সাবেক সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
Published: 1st, March 2025 GMT
রাজধানীর কলাবাগান এলাকা থেকে সাবেক সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল (এএজি) টাইটাস হিল্লোল রেমার (৫৫) মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার দুপুরে ক্রিসেন্ট রোডের একটি বাড়ির চারতলা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
কলাবাগান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নন্দন কুমার দাস এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, দুপুরে ক্রিসেন্ট রোডের একটি বাড়ির চারতলা থেকে কলাবাগান থানা-পুলিশ রেমার ঝুলন্ত মরদহ উদ্ধার করে। পরবর্তীতে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়।
পরিবারের সদস্যদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, তিনি বেশ কিছুদিন ধরে বিষণ্নতায় ভুগছিলেন। পরিবারের কাছ থেকে জানা গেছে, আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ছিলেন তিনি। বেশ কিছু দিন ধরে ঘুমের ওষুধ খাচ্ছিলেন।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী টাইটাস হিল্লোল রেমা ২০০৯-১৪ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
তার বাড়ি ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট থানার রামপুরা গ্রামে। তার বাবার নাম লিডিং স্টোন রেমা। ক্রিসেন্ট রোডের ১১৪ নম্বর বাসায় স্ত্রী ও দুই মেয়েকে নিয়ে থাকতেন তিনি।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
খেলাপি ঋণ আরও বেড়ে ৪ লাখ ২০ হাজার কোটি টাকা
লুকানো খেলাপি ঋণের আসল চিত্র সামনে আসায় আরও বেড়েছে খেলাপি ঋণ। মার্চে খেলাপি ঋণ আরও বেড়ে হয়েছে ৪ লাখ ২০ হাজার ৩৩৪ কোটি টাকা। মোট ঋণের যা ২৪ দশমিক ১৩ শতাংশ। তিন মাস আগে গত ডিসেম্বর শেষে খেলাপি ঋণ দাঁড়িয়েছিল তিন লাখ ৪৫ হাজার ৭৬৫ কোটি টাকায়। মোট ঋণের যা ছিল ২০ দশমিক ২০ শতাংশ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর সাম্প্রতিক এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, খেলাপি ঋণের কোনো তথ্য আমরা লুকিয়ে রাখবো না। সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছানোর পর এটা আদায় জোরদারের মাধ্যমে কমানো হবে। নতুন করে বিতরণ করা ঋণ যেন খেলাপি না হয় সে জন্য বিভিন্ন আইনি কঠোরতা আনার কথা জানান তিনি।
আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে কয়েকটি গ্রুপ ঋণের নামে বিপুল অর্থ বের করে নিয়েছে। যাদের বেশিরভাগই এখন পলাতক। কেউ কেউ গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন। গত ৫ আগস্টের আগে ঋণ পরিশোধ না করেও বিভিন্ন উপায়ে নিয়মিত দেখানোর সুযোগ ছিল। তবে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর এখন সেই সুযোগ বন্ধ হওয়ায় এখন তারা খেলাপি। এরই মধ্যে এস আলম, বেক্সিমকোসহ শীর্ষ ঋণগ্রহীতাদের অনেকেই খেলাপিতে পরিণত হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত মার্চ পর্যন্ত বিতরণ করা মোট ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৭ লাখ ৪১ হাজার ৯৯২ কোটি টাকা। গত ডিসেম্বর শেষে যা ছিল ১৭ লাখ ১১ হাজার ৪০২ কোটি টাকা।