অপূর্ব ভাইয়ার সঙ্গে অভিনয় আমার স্বপ্ন ছিল: নীহা
Published: 31st, January 2025 GMT
প্রথমবার জুটি বেঁধে অভিনয় করলেন ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা জিয়াউল ফারুক অপূর্ব ও হালের ক্রেজ নাজনীন নাহার নীহা। ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে ‘মন-দুয়ারী’ নাটকটি নির্মাণ করেছেন জাকারিয়া সৌখিন।
উঠতি অভিনেত্রী নীহার প্রশংসা করে অপূর্ব বলেন, “অনেক দূর যাওয়ার প্রচণ্ড সম্ভাবনা আছে নীহার মধ্যে। ও শিখতে চায়, শিখে অভিনয় করতে চায়। এটাই ওর বড় গুণ। আর এগিয়ে যাওয়ার জন্য এ গুণটিই যথেষ্ট। এই নাটকে নীহা এত ভালো করেছে, না দেখলে বিশ্বাস হবে না।”
‘মন-দুয়ারী’ নাটকের দৃশ্য
আরো পড়ুন:
ট্রেনে হার্ট অ্যাটাকে পরিচালকের মৃত্যু
রাজের নায়িকা ফারিণ!
অপূর্বর সঙ্গে অভিনয়ের সুযোগ নীহার স্বপ্ন ছিল। এ তথ্য উল্লেখ করে তিনি বলেন, “অপূর্ব ভাইয়ার সঙ্গে অভিনয় করার স্বপ্ন ছিল; সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। তাই আমি অনেক খুশি। অপূর্ব ভাইয়া, সৌখিন ভাইয়া মিলে আমাকে সবসময় হেল্প করেছেন। আমি আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি।”
পারিবারিক সম্পর্ক, প্রেমের গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে ‘মন-দুয়ারী’ নাটক। গল্পে দেখা যাবে, অপূর্ব নিউ ইয়র্ক থেকে দেশে ফিরেন তার দাদিকে নিয়ে যেতে। কিন্তু পরিবারের লোকজন বাধা হয়ে দাঁড়ায়। এদিকে মিষ্টি ও দুষ্টু মেয়ে নীহার সঙ্গে অপূর্বর পরিচয় হয়। দু’জন ধীরে ধীরে প্রেমের সম্পর্কে জড়ায়। আর মিষ্টি মেয়ে নীহা অপূর্বর মনের সকল বন্ধ দুয়ার খুলে দেয়। তাই সে মেয়টির নাম দেয় ‘মন-দুয়ারী’।
নাটকটির গল্প নিয়ে পরিচালক জাকারিয়া সৌখিন বলেন, “ভ্যালেন্টাইনে সবসময় একই টাইপের গল্পে নাটক নির্মিত হয়। কিন্তু আমাদের গল্পটি সম্পূর্ণ আলাদা। আপাতত এটুকুই বলছি। বাকিটা দেখার পর আপনারাও বুঝতে পারবেন। এমন ভিন্ন প্রজেক্ট করার সাহস আর উৎসাহ দেয়ার জন্য প্রযোজক পাপ্পু ভাইকে ধন্যবাদ।”
জাকারিয়া সৌখিনের নাটকে বাড়তি চমক হিসেবে থাকে নতুন গান আর সেটির অসাধারণ ভিজ্যুয়াল। পূর্বের মতো ‘মন-দুয়ারী’ নাটকেও দুটি গান থাকছে। সোমেশ্বর অলির কথায় একটি গানের সুর-সংগীত করেছেন সাজিদ সরকার, গেয়েছেন মাহতিম সাকিব এবং অবন্তী সিঁথি। আর দ্বিতীয় গানটি লিখেছেন লিমন। সুর এবং কণ্ঠ নাজির মাহমুদ, সংগীত সজীব দাশ।
শুটিংয়ের ফাঁকে নির্মাতার সঙ্গে অপূর্ব-নীহা
অপূর্ব-নীহা ছাড়াও বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন— দিলারা জামান, আমিনুর রহমান বাচ্চু, শফিউল আলম বাবু, মিলি মুন্সী, শারমীন সুলতানা শর্মী, রাইসা প্রমুখ।
বড় আয়োজনে নির্মিত হয়েছে নাটকটি। ঢাকা, নবাবগঞ্জ এবং রাজশাহীতে ১৩ দিন নাটকটির শুটিং হয়েছে। আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারির সিএমভি’র ইউটিউব চ্যানেলে মুক্তি পাচ্ছে ‘মন-দুয়ারী’ নাটক। নাটকটি নিয়ে খুবই আশাবাদী প্রযোজক এসকে সাহেদ আলী পাপ্পু।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর মন দ য় র কর ছ ন ন টকট
এছাড়াও পড়ুন:
স্মিথের এ কেমন ‘কুসংস্কার’!
কুসংস্কার এমন এক জিনিস যা শিক্ষিত-অশিক্ষিত কিংবা ধনী-গরীব কোনোকিছুই মানে না। ক্রীড়াক্ষেত্রে বিচিত্র সব কুসংস্কার আছে। ফুটবলে যেমন আছে, ক্রিকেটেও আছে।
হালের স্টিভ স্মিথ-স্টুয়ার্ট ব্রড থেকে শুরু করে সেকালের শচীন টেন্ডুলকার, ইমরান খান; সবাই নিজেদের ক্যারিয়ারে কিছু না কিছু কুসংস্কারে বিশ্বাসী ছিলেন।
শচীন সবসময় ব্যাট করতে নামার তাঁর বাঁ পায়ের প্যাড আগে পরতেন সবসময়। এরপরই ডান পায়ের প্যাড পরতেন। স্টিভ ওয়াহ আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের প্রায় পুরোটা সময় পকেটে একটা লাল রঙয়ের ছেঁড়া কাপড় রাখতেন। শ্রীলঙ্কার বিধ্বংসী ফাস্ট বোলার লাসিথ মালিঙ্গা প্রতি বলের আগে বলে চুমু খেতেন। এরকম উদাহরণ ভুড়িভুড়ি রয়েছে। তবে স্টিভেন স্মিথ এমন এক কুসংস্কারের কথা বললেন তা বিশ্বাস-ই করতে কষ্ট হবে যে কারো।
অস্ট্রেলিয়ান তারকা স্টিভ স্মিথের একটি অদ্ভুত কুসংস্কার আছে, টেস্ট ম্যাচের প্রথম ইনিংসে ব্যাট না করা পর্যন্ত তিনি ঘুমান না।
স্মিথ সম্প্রতি ইংল্যান্ডের প্রাক্তন ক্রিকেটার কেভিন পিটারসেনের সাথে 'দ্য সুইচ' (The Switch) নামক একটি পর্বে এই কুসংস্কার নিয়ে মুখ খুলেছেন। যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে।
স্মিথ পিটারসেনকে বলেছেন, "প্রথম ইনিংসে ব্যাট না করা পর্যন্ত আমার সম্ভবত (ঘুমাতে) কষ্ট হয় এবং তারপর আমি বেশ শান্ত থাকি। এমনকি যদি আমি প্রথম ইনিংসে গিয়ে মাত্র পাঁচটি বলও খেলি এবং সেটা যদি রাতের শেষ হয়, তবুও আমার কোনো সমস্যা হয় না। কিন্তু আমি যতক্ষণ না আসলে গিয়ে সেই প্রথম ইনিংসটা খেলেছি, ততক্ষণ পর্যন্ত জানি না আমার কেন যেন ঘুমাতে কষ্ট হয়। শুধু একবারই নয়, আমার সবসময় কষ্ট হয়েছে।"
পরবর্তীতে পিটারসেন জানতে চান যে, এটা কি ম্যাচের আগের স্নায়ুচাপের কারণে হয়? পিটারসেন আরও যোগ করেন যে, তিনি অনেক গল্প শুনেছেন, স্মিথ কীভাবে তার ঘরে ব্যাট হাতে শুধু শ্যাডো ব্যাটিং করতেন…
স্মিথ জবাব দেন, "না, এটা উত্তেজনা (ঘুমাতে না পারা)। আমি সবসময় এই সময়টাকে কাজে লাগিয়ে কল্পনা করার চেষ্টা করি... হ্যাঁ, আমি কিছু শ্যাডো ব্যাটিং করি। কিছু, আগের মতো অতটা না, তবে আমার বেশিরভাগ ভিজ্যুয়ালাইজেশন তখন ঘটে যখন আমি ঘুমাতে যাই।’’
‘‘এটা হয়তো এমন কিছু নয় যা আপনি স্বাভাবিক বলবেন বা যা আপনি লোকেদের করতে বলবেন। কিন্তু সেখানেই আমি আমার ভিজ্যুয়ালাইজেশন করি এবং একবার যখন আমি সেখানে যাই এবং খেলা শুরু করি, তখন আমি ঠিক থাকি এবং তার পরে আমি ঘুমাই এবং আমার ঘুম-ও হয়।’’
স্মিথ এরপর বলতে থাকেন, "আমি খুব বেশি কুসংস্কারাচ্ছন্ন নই, জানেন? আমি আমার জুতার ফিতে আমার মোজার সাথে বেঁধে রাখি। এটাই!’’
পিটারসেন আবার বলেন যে, তিনি আরেকটি গল্প শুনেছেন যে, একবার দিনের খেলা শুরু হওয়ার আগে ব্র্যাড হ্যাডিন তাকে বল ছুঁড়ে দিচ্ছিলেন এবং ওই ম্যাচে স্মিথ একটি সেঞ্চুরি করেছিলেন। তারপর প্রতিদিন বল ছুঁড়তে হয়েছিল হ্যাডিনকে…
স্মিথ মাথা নাড়িয়ে উত্তর দেন, "এটা ভারতের বিপক্ষে ছিল। গ্রীষ্মের শুরুতে। আমি চারটি টেস্ট ম্যাচে চারটি সেঞ্চুরি করেছিলাম। তাই আমি তাকে বলেছিলাম আমাকে বল ছুঁড়ে যেতে। এই তো।’’
ঢাকা/ইয়াসিন