গাজীপুরে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহর গাড়িতে হামলার ঘটনায় আরও ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে থানার পুলিশ। 

গাজীপুর মেট্রোপলিটনের বাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীন খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, বাসন থানা পুলিশ ও গোয়েন্দা পুলিশ সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করে। সন্ধ্যায় তাদের গাজীপুর আদালতে হাজির করা হলে বিচারক আসামিদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন। গ্রেপ্তাররা সবাই আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। 

এর আগে রোববার রাত থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত ৫৪ জনকে আটক করা হয়।

উল্লেখ্য, রোববার সন্ধ্যায় গাজীপুর থেকে মাইক্রোবাসে ঢাকায় ফেরার পথে মহানগরের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় এনসিপি নেতা হাসনাত আবদুল্লাহর গাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ধারালো অস্ত্র দিয়ে হাসনাতের গাড়িতে আঘাত করা হয়। গাড়ির গ্লাস ভেঙে গেছে। তার হাতের কুনইয়ে জখম হয়েছে। হামলার পর সন্ত্রাসীরা তার গাড়ির পেছনে দৌঁড়াতে থাকে। এক পর্যায়ে হাসনাত বোর্ডবাজার এলাকায় আইইউটির ভেতরে গিয়ে নিরাপদে আশ্রয় নেন। হামলার খবর ছড়িয়ে পড়লে মুহূর্তের মধ্যে আইইউটির সামনে শত শত ছাত্র জড়ো হন। এরই মধ্যে তিনি নিরাপদে ঢাকায় চলে যান। পরে সেখানে বিক্ষোভ মিছিল করা হয়। রাত ৯টার দিকে চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় মশাল মিছিল বের করেন সংগঠনের নেতাকর্মীরা। হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের দাবি জানান তারা।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

এক বছরে সড়কে ৬ হাজারের বেশি নিহত, কোথায় বেশি, কারণ কী

দেশে সড়কপথে এক বছরে ৬ হাজার ৪২০ জন নিহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ৪৮ শতাংশই নারী-শিশু ও পথচারী।

এ হিসাব গত বছরের অক্টোবর থেকে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। সড়কে নারী, শিশু, পথচারী এবং চালক-সহকারীরা বেশি ঝুঁকিতে থাকেন এবং এঁদের মৃত্যুর হারও বেশি।

রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের গত ১২ মাসের তথ্য বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। সংস্থাটির পরিসংখ্যান বলছে, সড়কে বেশি মৃত্যু হয়েছে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায়। ওই ১২ মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত মানুষের সংখ্যা ১২ হাজার ৫২৮। ১২ মাসে মোট সড়ক দুর্ঘটনার সংখ্যা ৬ হাজার ৪৩৭।

মোট নিহত ব্যক্তির মধ্যে নারী ৯০৮, শিশু ৮৭১ এবং পথচারী ১ হাজার ৩২২ জন—যা মোট মৃত্যুর ৪৮ দশমিক ৩০ শতাংশ। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে যানবাহনের চালক ও তাঁদের সহকারীর সংখ্যা ৮৫৫। সব মিলিয়ে এই চারটি ঝুঁকিপূর্ণ শ্রেণি (নারী, শিশু, পথচারী এবং চালক-সহকারী) মোট নিহতের প্রায় ৬১ দশমিক ৬২ শতাংশ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যা প্রমাণ করে দেশের সড়কে বিদ্যমান নিরাপত্তাকাঠামো সমাজের দুর্বলতম অংশকে সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ। দেশে সড়ক দুর্ঘটনা এখন আর বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা নয়; বরং এটি একটি ভয়াবহ জাতীয় সংকট।

সড়কে নারী, শিশু, পথচারী এবং চালক-সহকারীরা বেশি ঝুঁকিতে থাকেন এবং এঁদের মৃত্যুর হারও বেশি।সড়কে প্রধান ঘাতক ‘মোটরসাইকেল’মহাসড়কে বিপজ্জনক বাঁকে কাছাকাছি দূরত্বে বাস-ট্রাক-মোটরসাইকেল। রংপুর নগরের হাজিরহাট এলাকায় রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়কের এই স্থানে প্রায়ই ঘটে দুর্ঘটনা। তবু ওভারটেকিং করে চলাচল করছে যানবাহন

সম্পর্কিত নিবন্ধ