বাংলাদেশ ক্রিকেটের অন্যতম সফল ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিমকে সংবর্ধনা দেওয়ার পরিকল্পনা করছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। টি-টোয়েন্টির পর সম্প্রতি ওয়ানডে থেকেও অবসর নিয়েছেন এই অভিজ্ঞ ব্যাটার। সীমিত ওভারের ক্রিকেটকে বিদায় জানালেও টেস্ট ক্রিকেট চালিয়ে যাবেন তিনি। বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনাল দেখে পাকিস্তান সফর শেষে শুক্রবার দেশে ফিরেছেন বিসিবি সভাপতি। পরে শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তৃতীয় বিভাগ বাছাই লিগের উদ্বোধনকালে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মুশফিককে সংবর্ধনার পরিকল্পনার কথা জানান তিনি।
এ প্রসঙ্গে ফারুক আহমেদ বলেন, ‘মুশফিক বাংলাদেশের ক্রিকেটের অন্যতম কিংবদন্তি। দীর্ঘ ১৯ বছর ধরে তিনি দেশের ক্রিকেটকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন। ২০০৫ সালে ইংল্যান্ড সফর থেকে শুরু করে ২০০৭ বিশ্বকাপসহ বিভিন্ন সময়ে তিনি দারুণ ভূমিকা রেখেছেন। তার অর্জনগুলো আমরা স্মরণ করছি এবং বিসিবি থেকে সংবর্ধনা দেওয়ার পরিকল্পনা করবো।’
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
শিশু শিক্ষার্থীকে উত্ত্যক্ত, থানায় অভিযোগ করায় নানাকে কুপিয়ে হত্যা
মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলায় তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করার ঘটনায় কয়েক বখাটের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন তার স্বজন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই ছাত্রীর নানা আজগর আলীকে (৬০) কুপিয়ে হত্যা করেছে স্থানীয়ভাবে বখাটে হিসেবে পরিচিত আল-আমিন নামে এক যুবক ও তার সহযোগীরা। গত মঙ্গলবার রাতে উপজেলার জয়মন্টপ ইউনিয়নের রায়দক্ষিণ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আজগর আলী রায়দক্ষিণ গ্রামে একটি চায়ের দোকান চালাতেন। অভিযুক্ত আল-আমিন একই গ্রামের মৃত কালু প্রামাণিকের ছেলে।
পুলিশ, নিহতের পরিবার এবং স্থানীয় সূত্র জানায়, যে শিশুটিকে উত্ত্যক্ত করত বখাটেরা, তার মা পাঁচ বছর আগে মারা যান। মেয়েটি নানা আজগর আলীর বাড়িতে থেকে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে পড়ত। বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়ার পথে শিশুটিকে প্রায় উত্ত্যক্ত এবং অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করত আল-আমিন। এ নিয়ে আজগর আলীসহ মেয়েটির স্বজন বেশ কয়েকবার প্রতিবাদ করলেও কোনো কাজ হয়নি। গত সোমবার মেয়েটির নানা আজগর আলী সিংগাইর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। মঙ্গলবার অভিযোগটি তদন্ত করার পর তা মামলা হিসেবে নথিভুক্ত হয়।
এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয় আল-আমিন। মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে আল-আমিন চার থেকে পাঁচটি মোটরসাইকেলে করে সহযোগীদের নিয়ে আজগর আলীর চায়ের দোকানে যায়। তারা বৃদ্ধ আজগর আলীকে দোকান থেকে বের করে নিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও লাটিসোঠা দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। হামলাকারীরা চলে গেলে স্বজন ও প্রতিবেশীরা আজগর আলীকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখান থেকে রাতেই তাঁকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা আজগর আলীকে মৃত ঘোষণা করেন।
আজগর আলীর শ্যালক নজরুল ইসলাম জানান, মাদক সেবন, মাদক ব্যবসাসহ নানা অপরাধে জড়িত বখাটে আল-আমিন।
সিংগাইর থানার ওসি তৌফিক আজম বলেন, নিহতের বড় ছেলে আইয়ুব খান বুধবার আল-আমিনকে প্রধান আসামি করে হত্যা মামলা করেছেন। ঘটনার পর থেকে আল-আমিন ও তার সহযোগীরা পলাতক। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।