হাসপাতালে বৈষম্যবিরোধীদের অশালীন আচরণের প্রতিবাদ চিকিৎসকদের
Published: 5th, May 2025 GMT
চাঁপাইনবাবগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের কক্ষে ঢুকে অশালীন ও আক্রমণাত্মক আচরণের অভিযোগ তুলে প্রতিবাদ জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
আজ সোমবার দুপুরে হাসপাতালটির মিলনায়তনে এক সম্মেলনে এ তথ্য জানায় জেলা শাখার চিকিৎসকদের সংগঠন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) ও ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরাম (এনডিএফ)।
সংবাদ সম্মেলনে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মাসুদ পারভেজ, ড্যাবের চাঁপাইনবাবগঞ্জ শাখার সভাপতি ময়েজ উদ্দিন, এনডিএফের জেলা শাখার সভাপতি মহিউদ্দীন, হাসপাতালের চিকিৎসক ইসমাইল হোসেন বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুনচাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালে নানা অনিয়মের অভিযোগে বৈষম্যবিরোধীদের সংবাদ সম্মেলন২০ ঘণ্টা আগেময়েজ উদ্দিন বলেন, গত ৩০ এপ্রিল বুধবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে কয়েকজন হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের পক্ষে ঢুকে অশালীন, অভদ্র ও আক্রমণাত্মক আচরণ করেন। কোনো ধরনের প্রটোকল অনুসরণ না করে তাঁরা (বৈষম্যবিরোধীরা) জোর করে হাসপাতালের সব চিকিৎসক ও কর্মচারীর বায়োমেট্রিক ফিঙ্গারপ্রিন্টের হার্ড কপি ও সফট কপি দাবি করেন। তথ্য অধিকার আইনের নিয়ম অনুযায়ী আসতে বললে তাঁরা অস্বীকৃতি জানান। এ বিষয়ে তাঁরা হাসপাতালের কনসালট্যান্ট ইসমাইল হোসেনের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডায় জড়ান এবং অসদাচরণ করে হুমকি দেন। দুটি সংগঠনের পক্ষ থেকে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে দুর্বৃত্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করা হচ্ছে।
লিখিত বক্তব্যে আরও উল্লেখ করা হয়, ‘৫ আগস্টের অর্জনকে আমরা (চিকিৎসকেরা) বুকে ধারণ করি। এই অর্জনে চিকিৎসক সমাজের বলিষ্ঠ ভূমিকাকে স্মরণ করি। কতিপয় দুর্বৃত্ত যেন এ অর্জনকে ব্যক্তি স্বার্থে ব্যবহার করে আন্দোলনের অর্জনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে না পারে, সে বিষয়ে আমাদের সচেতন থাকতে হবে। ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে হাসপাতাল ও চিকিৎসক সমাজকে কুরুচিপূর্ণ ভাষায় আক্রমণ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ব্যক্তির চরিত্র হননের চেষ্টা করা হয়েছে; যা নিন্দনীয়।’
ক্ষোভ প্রকাশ করে ময়েজউদ্দীন বলেন, ‘আমার ছেলের বয়সী ছেলেরা যখন একজন জ্যেষ্ঠ চিকিৎসকের উদ্দেশে আঙুল উঁচিয়ে বলে, “আপনি একজন দালাল”, তখন এটা মেনে নেওয়া যায় না।’
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মাসুদ পারভেজ অভিযোগ করেন, গত সেপ্টেম্বর মাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের কয়েকজন হাসপাতালের আউটসোর্সিং কর্মচারীদের বরখাস্ত করে নতুন নিয়োগ দেওয়ার জন্য চাপ দেন। তাঁরা ওষুধ ও হাসপাতালের খাবারের দরপত্র বিজ্ঞপ্তিতে হস্তক্ষেপ করে পছন্দের ঠিকাদারের পক্ষে তদবির করেন।
এ ব্যাপারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শাখার আহ্বায়ক আবদুর রাহিম বলেন, ‘চিকিৎসকদের দালাল বলা ঠিক হয়নি। তবে আমাদের উপদেষ্টাদের দুর্নীতি নিয়ে কথা বললে দালাল বলা হয়েছে। এর আগে তদবির করতে কারা গেছে, তা আমাদের জানানো হয়নি।’
গত রোববার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চাঁপাইনবাবগঞ্জ শাখার পক্ষে এক সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়। এতে হাসপাতালটির নানা অনিয়ম–দুর্নীতি নিয়ে অভিযোগ করা হয়।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: প ইনব বগঞ জ চ ক ৎসক
এছাড়াও পড়ুন:
ইরানের ‘লাল রেখা’ কী কী?
ইরানের দৃষ্টিতে রেড লাইনস বা লাল রেখা কী কী, সে বিষয়ে আলজাজিরা কথা বলেছে অস্ট্রেলিয়ার ডিকিন ইউনিভার্সিটির ইরান বিশেষজ্ঞ শাহরাম আকবরজাদের সঙ্গে। তিনি বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়েছেন।
শাহরাম আকবরজাদে বলেছেন, “ইরান স্পষ্ট করে বলেছে যে, তারা আন্তর্জাতিক পরিদর্শন ব্যবস্থার অধীনে থাকতে প্রস্তুত, এমনকি কঠোর পরিদর্শনের অধীনেও; যাতে তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি পর্যবেক্ষণ করা যায়। তারা স্পষ্টভাবে জানিয়েছে যে, তারা পারমাণবিক অস্ত্র নির্মাণের পথে হাঁটবে না।”
এর বিনিময়ে ইরানের চাওয়া হলো নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্তি। আকবরজাদে বলেন, “যদি ইউরোপীয় দেশগুলো এমন কোনো সমাধান নিয়ে আসতে পারে, যা এই লাল রেখাগুলোর প্রতি শ্রদ্ধাশীল, তাহলে কূটনৈতিক সমাধানের যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে।”
আরো পড়ুন:
ইসরায়েল-ইরান সংঘাত নিয়ে চীনের দৃষ্টিভঙ্গি কী?
ইরানের চার ড্রোন ভূপাতিত করার দাবি ইসরায়েলের
তিনি আরো বলেন, ইরানের কাছ থেকে আশা করা যায় না যে তারা যুক্তরাষ্ট্রের দমনমূলক আচরণের সামনে নিঃশর্তভাবে আত্মসমর্পণ করবে।
“ইরানিরা যুক্তরাষ্ট্রের আচরণকে ‘বুলি’ বা দমনমূলক বলেই অভিহিত করেছে। হুমকি দিয়ে কথা বলা, ইরানের শীর্ষ নেতাকে হত্যার হুমকি; এসবই সেই দমনমূলক আচরণের পরিচয়।”
আকবরজাদে বলেন, “তাদের কাছে আত্মসমর্পণ করা গ্রহণযোগ্য নয়; তারা কোনো না কোনো সমঝোতার পথ খুঁজবে, তবে এমনভাবে যাতে নিজেদের মর্যাদাও রক্ষা হয়।”
ঢাকা/রাসেল