বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিন হত্যা মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন জমা পড়েনি
Published: 23rd, September 2025 GMT
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী ফারদিন নূর হত্যা মামলায় আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা পড়েনি। আগামী ২৮ অক্টোবর মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নতুন দিন ঠিক করেছেন আদালত।
ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট জামশেদ আলম আজ মঙ্গলবার এ আদেশ দেন।
পুলিশ ও আদালত–সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলেছে, বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিন হত্যা মামলায় আজ তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার দিন ঠিক ছিল। মামলার তদন্ত সংস্থা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়নি। পরে আদালত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নতুন দিন ঠিক করেন।
ফারদিন হত্যা মামলায় ২০২৩ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছিল তদন্তকারী সংস্থা ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। চূড়ান্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, ফারদিন আত্মহত্যা করেছেন। ঘটনার সঙ্গে কোনো সংশ্লিষ্টতা না পাওয়ায় চূড়ান্ত প্রতিবেদনে ফারদিনের বন্ধু আয়াতুল্লাহ বুশরাকে মামলা থেকে অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়।
ডিবির চূড়ান্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজি আবেদন দেন ফারদিনের বাবা। পরে আদালত ফারদিনের বাবার নারাজি আবেদনটি গ্রহণ করেন। মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য সিআইডিকে নির্দেশ দেন আদালত।
বুয়েট ক্যাম্পাসে যাওয়ার কথা বলে ২০২২ সালের ৪ নভেম্বর রাজধানীর ডেমরার কোনাপাড়ার বাসা থেকে বের হন ফারদিন। পরদিন সকালে তাঁর পরীক্ষা ছিল। তবে তিনি পরীক্ষায় অংশ নেননি। তাঁর মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
ওই বছরের ৫ নভেম্বর রামপুরা থানায় জিডি করেন ফারদিনের বাবা কাজী নূর উদ্দিন। নিখোঁজের তিন দিন পর ৭ নভেম্বর বিকেলে নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ফারদিনের লাশ উদ্ধার করে নৌ পুলিশ।
লাশ উদ্ধারের ঘটনায় ফারদিনের বাবা হত্যা মামলা করেন। মামলায় ছেলের বন্ধু বুশরাকে আসামি করেন তিনি। এ মামলায় বুশরাকে গ্রেপ্তার করে পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়। প্রায় তিন মাস পর বুশরা ২০২৩ সালের ৮ জানুয়ারি জামিনে মুক্তি পান।
ফারদিনের লাশ উদ্ধারের পর ঘটনার ছায়া তদন্ত করা র্যাবের পক্ষ থেকে প্রথমে বলা হয়েছিল, তাঁকে হত্যা করা হয়েছে। নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে চনপাড়ার অপরাধী চক্র এই হত্যার সঙ্গে জড়িত।
তবে গত ১৪ ডিসেম্বর তদন্তকারী সংস্থা ডিবি জানায়, ফারদিন আত্মহত্যা করেছেন। একই দিন সংবাদ সম্মেলন করে র্যাব জানায়, ফারদিন ‘স্বেচ্ছায় মৃত্যুবরণ’ করেছেন। তবে ফারদিনের বাবা কাজী নূর উদ্দিনের বিশ্বাস, তাঁর ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে
কাজী নূর উদ্দিন বিজনেস পত্রিকা ‘দ্য রিভারাইন’-এর সম্পাদক ও প্রকাশক। ফারদিনের মা ফারহানা ইয়াসমিন গৃহিণী। তাঁদের গ্রামের বাড়ি নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা উপজেলায়। তিন ভাইয়ের মধ্যে সবার বড় ছিলেন ফারদিন।
আরও পড়ুনফারদিন হত্যা মামলায় জামিন পেলেন বুশরা০৮ জানুয়ারি ২০২৩.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
শব্দ দূষণ বন্ধে পরিবেশ অধিদপ্তরের অভিযান, জরিমানা
শব্দ দূষণ বন্ধে নারায়ণগঞ্জে সড়ক পথে অভিযান পরিচালনা করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর। সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) পরিচালিত এই অভিযানে নারায়নগঞ্জ সদর উপজেলায় ৫টি শব্দ দূষণকারী যানবাহন থেকে ৪ হাজার টাকা জরিমানা আদায় সহ তাদের ৫টি হর্ন জব্দ করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, নারায়ণগঞ্জের বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও সিনিয়র সহকারী কমিশনার উম্মে হাবিবা ফারজানা এবং বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার সেগুফতা মেহনাজের নেতৃত্বে এই অভিযান পরিচালিত হয়।
অভিযানে নারায়ণগঞ্জ থানার পুলিশ এবং পরিবেশ অধিদপ্তর, নারায়ণগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের কর্মকর্তারা সমন্বয়ে গঠিত একটি টিম অংশ নেয়। পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শক জনাব মো: হুজ্জাতুল ইসলাম প্রসকিউসন প্রদান করেন।
পরিবেশ অধিদপ্তর জানায়, অভিযানে শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, ২০০৬ এর ৮(১) বিধি লংঘন করায় বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ এর ১৫(২) ধারা মোতাবেক এই জরিমানা ধার্য ও আদায় করা হয়।
এ, এইচ, এম রাসেদ, উপপরিচালক, পরিবেশ অধিদপ্তর, নারায়ণগঞ্জ জেলা কার্যালয়, স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে যে, নারায়ণগঞ্জে দূষণকারী কারখানা/প্রকল্পের বিরুদ্ধে পরিবেশ অধিদপ্তরের এ ধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এই ধরনের পদক্ষেপ শহরকে আরও শান্ত ও পরিবেশবান্ধব রাখতে সহায়ক হবে বলে আশা করা হচ্ছে।