Samakal:
2025-05-01@05:38:55 GMT

বাংলাদেশের ছেত্রি চ্যালেঞ্জ

Published: 21st, March 2025 GMT

বাংলাদেশের ছেত্রি চ্যালেঞ্জ

২০২৪ সালের ৬ জুন যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে কুয়েতের বিপক্ষে ম্যাচই ছিল ভারতের জার্সিতে সুনীল ছেত্রির শেষ ম্যাচ। আন্তর্জাতিক ফুটবলকে সুনীলের বিদায় বলার পর ভারতও যেন জিততে ভুলে গিয়েছিল। ১৬ মাসে ১২ ম্যাচ খেলা দলটি পারেনি কোনো ম্যাচ জিততে। কোচ মানোলো মার্কুয়েজের ওপর বাড়তে থাকে চাপ। বরখাস্ত হওয়ার শঙ্কায় থাকা মানোলো ডাক দিলেন ছেত্রিকে। 

২৫ মার্চ শিলংয়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচ সামনে রেখে কোচের ডাকে সাড়া দিয়ে ৪০ বছর বয়সী ভারতীয় ফুটবলের এ তারকা ফিরলেন অবসর ভেঙে। ভারতও ফিরল জয়ে। বুধবার শিলংয়ে প্রীতি ফুটবল ম্যাচে মালদ্বীপের বিপক্ষে ভারত জিতেছে ৩-০ গোলে। এই জয়ে ছেত্রি করেছেন এক গোল। গোলের পর উদযাপন প্রকাশ করতে গিয়ে তাঁর চোখের কোণে জল এসেছিল। ভারতের জার্সিতে তাঁর গোলসংখ্যা হলো ৯৫। গোল করে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম সেরা এ তারকা জানিয়ে দিলেন তিনি এখনও ফুরিয়ে যাননি। বয়স তাঁর কাছে স্রেফ সংখ্যা। বলা যায়, এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বে বাংলাদেশের বড় চ্যালেঞ্জ এখন সুনীল ছেত্রি।

ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ মানেই বাংলাদেশের আতঙ্ক ছেত্রি। এক-দু’বার নয়, বহুবার বাংলাদেশকে হতাশায় ডুবিয়েছিলেন তিনি। ২০২১ সালের ৪ অক্টোবর মালেতে বাংলাদেশের বিপক্ষে গোল করেছিলেন তিনি। তাই তো শিলংয়ে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে বাংলাদেশের দুর্ভাবনার নাম বেঙ্গালুরুর এ ফরোয়ার্ড। অনেকের ধারণা, বাংলাদেশে যখন ইংল্যান্ড প্রবাসী হামজা এসেছেন, তাঁকে টেক্কা দেওয়ার জন্যই ভারত ফিরিয়ে এনেছে ছেত্রিকে। 

শেফিল্ড ইউনাইটেডে হামজা ডিফেন্সে খেলেন আর ছেত্রি হলেন ফরোয়ার্ড। তাই ভারতের আক্রমণ আর বাংলাদেশের রক্ষণভাগের লড়াইয়ের ভেতরে মূল লড়াই হবে মূলত হামজা ও ছেত্রির মধ্যে। যে লড়াইয়ে হামজাকে এগিয়ে রাখছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া। বুধবার সংবাদ সম্মেলনে জামাল দুই তারকার কে সেরা বলতে গিয়ে এভাবে ব্যাখ্যা করেছেন, ‘দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবলের অন্যতম তারকা ছেত্রি। তবে হামজা কিন্তু প্রিমিয়ার লিগে খেলা ফুটবলার।’

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ফ টবল

এছাড়াও পড়ুন:

সাকিবের পথে হাঁটছেন মিরাজ

সাকিব আল হাসানের সঙ্গে নিজের তুলনাকে মেহেদী হাসান মিরাজ হয়তো উপভোগই করেন। কারণ, তাঁর স্বপ্ন সাকিবের মতো বিশ্বনন্দিত অলরাউন্ডার হয়ে ওঠা। সেই পথে বোধ হয় গুটি গুটি পায়ে এগিয়ে যাচ্ছেন। বিশেষ করে টেস্টে দেশে-বিদেশে সম্প্রতি ভালো করছেন। পাকিস্তানে দারুণ প্রশংসিত ছিলেন অলরাউন্ড পারফরম্যান্স করে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুই টেস্টের হোম সিরিজে উভয় টেস্টে নিজেকে ছাপিয়ে গেলেন। সিলেটের হারের ম্যাচেও ১০ উইকেট ছিল তাঁর। চট্টগ্রামে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট নিয়ে সাকিব ও সোহাগ গাজীর কাতারে নাম লেখালেন। মূলত মিরাজের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে ইনিংস ব্যবধানে টেস্ট জেতা সম্ভব হয়। 

গতকাল শতকের ঘরে যেতে কম কসরত করতে হয়নি তাঁর। নব্বইয়ের ঘরে গিয়ে তো অনিশ্চয়তায় পড়ে গিয়েছিলেন হাসানের আউটের শঙ্কায়। ভাগ্য সুপ্রসন্ন হওয়ায় দ্বিতীয় শতকের দেখা পান তিনি। ২০২১ সালে এই চট্টগ্রামেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি ছিল মিরাজের। গতকালের পারফরম্যান্স নিয়ে টাইগার এ অলরাউন্ডার বলেন, ‘ব্যাটিংয়ের সময় চেষ্টা করেছিলাম ২ রান নিয়ে ১০০ রানে যেতে। সেভাবে দৌড় দিয়েছিলাম। কিন্তু ফিল্ডারের হাতে বল চলে গিয়েছিল (হাসি)। তার পর তো আল্লাহর ওপর ছেড়ে দিয়েছিলাম। হাসান অনেক ভালো সাপোর্ট দিয়েছে। তানজিমও ভালো সাপোর্ট দিয়েছে। তাইজুল ভাইও। এই তিনজনকেই অনেক অনেক ধন্যবাদ। কারণ, ওদের জন্যই আমি ১০০ রান করতে পেরেছি।’ 

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে করা সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট প্রাপ্তিকে নিজের সেরা পারফরম্যান্স দাবি মিরাজের, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে ১০০ করেছিলাম, ৩ উইকেট নিয়েছিলাম। অল্পের জন্য ৫ উইকেট হয়নি। হলে ভালো লাগত। ওই ম্যাচ হেরেছিলাম এই মাঠে। সে জিনিসটা মাথায় ছিল। ভালো লাগছে ম্যাচটি জিতেছি।’ মিরাজ ১৬২ বলে ১১টি চার ও একটি ছয় মেরে ১০৪ রান করেন। ২১ ওভারে ৩২ রান দিয়ে নেন পাঁচ উইকেট।

টেস্টে এ রকম অলরাউন্ড পারফরম্যান্স বাংলাদেশে আর দু’জনের আছে। সাকিব আল হাসান দু’বার ম্যাচে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট পেয়েছেন ২০১১ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে মিরপুরে আর ২০১৪ সালে খুলনায়। সোহাগ গাজী নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট শিকার করেন চট্টগ্রামে। সেই মাইলফলক ছোঁয়া মিরাজকে সম্প্রতি অলরাউন্ডার ক্যাটেগরিতে ফেলা হয়। সাকিবের বিকল্প ভাবা হয় তাঁকে এখন। 

এ ব্যাপারে মিরাজের অভিমত, ‘দেখেন একটা জিনিস, যখন সাকিব ভাই ছিলেন, ভিন্ন রোল ছিল। এখন ভিন্ন রোল। যেহেতু টিম ম্যানেজমেন্ট, সবাই ব্যাটিংয়ে আস্থা রাখে। আমিও ভেবেছি আমার ব্যাটিংটা গুরুত্বপূর্ণ। এখন হয়তো আমি লিডিং রোল প্লে করছি, আগে সাকিব ভাই করত। এখন আমাদের দায়িত্ব আরও বেশি।’ 

সিলেটে দুই ইনিংসে পাঁচ উইকেট করে নিয়েও দলকে জেতাতে পারেননি মিরাজ। চট্টগ্রামে সাদমান, তাইজুলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ম্যাচ জয়ের নায়ক হন। এই সাফল্য নিয়ে বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে, প্রথম ম্যাচ হারার পর যেভাবে কামব্যাক করেছি, এটা খুবই দরকার ছিল। আমাদের সবাই ভেবেছিল, আমরা ভালো করব।’ মিরাজ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন কোচিং স্টাফ ও সতীর্থের কাছে। আর তাঁর কাছে কৃতজ্ঞতা পুরো দলের।

সম্পর্কিত নিবন্ধ