১০ বিষয়ে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নে অকৃতকার্য ইবি উপাচার্য
Published: 23rd, September 2025 GMT
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহর দায়িত্ব গ্রহণের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে শিক্ষার্থীদের নিয়ে একটি মূল্যায়ন জরিপ পরিচালনা করা হয়েছে। এতে সর্বোচ্চ নাম্বার ১০-এর মধ্যে ২.৪৫ পেয়েছেন উপাচার্য।
মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডায়না চত্বরে জরিপ পরিচালনাকারী সংগঠন ‘ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় সংস্কার আন্দোলন’ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
আরো পড়ুন:
চাকসু নির্বাচনের তারিখ পেছানো নিয়ে যা জানা গেল
জবি সংলগ্ন অবৈধ দোকান উচ্ছেদ
জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দায়িত্ব গ্রহণের ১ বছর পূর্তি উপলক্ষে জরিপের মূল্যায়নে ১০টি বিষয় রাখা হয়। ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে ২৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পরিচালিত এ জরিপে অনলাইন গুগল ফর্ম এবং অফলাইনে প্রতিটি হল, বিভাগ ও ক্যাম্পাস থেকে শিক্ষার্থীদের মতামত নেওয়া হয়েছে।
জরিপ সূত্রে জানা গেছে, গত ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে ২৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অনলাইন ও অফলাইন মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মতামত নেয় ইবি সংস্কার আন্দোলন। তাদের এই জরিপে মোট ১ হাজার ৩১২ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। যাদের ৮৭৬ জন আবাসিক ও বাকি ৪৩৬ জন শিক্ষার্থী অনাবাসিক। জরিপে মার্কিং বা রেটিং ক্যাটাগরিতে খারাপ (১-৩), মোটামুটি (৪-৬), ভালো (৭-৮) ও অতি ভালো হিসেবে (৯-১০) নম্বর বণ্টন করা হয়।
অংশগ্রহণকারীদের শিক্ষাবর্ষভিত্তিক পর্যালোচনায় দেখা যায়, ২০১৭-২৮ বর্ষের ছয়জন, ২০১৮-১৯ বর্ষের ৮০ জন, ২০১৯-২০ বর্ষের ১৮১ জন, ২০২০-২১ বর্ষের ৩৪৫ জন, ২০২১-২২ বর্ষের ২৯৩ জন, ২০২২-২৩ বর্ষের ২৭৪ জন এবং ২০২৩-২৪ বর্ষের ১৩৩ জন মতামত দেন।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, বিগত ১ বছরে উপাচার্যের কার্যক্রমের আশ্বাস ছাড়া কিছুই মেলেনি। বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন, সামাজিক সংগঠন বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দাবি জানিয়েছে, কিন্তু সেগুলোর কতটুকু বাস্তবায়িত হচ্ছে- সে প্রশ্ন থেকেই যায়। গত ৯ সেপ্টেম্বর ১৫ দফা দাবি জানানো হয়েছিল, কিন্তু সেগুলোর ব্যাপারেও কোন অগ্রগতি হয়নি। উল্টো ছাত্র উপদেষ্টার দপ্তর থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়, অনুমতি ছাড়া কোনো ধরনের সভা সমাবেশ করা যাবে না।
তারা বলেন, দাবি বাস্তবায়নের রোডম্যাপ চাইলেও তা মেলেনি। তাদের ধারাবাহিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে এ জরিপ পরিচালনা করা হয়েছে। এতে উপাচার্য ২.
জরিপে শিক্ষার্থীদের জন্য নির্ধারিত প্রশ্নগুলো হলো-
১. সেশনজট নিরসনে নিয়মিত ক্লাস-পরীক্ষা তদারকি, সেশনজট ও পর্যাপ্ত শিক্ষক সংকট নিরসনে উপাচার্যের ভূমিকা কতটা কার্যকর হয়েছে?
২. সাজিদ আব্দুল্লাহ হত্যার বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে উপাচার্য কতটা সফল হয়েছেন?
৩. ক্যাম্পাসে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা, শৃঙ্খলা ও পরিবেশবান্ধব করতে উপাচার্যের পদক্ষেপ কতটা সন্তোষজনক ছিল?
৪. ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (ইকসু) গঠনে উপাচার্যের ভূমিকা কতটুকু?
৫. ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় আধুনিকীকরণ তথা অনলাইন ব্যাংকিং, ল্যাব, সনদ উত্তোলন ও ওয়েবসাইটের আধুনিকায়নে উপাচার্যের ভূমিকা কতটা উন্নয়নমূলক ছিল?
৬. আবাসিক হলের খাবারের মান বৃদ্ধি ও মানসম্মত পুষ্টিকর খাবার নিশ্চিতে উপাচার্যের ভূমিকা নিয়ে আপনি কতটা সন্তুষ্ট?
৭. ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা খাতে বাজেট বৃদ্ধি ও তা সমৃদ্ধ করার জন্য উপাচার্যের ভূমিকা নিয়ে আপনি কতটা সন্তুষ্ট?
৮. ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারের সেবার মান, মানসিক স্বাস্থ্যসেবা ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিতে উপাচার্যের ভূমিকা কতটা সন্তোষজনক?
৯. বিশ্ববিদ্যালয়ে নারী শিক্ষার্থীদের সার্বিক নিরাপত্তা, বিভাগগুলোতে ছাত্রী কমনরুম নিশ্চিত ও নারী শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিতে উপাচার্যের ভূমিকা নিয়ে আপনি কতটা সন্তুষ্ট?
১০. পরিবহন সংকট নিরসনে পর্যাপ্ত বাস বরাদ্দ, ফিটনেসবিহীন বাস অপসারণ, দক্ষ চালক নিয়োগ ও পরিবহন ব্যবস্থাপনা নিয়ে উপাচার্যের ভূমিকা নিয়ে আপনি কতটা সন্তুষ্ট?
গত বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর চার বছরের জন্য উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ। পরদিন তিনি দায়িত্ব গ্রহণ করেন। মঙ্গলবার তার দায়িত্ব পালনের ১ বছর পূর্ণ হয়েছে।
ঢাকা/তানিম/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপ চ র য র ভ ম ক সন ত ষ ট বর ষ র র জন য পর চ ল ইসল ম গ রহণ ১ বছর
এছাড়াও পড়ুন:
ধর্মের মর্মবাণী মানব কল্যাণ, শান্তি ও দেশপ্রেম: নৌপরিবহন উপদেষ্টা
নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, সকল ধর্মের মর্মবাণী মানব কল্যাণ, শান্তি ও দেশপ্রেম।
রবিবার ( ২১ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর গুলশান-বনানী সার্বজনীন পূজা ফাউন্ডেশন কর্তৃক শুভ মহালয়া ১৪৩২ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে দেশের কল্যাণে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘‘সকল ধর্মই আমাদের অন্যায়, অবিচার ও অনাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করার প্রেরণা যোগায়। আমাদের আত্মশুদ্ধির সুযোগ করে দেয়। মানবসেবা ও দেশাত্মবোধের চেতনাকে উদ্বুদ্ধ করে।’’
শারদীয় দুর্গোৎসবকে বাংলাদেশের সার্বজনীন উৎসব উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, ‘‘আবহমানকাল ধরে শারদীয় দুর্গাপূজা বাংলাদেশসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশে সাড়ম্বরে উদযাপিত হয়ে আসছে। এটি শুধু হিন্দু সম্প্রদায়ের নয়, বাংলাদেশের সকলের উৎসব। এ উৎসব উদযাপনের মাধ্যমে মানুষে মানুষে নিবিড় বন্ধন রচিত হয়, সমাজের সকল মানবসৃষ্ট ভেদাভেদ, বৈষম্য দূরীভূত হয় এবং সকলের মধ্যে সহমর্মিতা ও ভ্রাতৃত্ববোধ জাগরিত হয়।’’
দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে নৌপরিবহন উপদেষ্টা এ সময় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় এ ধর্মীয় উৎসব আনন্দমুখর পরিবেশ ও শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে সরকারের পক্ষ থেকে সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে মর্মে তিনি আশ্বাস প্রদান করেন। একইসঙ্গে দুর্গোৎসবকে কেন্দ্র করে যেন কোনো স্বার্থান্বেষী মহল অপচেষ্টা চালাতে না পারে সে বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকার নির্দেশনা দেন।
অনুষ্ঠানে গুলশান-বনানী সার্বজনীন পূজা ফাউন্ডেশনের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ অন্যান্য সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/এএএম//