Samakal:
2025-08-01@20:11:19 GMT

খোঁজখবর

Published: 25th, February 2025 GMT

খোঁজখবর

লা রিভের ঈদ কালেকশন   
মুভমেন্ট শিরোনামে ঈদের দারুণ একটি কালেকশন চালু করেছে দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় ফ্যাশন ও লাইফস্টাইল ব্র‌্যান্ড ‘লা রিভ’। ব্র‌্যান্ডটির এক্সক্লুসিভ লেভেল নার্গিসাসেও যুক্ত হয়েছে অভিজাত পার্টি পোশাকের নজরকাড়া সব ডিজাইন। পুরো পরিবারের সবার জন্য ম্যাচিং ফ্যামিলি কম্বো, বাবা-মা, মা-মেয়ের ম্যাচিং মিনি-মি ডিজাইন থেকে শুরু করে নারী, পুরুষ, টিনএজ, কিড ও নিউ বর্ন– সবার জন্যই ঈদের সবচেয়ে ট্রেন্ডি স্টাইল যোগ হয়েছে ঈদ কালেকশনে। লা রিভের প্রধান নির্বাহী পরিচালক মন্নুজান নার্গিস বলেন, “ঈদের আনন্দ দ্বিগুণ হয়ে ওঠে, যখন তা পরিবার ও প্রিয়জনের সঙ্গে শেয়ার করা হয়। এই ঈদে পরিবার ও প্রিয় সম্পর্কের সঙ্গে যুক্ত থাকতে আপনার সব পদক্ষেপে ইতিবাচকতা যোগ করবে লা রিভের ঈদ কালেকশন ২০২৫। লা রিভ ঈদ কালেকশন এরই মধ্যে পৌঁছে গেছে ঢাকাসহ, নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, বরিশাল, খুলনা ও সিলেটের সব স্টোরে। ঘরে বসেই ঈদ শপিং করতে ভিজিট করুন লা রিভের অনলাইন পোর্টালে অথবা ডাউনলোড করুন লা রিভ অ্যাপ। এ ছাড়া মেসেঞ্জারেও অর্ডার করতে পারেন। 

 

নারী উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত
দেশের ৩০০ নারী উদ্যোক্তা এশিয়ান ব্রাইডাল মাস্টার ক্লাসে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। সম্প্রতি রাজধানীর বারিধারায় ইন্ট্রাকো কনভেনশন হলে জমকালো এক আয়োজনের মাধ্যমে এ প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়। 
ক্লাসটি শুরু হয় বেলা সাড়ে ১১টায়। এরপর ধারাবাহিকভাবে সারা দিন ধরে চলতে থাকে। ক্লাসে ছিল এশিয়ান ব্রাইডাল লুক এবং ১৫টির বেশি হেয়ার স্টাইল, প্রোডাক্ট সম্পর্কে ধারণা। এবারের ব্রাইডাল ক্লাসের মূল আকর্ষণ ছিল নারীর মধ্যকার সুপ্ত উদ্যোক্তা বের করে আনা। এই ক্লাসে ঢাকা ছাড়াও দিনাজপুর, ফরিদপুর, নরসিংদী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম থেকে অনেক উদ্যোক্তা যুক্ত হয়েছেন। আন্তর্জাতিক মেকআপ আর্টিস্ট নাদিয়া আফরোজ অংশ নেওয়াদের প্রশিক্ষণ দেন। সন্ধ্যায় তাদের সার্টিফিকেট বিতরণের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানটি শেষ হয়। 

টুয়েলভ ক্লদিংয়ের ঈদ কালেকশন 
ঈদের কালেকশনে টুয়েলভ ক্লদিং সবসময়ই ঋতুবৈচিত্র্যের বিষয়টিকে প্রাধান্য দিয়ে থাকে। এবারও ব্যতিক্রম হয়নি। এথনিক এবং ওয়েস্টার্ন– এই দুটি ভাগে নতুনত্ব এনে তারা সাজিয়েছে তাদের ঈদ কালেকশন। এবারের টুয়েলভের পোশাকের ডিজাইনের মাঝে একটু রাজকীয় স্টাইলিশ ঢংয়ের ছোঁয়া দেখতে পাওয়া যায়। এথনিকে মেন্স কালেকশন, ওমেন্স কালেকশন, কিডস বয়েজ আর কিডস গার্লস– সব ক্যাটেগরি নিয়ে কাজ করা হয়েছে। টুয়েলভের ঈদ এথনিক কালেকশনে মেয়েদের সেলোয়ার কামিজ, কুর্তির পাশাপাশি ছেলেদের পাঞ্জাবির বিশাল সমাহারের পাশাপাশি কোটি, পাজামা, ছোট ছেলেদের পাঞ্জাবি, ছোট মেয়েদের ফ্রক, টু পিস, সেলোয়ার কামিজের একটা ভালো রেঞ্জ পাওয়া যাবে। এবার ঈদে অন্যতম একটি আকর্ষণ হলো টুয়েলভের কম্বো প্যাকেজের কালেকশন। যেখানে মা-মেয়ে কিংবা বাবা-ছেলের জন্য একই ধরনের কাপড় নিয়ে এসেছে টুয়েলভ। পরিবারের কাছের মানুষের সঙ্গে একই রকমের কাপড় পরে ঈদের আনন্দ সবার মাঝে দ্বিগুণ হারে বিলিয়ে দিতে বেছে নিতে পারেন এবার টুয়েলভের ঈদ কালেকশনের কম্বো প্যাকেজগুলো। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ভ র ঈদ পর ব র

এছাড়াও পড়ুন:

অধ্যাপক ইউনূসের সংস্কারের অঙ্গীকারের এক বছর পরেও কারাগারে সাংবাদিকেরা: সিপিজে

সাংবাদিক ফারজানা রুপা চলতি বছরের ৫ মার্চ ঢাকার একটি জনাকীর্ণ আদালতে আইনজীবী ছাড়াই দাঁড়িয়েছিলেন। বিচারক তাঁর বিরুদ্ধে আরেকটি হত্যা মামলা নথিভুক্ত করার প্রক্রিয়া শুরু করছিলেন। ইতিমধ্যে অন্য মামলায় কারাগারে থাকা এই সাংবাদিক শান্তভাবে জামিনের আবেদন জানান। ফারজানা বলেন, ‘ইতিমধ্যে আমার বিরুদ্ধে এক ডজন মামলা দেওয়া হয়েছে। আমি একজন সাংবাদিক। আমাকে ফাঁসানোর জন্য একটি মামলাই যথেষ্ট।’

বিশ্বজুড়ে সাংবাদিকদের অধিকার রক্ষায় কাজ করা আন্তর্জাতিক সংগঠন কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টসের (সিপিজে) এক নিবন্ধে এসব কথা বলা হয়েছে। এতে বলা হয়, বেসরকারি একাত্তর টেলিভিশনের সাবেক প্রধান প্রতিবেদক ফারজানা রুপার বিরুদ্ধে ৯টি হত্যা মামলা রয়েছে। আর তাঁর স্বামী চ্যানেলটির সাবেক বার্তাপ্রধান শাকিল আহমেদের নামে রয়েছে আটটি হত্যা মামলা।

এক বছর আগে ছাত্রদের নেতৃত্বে কয়েক সপ্তাহের বিক্ষোভের পর পদত্যাগ করে দেশ থেকে পালিয়ে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই বিক্ষোভ চলাকালে দুজন সাংবাদিক নিহত হন। শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশ ছাড়ার পর বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নেন নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

অধ্যাপক ইউনূস গণমাধ্যম সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। শেখ হাসিনা সরকারের অধীন সাংবাদিকদের লক্ষ্যবস্তু করতে ব্যবহৃত সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিল করা হয়েছে। কিন্তু ২০২৪ সালের নভেম্বরে ডেইলি স্টার পত্রিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অধ্যাপক ইউনূস বলেছিলেন, সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে তাড়াহুড়ো করে হত্যার অভিযোগ আনা হচ্ছে। তিনি আরও বলেছিলেন, সরকার তখন থেকে এ ধরনের পদক্ষেপ বন্ধ করে দিয়েছে। মামলাগুলো পর্যালোচনা করার জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

কিন্তু প্রায় এক বছর পর এখনো সাংবাদিক ফারজানা রুপা, শাকিল আহমেদ, শ্যামল দত্ত ও মোজাম্মেল হক বাবু কারাগারে আছেন। হত্যায় উসকানি দেওয়ার অভিযোগে পৃথক মামলায় তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। বিগত সরকারের প্রতি সহানুভূতিশীল হিসেবে ব্যাপকভাবে পরিচিত সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগের বারবার ব্যবহারকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সেন্সরশিপ বলেই মনে হচ্ছে।

এ ধরনের আইনি অভিযোগ ছাড়াও সিপিজে সাংবাদিকদের ওপর শারীরিক হামলা, রাজনৈতিক কর্মীদের কাছ থেকে হুমকি এবং নির্বাসনের ঘটনা নথিভুক্ত করেছে। বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কমপক্ষে ২৫ জন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগে তদন্ত করছে। এই অভিযোগ সাবেক শেখ হাসিনা সরকারের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের লক্ষ্যবস্তু করতে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।

সিপিজের আঞ্চলিক পরিচালক বেহ লিহ ই বলেন, ‘চারজন সাংবাদিককে বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ ছাড়াই এক বছর ধরে কারাগারে আটকে রাখা অন্তর্বর্তী সরকারের সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রক্ষার ঘোষিত প্রতিশ্রুতিকে দুর্বল করে।’ তিনি আরও বলেন, ‘প্রকৃত সংস্কার মানে অতীত থেকে বেরিয়ে আসা, এর অপব্যবহারের পুনরাবৃত্তি নয়। যেহেতু আগামী মাসগুলোতে দেশে নির্বাচন হতে চলেছে, তাই সব রাজনৈতিক দলকে সাংবাদিকদের খবর প্রকাশের অধিকারকে অবশ্যই সম্মান জানাতে হবে।’

আইনি নথি ও প্রতিবেদন নিয়ে সিপিজের এক পর্যালোচনায় দেখা গেছে, এফআইআর নথিভুক্ত হওয়ার অনেক পর সাংবাদিকদের নাম প্রায়ই এতে যুক্ত করা হয়। মে মাসে জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, গত বছরের বিক্ষোভের পর ১৪০ জনের বেশি সাংবাদিকের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে।

শ্যামল দত্তের মেয়ে শশী সিপিজেকে বলেন, তাঁর বাবার বিরুদ্ধে এখন কতগুলো মামলা চলছে, পরিবার তার হিসাব রাখতে পারেনি। তাঁরা অন্তত ছয়টি হত্যা মামলার কথা জানেন, যেখানে শ্যামল দত্তের নাম আছে। মোজাম্মেল বাবুর পরিবার ১০টি মামলার কথা জানে। ফারজানা রুপা ও শাকিল আহমেদের পরিবার সিপিজেকে জানিয়েছে, তারা পাঁচটি মামলার এফআইআর পাননি, যেখানে একজন বা অন্য সাংবাদিকের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এর মানে হলো তাঁদের কেউই জামিনের আবেদন করতে পারছেন না।

এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম ও পুলিশের মুখপাত্র এনামুল হক সাগরকে ই–মেইল করে সিপিজে। তবে তাঁরা সাড়া দেননি বলে সিপিজের নিবন্ধে উল্লেখ করা হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ