জাবির কেন্দ্রীয় মসজিদে নারীদের জন্য পৃথক নামাজের স্থান দাবি
Published: 12th, August 2025 GMT
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে নারী শিক্ষার্থীদের জন্য পৃথক নামাজের স্থান ও ওযুখানা নির্মাণের দাবিতে স্মারকলিপি দিয়েছেন ‘কুরআন অ্যান্ড কালচারাল স্টাডি ক্লাব’।
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বরাবর স্মারকলিপি জমা দেন সংগঠনের সদস্যরা।
সংগঠনটির সভাপতি বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ৪৮তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আরিফা সুলতানা স্বাক্ষরিত এ স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় উপাসনালয়। প্রতিদিন বিপুলসংখ্যক মুসলিম এখানে নামাজ আদায় করে থাকেন।
আরো পড়ুন:
জাবির কেন্দ্রীয় মসজিদে নারীদের জন্য পৃথক নামাজের স্থান দাবি
সাড়ে ৩ পাইয়ে দিতে ছাত্রীর কাছে যা চান খুবি শিক্ষক
অত্যন্ত দুঃখজনকভাবে লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, এত গুরুত্বপূর্ণ একটি ধর্মীয় স্থাপনায় এখনো পর্যন্ত নারী শিক্ষার্থীদের জন্য কোনো পৃথক নামাজের স্থান এবং ওযুখানার ব্যবস্থা গড়ে ওঠেনি। এর ফলে নারী শিক্ষার্থীদের ধর্মীয় অনুশীলনে নিয়মিতভাবে প্রতিবন্ধকতা ও বিব্রতকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
তারা স্মারকলিপিতে বলেন, একটি আধুনিক, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও শিক্ষার্থীবান্ধব বিশ্ববিদ্যালয়ে নারী শিক্ষার্থীদের ধর্ম পালনের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি। সেক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে একটি পৃথক নামাজের কক্ষ এবং পৃথক প্রবেশদ্বার, অযুর জন্য আলাদা স্থান এবং একটি নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত ওয়াশরুম নির্মাণ এখন সময়োপযোগী ও অতি প্রয়োজনীয়।
স্মারকলিপিতে আগামী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে বিষয়টির যথাযথ গুরুত্ব বিবেচনায় এনে নারী শিক্ষার্থীদের জন্য একটি পৃথক নামাজের স্থান, অযুর জন্য আলাদা স্থান ও ওয়াশরুম নির্মাণের কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবি জানান তারা।
ঢাকা/আহসান/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর মসজ দ স ম রকল প দ র জন য মসজ দ
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পর এবার জাহাঙ্গীরনগরে বিক্ষোভ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পর এবার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন একদল শিক্ষার্থী।
আজ শনিবার রাত পৌনে নয়টার দিকে উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসানের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে তাঁরা বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে রাত সাড়ে ১০টার দিকে এ নিয়ে উপাচার্যের আলোচনার আশ্বাসে শিক্ষার্থীরা ফিরে যান।
এর আগে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে মিছিল নিয়ে বিভিন্ন হলের সামনে গিয়ে মাইকিং করে শিক্ষার্থীদের কর্মসূচিতে যোগদানের জন্য আহ্বান জানান একদল বিক্ষোভকারী। পরে তাঁরা মিছিল নিয়ে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে যান। একপর্যায়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে আসেন উপাচার্য মোহাম্মদ কামরুল আহসান। এ সময় শিক্ষার্থীরা তাঁর কাছে ছয় দফা দাবি জানান।
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সব হলে সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ, ভবিষ্যতে হলে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত শিক্ষার্থী এবং গণরুম ও গেস্টরুমে ‘র্যাগিং’ সংস্কৃতিতে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক শাস্তির সুনির্দিষ্ট রূপরেখা প্রণয়ন, অতি দ্রুত হল সংসদ গঠন করে শিক্ষার্থীদের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার ব্যবস্থা, রাজনৈতিক সংগঠনের যেকোনো উপহারসামগ্রী একমাত্র হল প্রশাসনের মাধ্যমে প্রদান এবং এতে ওই সংগঠনের নাম বা কোনো চিহ্ন ব্যবহার না করা, হলের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বহিরাগতদের অযাচিত হস্তক্ষেপ বন্ধ, হলের মেয়াদোত্তীর্ণ ছাত্রদের বিরুদ্ধে অনতিবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণ।
বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, গতকাল শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭টি হলে ছাত্রদলের কমিটি দেওয়া হয়েছে। এরপর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। এর পরিপ্রেক্ষিতে হলভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে আজ বিক্ষোভ মিছিল বের করেন তাঁরা।
শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ হলের শিক্ষার্থী শরিফুল আলম বলেন, ‘আমরা আমাদের হলগুলোতে কোনো রকমের ছাত্ররাজনীতি চাচ্ছি না। ক্যাম্পাসে রাজনীতি থাকুক, ক্যাম্পাসে আমাদের সুন্দর একটি সহাবস্থান তৈরি হোক, সে ক্ষেত্রে আমাদের কোনো দ্বিধা নেই। আমরা হলে হলে র্যাগিং কালচার, গেস্টরুম কালচার, রাতের পর রাত অত্যাচার দেখেছি। কেউ যেন পুনরায় এসব র্যাগিং কালচার, গেস্টরুম কালচার চালু করতে না পারে, সে জন্য আমরা বিক্ষোভে নেমেছি।’ তিনি বলেন, কোনো হলে কোনো ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালু করা যাবে না, এটা নিশ্চিত করতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসান বলেন, আগামীকাল রোববার তিনি প্রশাসনিক সভা করবেন। ওই সভায় তিনি শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো নিয়ে আলোচনা করবেন।
উপাচার্যের এই আশ্বাসের পর শিক্ষার্থীরা হলে ফিরে যান।