, পৌর বিএনপির সভাপতি ফরিদ খান ও পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক।
ঢাকা/মোসলেম/মাসুদ