ভারতের ১২টি ড্রোন নিষ্ক্রিয়, একজন বেসামরিক নাগরিক নিহত: পাকিস্তান সেনাবাহিনী
Published: 8th, May 2025 GMT
পাকিস্তান সেনাবাহিনী আজ বৃহস্পতিবার বলেছে, একাধিক স্থানে ১২টি ভারতীয় ড্রোন ‘নিষ্ক্রিয়’ করা হয়েছে। অভিযান এখনো চলছে। এই ঘটনায় একজন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। আর আহত হয়েছেন পাকিস্তানের চার সেনাসদস্য।
পারমাণবিক শক্তিধর দুই প্রতিবেশীর মধ্যে গতকাল বুধবার পাল্টাপাল্টি প্রাণঘাতী হামলার এক দিন পর এই ঘটনা ঘটল।
গতকাল বুধবার দিনের প্রথম প্রহরে পাকিস্তানের ছয়টি শহরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ভারত। তাৎক্ষণিক প্রতিরোধ গড়ে তোলে পাকিস্তান। গতকাল কাশ্মীর সীমান্তে দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে চলে দফায় দফায় পাল্টাপাল্টি গোলাবর্ষণ। পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) তথ্য অনুযায়ী, ভারতের হামলায় নারী-শিশুসহ ৩১ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত ও ৫৭ জন আহত হন। অন্যদিকে, ভারতের সেনাবাহিনীর তথ্য অনুসারে, হামলার পর থেকে সীমান্তে পাকিস্তানি বাহিনীর গোলাবর্ষণে ১৫ বেসামরিক নাগরিক নিহত ও ৪৩ জন আহত হয়েছেন। গোলার আঘাতে ভারতীয় এক সেনাও নিহত হয়েছেন বলে দ্য হিন্দু জানিয়েছে।
পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরিফ চৌধুরী আজ বলেন, গত রাতে ভারত একাধিক স্থানে ড্রোন পাঠিয়ে আরেকটি আগ্রাসনের কাজ করল। ভারতের এই কর্মকাণ্ডের কারণে মিয়ানোতে একজন বেসামরিক নাগরিক শহীদ হয়েছেন।
লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরিফ চৌধুরী আরও বলেন, অভিযান অব্যাহত আছে। পাকিস্তান সেনাবাহিনী ভারতীয় ড্রোনগুলো নিষ্ক্রিয় করে চলছে।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বরা হয়, পাকিস্তানের পাঞ্জাব ও সিন্ধুর বিভিন্ন স্থানে ড্রোনগুলোর ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা ধ্বংসাবশেষ দেখার জন্য লোকজন জড়ো হয়।
পাকিস্তানের বেসামরিক উড়োজাহাজ চলাচল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ইসলামাবাদ, করাচি ও লাহোর-এই তিনটি প্রধান শহরের বিমানবন্দর আজ সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
এক কাপ কফি খাও, তারপর লিখতে বসো—মতি ভাই বললেন
‘অতর্কিতেই আকাশ আনল
বিদ্যুৎময় আলোকচিত্র
নতুন একটা কবিতা পড়তে
উঠে দাঁড়ালেন অরুণ মিত্র।’—কবির সুমন
যখন মোবাইল ফোনের চার্জ কমে আসে, আপনি কী করেন? চার্জ দেন। যখন আপনার মনের চার্জ কমে আসে, আপনি কী করেন? আমি কী করি, আপনাকে বলি। আমি সাইফুল সামিনকে দেখি। আমাদের সহকর্মী, বন্ধু, তরুণতর সাইফুল ইসলাম ওরফে সাইফুল সামিন। এখন সামিনের বয়স ৪০ ছুঁয়েছে। সাইফুল সামিন প্রথম আলোয় এবার অন্যতম সেরা কর্মীর পুরস্কার পেয়েছেন। সাইফুল সামিন আজ থেকে ১৭ বছর আগে ছিলেন একজন তরুণ শিক্ষার্থী। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের ছাত্র। প্রথম আলোর ঢাকায় থাকি পাতায় প্রদায়ক হিসেবে লিখতেন। খবর সংগ্রহ করতেই গিয়েছিলেন তেজগাঁও রেলস্টেশনে। দুর্ভাগ্যক্রমে ট্রেনের নিচে তাঁর দুই পা চলে যায়, প্রায় কোমরের কাছাকাছি জায়গা থেকে তাঁর দুটো পা কাটা পড়ে। সেই সাইফুল সামিন বেঁচে যান। প্রথম আলো তাঁর চিকিৎসার দায়িত্ব নেয়। আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তাঁর দুটো কৃত্রিম পায়ের তহবিল জোগাড়ের জন্য ক্যাম্পেইন শুরু করে। প্রথম আলো তাতে হাত মেলায়। অনেকের সহযোগিতায় কৃত্রিম পা নিয়ে উঠে দাঁড়ান সাইফুল সামিন।
সাইফুল অন্য যেকোনো সাংবাদিকের মতো নিয়মিত আসেন প্রথম আলোয়। একজন সহকারী নিয়োগ দিয়ে রেখেছেন তিনি, তাঁকে চলাচলে সাহায্য করার জন্য। তিনি ৫ মিনিট দেরিও করতে চান না। কারও চেয়ে কম কাজও করেন না। তিনি যে আমাদের সেরা কর্মীর পুরস্কার পাবেন, তাতে আর আশ্চর্য কী!
সেরা কর্মীদের একজন সাইফুল সামিন