গাজীপুরের শ্রীপুরে একটি ইন্টারলাইনিং কারখানায় দুর্ধর্ষ ডাকাতি হয়েছে। সশস্ত্র ডাকাতদল সীমানা প্রাচীর টপকে ভেতরে ঢুকে নিরাপত্তাকর্মীদেরকে বেঁধে ৩০ লক্ষাধিক টাকার ক্যাবল ও বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি লুট করেছে।
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার তেলিহাটী ইউনিয়নের বেকাসহরা এলাকায় ইকোট্রিমস বাংলাদেশ লিমিটেড কারখানায় এ ডাকাতি হয়।
কারখানার ব্যবস্থাপক (সাপ্লাই চেইন অ্যান্ড ওয়্যারহাউস) মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, ৯ থেকে ১০ জনের ডাকাতদল সীমানা প্রাচীর টপকে ভেতরে ঢোকে। তারা ভেতরে দায়িত্বে থাকা তিন নিরাপত্তাকর্মীকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে বেঁধে ফেলে। পরে কারখানার ইউটিলিটি ভবনের দুটি দরজার তালা ভেঙে অন্তত ৬৫০ মিটার ৩০০ আরএম কেবল, ওয়েল্ডিং মেশিন ও বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি পিকআপভ্যান (ঢাকা মেট্রো-ন-১৯-৭৪৭৮) ভর্তি করে। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে পৌঁছার আগেই ডাকাতদল পালিয়ে যায়।
শ্রীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন মণ্ডল বলেছেন, ডাকাতির পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থল পৌঁছে তদন্ত শুরু করেছে। সিসিটিভি ফুটেজ দেখা হচ্ছে। আশা করছি, খুব শিগগিরই লুণ্ঠিত মাল উদ্ধার ও ডাকাতদেরকে শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করতে পারব।
ঢাকা/রফিক সরকার/রফিক
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মানববন্ধনে যাওয়া দোকান কর্মচারীকে পিটুনি
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে আলোচিত শান্ত সরকার হত্যা মামলায় আসামিপক্ষের বিরুদ্ধে এক দোকান কর্মচারীকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার বিকেলে উপজেলার দাউদপুর ইউনিয়নের হিরনাল এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। এ সময় আসামিরা হত্যা মামলাটি তুলে নিতে বাদী সালাউদ্দিন সরকারকে হুমকি দেয়।
গতকাল রোববার এ বিষয়ে রূপগঞ্জ থানায় অভিযোগ দিয়েছেন সালাউদ্দিন সরকার। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর ভাতিজা শান্ত সরকারকে গত ১১ এপ্রিল বিকেলে দাউদপুরের জিন্দা এলাকায় হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় তিনি ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি আসাদ ফকির (৪০), তাঁর ভাই নাঈম ফকির (৩৭), রানা ফকির (৩৫), রোকনউদ্দিনসহ (৪০) ১৭ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতপরিচয় সাত-আটজনের বিরুদ্ধে রূপগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন।
হত্যা মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে গত ২২ এপ্রিল এলাকাবাসীর উদ্যোগে মানববন্ধন করা হয়। এতে অংশ নেন সালাউদ্দিন সরকারের দোকানের কর্মচারী আনোয়ার হোসেন। এতে আসামিপক্ষের লোকজন ক্ষিপ্ত হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, শনিবার বিকেলে আনোয়ার হোসেন দোকান থেকে বাড়িতে ফিরছিলেন। হিরনাল মাজারের সামনে পৌঁছালে তাঁর ওপর হামলা হয়। এতে শান্ত হত্যা মামলার আসামি নাঈম ফকির, রানা ফকির, ফরহাদ, অনিক ফকিরসহ তাদের সহযোগীরা ছিলেন। তারা আনোয়ারের কাছ থেকে দোকানের পণ্য কেনার নগদ ৬৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। মারধরের শিকার হয়ে তিনি চিৎকার করলে সালাউদ্দিন সরকারসহ আশপাশের লোকজন আসেন। এ সময় হামলাকারীরা মামলা তুলে নিতে তাঁকে হুমকি দেয়। পরে আনোয়ারকে উদ্ধার করে রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
দাউদপুর ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি আসাদ ফকিরের ভাষ্য, ‘একটি সাইনবোর্ড লাগানোকে কেন্দ্র করে তর্কাতর্কি হয়েছিল। তখন আমার ছোট ভাই নাঈম ও তাঁর লোকজন আনোয়ারকে মারধর করেছে।’ তিনি আনোয়ারের চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছেন বলেও দাবি করেন।
রূপগঞ্জ থানার ওসি তরিকুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় তারা লিখিত একটি অভিযোগ পেয়েছেন। তদন্তের পর আইনগত ব্যবস্থা নেবেন।