সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের দেশ ছেড়ে যাওয়ার ঘটনায় তাঁর নিজের জেলা কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাসান চৌধুরীকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এছাড়া ইমিগ্রেশন পুলিশের একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে প্রত্যাহার এবং উপপরিদর্শক ও সহকারী উপপরিদর্শক পদমর্যাদার দুজন কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ সদর দপ্তরের গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) ইনামুল হক সাগর এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। একইসঙ্গে মো.

আবদুল হামিদের দেশত্যাগের ঘটনা তদন্তে পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (প্রশাসন) মো. মতিউর রহমান শেখকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

পুলিশ সদরদপ্তরের এআইজি ইনামুল হক সাগর প্রথম আলোকে বলেন, সাবেক রাষ্ট্রপতির দেশত্যাগের ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে ইমিগ্রেশন পুলিশের একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এ ছাড়া আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে কিশোরগঞ্জের সদর থানায় দায়ের হওয়া মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এবং পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) একজন কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

পুলিশ সদর দপ্তরের আরেকটি সূত্রে জানা যায়, ইমিগ্রেশন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তাহসিনা আরিফকে প্রত্যাহার এবং এসবির সহকারী উপপরিদর্শক মো. সোলায়মান এবং কিশোরগঞ্জে আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আজহারুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

ছাত্র–জনতার অভুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের নয় মাস পর গতকাল বুধবার দিবাগত রাত ৩টা ৫ মিনিটে থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে দেশ ছাড়েন সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।

ইমিগ্রেশন সূত্র জানায়, আবদুল হামিদ শারীরিকভাবে অসুস্থ ছিলেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য গতকাল রাত ১১টার দিকে সাধারণ যাত্রী হিসেবে শাহজালাল বিমানবন্দরে যান তিনি। এ সময় তার মুখে মাস্ক ও মাথায় ক্যাপ ছিল। পরে ইমিগ্রেশনের প্রয়োজনীয় যাচাই-বাছাই শেষে তাঁকে দেশ ছাড়ার সবুজ সংকেত দেওয়া হয়। এসবির একজন কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, তিনি বিদেশ যাওয়ার কারণ হিসেবে চিকিৎসার কথা বলেছেন।

গত ১৪ জানুয়ারি কিশোরগঞ্জ সদর থানায় আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের হয়। এই মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের আরও অনেককে আসামি করা হয়।

এই পরিস্থিতি আবদুল হামিদের দেশত্যাগের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতারা। তাঁকে দেশত্যাগে সহায়তাকারীদের শাস্তির আওতায় আনা এবং বিদেশ থেকে আবদুল হামিদকে ফিরিয়ে ৪৮ ঘণ্টার সময়সীমা বেধে দিয়ে গণঅধিকার পরিষদ বলেছে, সেটা করতে না পারলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে তাঁর দায়িত্ব থেকে সরে যেতে হবে। এই দাবিতে আজ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি স্মারকলিপি দিয়েছে দলটি।

এদিকে আজ দিনাজপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মুখে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, আবদুল হামিদের দেশত্যাগে সহায়তাকারীদের শাস্তির আওতায় আনা হবে। আর যদি শাস্তির আওতায় না আনতে পারেন, তাহলে তিনি দায়িত্ব থেকে চলে যাবেন।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আবদ ল হ ম দ র দ শত য গ আবদ ল হ ম দ র দ শ কর মকর ত র ঘটন রগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়েও নারী কেন ন্যায্য হিস্যা পাবে না

সাধারণভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠের শাসনকেই গণতন্ত্র বলে। কোনো একটি বৃহৎ পরিসরে, যেমন রাষ্ট্রে জনমতের সংখ্যাগরিষ্ঠতা মাপা সহজ নয়। তাই বিভিন্ন পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছে মানুষ। মাপার নিক্তি যেমনই হোক না কেন, মূল প্রতিপাদ্য থাকে সবচেয়ে বেশি মানুষের মত ও তাঁদের প্রতিনিধি বেছে নেওয়া। এর আলোকে সবচেয়ে প্রচলিত ও জনপ্রিয় পদ্ধতি হলো দেশকে সংসদীয় আসনে বিভক্ত করে তাতে সর্বজনীন প্রাপ্তবয়স্ক ভোটাধিকারের চর্চা।

সাধারণ হিসাবে যাদের কোনো কিছু পাওয়ার কথা নয়, সেটা তাদের জন্য সংরক্ষিত রাখাকেই কোটা বা ইতিবাচক বৈষম্য বলে। আর যেটা স্বাভাবিকভাবেই পাওয়ার কথা, সেটাকে বলে ন্যায্য হিস্যা। মোটকথা, সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের জন্য যা বরাদ্দ থাকে, তাকে কেউ কোটা বলে না, বলে অধিকার।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) পরিচালিত সর্বশেষ জনশুমারি অনুসারে দেশের নারী-পুরুষের অনুপাত হলো ৫০ দশমিক ৯৩ ও ৪৯ দশমিক শূন্য ৭। নিকটতম পূর্ণ সংখ্যায় দেখালে জনসংখ্যার ৫১ শতাংশ নারী ও ৪৯ শতাংশ পুরুষ। সংখ্যাগরিষ্ঠের শাসন, ন্যায্য হিস্যা আর দেশে পুরুষের চেয়ে নারীর সংখ্যাধিক্য—সবকিছু একত্রে বিবেচনায় নিলে দেশের ৫১ শতাংশ সংসদ সদস্য নারী হওয়াই স্বাভাবিক। সে হিসাবে ৩০০ আসনের মধ্যে ১৫৩ সংসদ সদস্য নারী হওয়া উচিত ছিল!

সংখ্যাগরিষ্ঠের রাজনৈতিক আধিপত্য ফলানোর রীতি অনুসারে যেহেতু জনসংখ্যায় নারী বেশি, সেহেতু কিছু ব্যতিক্রম বাদে ৩০০ আসনেই নারী ভোটারও বেশি হওয়ার কথা। এমন একটা দৃশ্যের কথা ভাবা যাক: কোনো এক ‘স্নিগ্ধ’ নির্বাচনী ভোরে দেশের নারীরা যদি নিজেদের আর্থসামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে বঞ্চিত বর্গ হিসেবে ধরে এই বলে বিদ্রোহী হয়ে ওঠেন যে তাঁরা কেবল একজন নারীকেই ভোট দেবেন। তাহলে আক্ষরিক অর্থেই পুরুষদের ‘হাতে হারিকেন ধরিয়ে দিয়ে’ ৩০০ জন এমপিই নারী নির্বাচিত হবেন!

কিন্তু রাষ্ট্রের এই সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশকে বাস্তবে কীভাবে দেখা হয় বা কতটুকু স্থান দেওয়া হয় রাষ্ট্রীয় ও রাজনৈতিক পরিসরে? সদ্য সমাপ্ত জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপে জাতীয় সংসদে নারীদের সরাসরি নির্বাচন বা প্রতিনিধিত্বের প্রশ্নে যা হলো, সেটাকে অনেকে উল্টো যাত্রার সঙ্গে তুলনা করেছেন। জাতীয় সংসদে শুধু পুরুষদের জন্য আইন প্রণয়ন করা হয় না, নারী-পুরুষনির্বিশেষে সব মানুষের জন্য। অথচ সেসব আইনে দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ, অর্থাৎ নারীর মতামত দেওয়ার সুযোগ না থাকা কোনো ইতিবাচক ঘটনা নয়।

সংবিধান সংস্কার কমিশন প্রস্তাব করেছিল, স্থানীয় সরকারব্যবস্থার আদলে প্রতি তিনটি সাধারণ আসনের জন্য একটি নারী আসন নির্ধারণ করে তা সরাসরি ভোটের মাধ্যমে নির্বাচনের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের মতে, প্রতিটি আসনে একজন পুরুষের পাশাপাশি একজন নারীও নির্বাচিত হওয়া উচিত। অন্যদিকে নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন সংসদে অতিরিক্ত ১০০ আসন সংযোজন করে সেগুলো নারীদের জন্য ঘূর্ণমানভাবে সংরক্ষণের প্রস্তাব দেয়।

সংসদে নারী আসনের ব্যাপারে স্বাধীনতার পর থেকে এখন পর্যন্ত যা চলছে, তা হলো ‘সংরক্ষিত আসন’, যা ক্রমে ক্রমে বেড়ে বর্তমানে ৫০টিতে এসে দাঁড়িয়েছে। তাঁরা সংসদ নির্বাচনে দলগুলোর প্রাপ্ত আসনের অনুপাতে মনোনীত হন। এতে জনগণ সরাসরি ভোট দিয়ে এই নারী সদস্যদের নির্বাচিত করতে পারেন না। এটাকে নাগরিক সমাজ ও নারী অধিকারকর্মীরা বহুদিন ধরেই অগণতান্ত্রিক ও বৈষম্যমূলক বলে আসছেন। কিন্তু জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কার্যধারায় এ বিষয়ে অগ্রগতি প্রশ্নে মতৈক্য তো দূরে থাক, এতই মতভিন্নতা দেখা গেল যে শেষে নারীদের পক্ষ থেকে জানাতে হয়, এই মতভেদের তোড়ে যেন বিদ্যমান সংরক্ষণব্যবস্থাও ভেস্তে না যায়!

এরপর কমিশন সর্বশেষ যে প্রস্তাব দেয়, তা হলো আগের ৫০ সংরক্ষিত আসন রেখেই সাধারণ আসনে আগামী নির্বাচনে কমপক্ষে ৫ ভাগ আসনে নারীকে মনোনয়ন দেওয়া এবং এভাবে তা ৩৩ ভাগে উন্নীত না হওয়া পর্যন্ত ৫ ভাগ হারে বাড়াতে হবে। কিন্তু এতেও ‘নোট অব ডিসেন্ট’ বা আপত্তি দেওয়া হয়েছে। এটা নাগরিক ও নারী সমাজে গভীর ক্ষোভ ও হতাশার জন্ম দেয়। নারীনেত্রীরা ‘ভোট দেবেন না’ বলেও ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানালে কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজ ‘ভোট দেব না’কে রাজনৈতিক দলগুলোর বিরুদ্ধে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে চাপ সৃষ্টি করার পরামর্শ দিতে দেখা গেছে। (প্রথম আলো, ২ আগস্ট ২০২৫)

এ ক্ষেত্রে আমরা বিশ্বে আইনসভায় নারীর সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনকারী প্রথম দেশ রুয়ান্ডার অভিজ্ঞতা থেকে পাঠ নিতে পারি। সর্বশেষ নির্বাচনে সে দেশের নিম্নকক্ষ চেম্বার অব ডেপুটিজে ৬৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ এবং উচ্চকক্ষ সিনেটে ৫৩ দশমিক ৮ শতাংশ আসনে নারী সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। এ প্রশ্নে এমা রুবাগুমিয়া ফুরাহা নামের রুয়ান্ডার একজন নারী আইনপ্রণেতা বলেন, ‘পরিসংখ্যান অনুযায়ী, আমরা নারীরা রুয়ান্ডার মোট জনসংখ্যার অর্ধেকের বেশি। এখন যদি আমাদের বাদ দেওয়া হতো, তবে কীভাবে আমরা উন্নয়ন নিয়ে গুরুত্বের সঙ্গে কথা বলতাম? আজ আমরা যে আইনই বিবেচনা করি, তাতে লিঙ্গসমতার বিষয়টি সর্বাগ্রে বিবেচনায় নেওয়া হয়—পরিবার–সংক্রান্ত বিষয়ে তো বটেই, বাজেট ও দরপত্র আহ্বানেও।’ (ফরাসি সাময়িকী লা মদে, ২০২৪)

সাংবিধানিক সংরক্ষণের ভেতর দিয়েই এটা সম্ভব হয়েছে। হুতু-তুতসিদের মধ্যে সংঘটিত ভয়াবহ গৃহযুদ্ধ ও গণহত্যার পর ২০০৩ সালে গৃহীত রুয়ান্ডার সংবিধানে সংসদীয় আসনসহ সব রাষ্ট্রীয় নীতিনির্ধারণী পদে নারীদের জন্য ৩০ শতাংশ আসন সংরক্ষণ করা হয়। ২০০৩ সালের নির্বাচনে নারীরা সংসদের ৪৮ দশমিক ৮ শতাংশ আসন পেয়েছিলেন। ২০০৮ সালে তা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ায় ৫৬ শতাংশ এবং ২০১৩ সালে এটি বিশ্ব রেকর্ড সৃষ্টি করে, যা ছিল ৬১ দশমিক ৩ শতাংশ। একটি প্রবলভাবে হিংসাবিদীর্ণ ও রক্ষণশীল রাষ্ট্রকে পুনর্গঠন করে একটি স্থিতিশীল, লিঙ্গসাম্য ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে উন্নীত করার অভিযাত্রায় দেশটির নারীরাই প্রধান ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন।

নারীদের সরাসরি জনগণকে প্রতিনিধিত্ব করার বিষয়টি দয়াদাক্ষিণ্য বা অনুরোধ-উপরোধের বিষয় নয়, গুরুতর রাজনৈতিক বিষয়। তাই এ প্রশ্নের ফয়সালা রাজনৈতিকভাবেই হতে হবে। এখানে ন্যায্যতা কোনো গ্যারান্টি দিতে পারে না। কিন্তু রাজনীতি তো ক্ষমতা আর ক্ষমতা তো যুক্তি বা ন্যায্যতা দিয়ে চলে না। এখানে রাজপথে ক্ষমতা দেখাতে হয়। রাজনৈতিক দলগুলো কেবল রাজপথ থেকে দেখানো শক্তি বা শোডাউন আর ক্ষমতাকাঠামোর চাপ—এ দুই ক্ষমতাকেই পরোয়া করে। তাই প্রাথমিকভাব এ বিষয়ে সাংবিধানিক নিশ্চয়তা পাওয়ার প্রশ্নে নারীদের রাজনৈতিকভাবে সক্রিয় হওয়া ভিন্ন কোনো পথ নেই।

এ ক্ষেত্রে একটি ন্যায্য প্রস্তাব এমন হতে পারে যে সংসদীয় আসনের মধ্যে নারী ভোটারসংখ্যা বিবেচনায় শীর্ষ ১০০ আসনে শুধু নারীরাই প্রার্থী হতে পারবেন। যেকোনো জাতীয় নির্বাচনের মৌসুমে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার আগে সব আসনের নারী ভোটারদের একটা সারণি করলেই বেরিয়ে আসবে, কোন ১০০ আসনে নারী ভোটার বেশি। পরবর্তী নির্বাচনী মৌসুমে একইভাবে তালিকা করে ১০০ নারী আসন চিহ্নিত হবে।

নারী আসন নিয়ে চলমান তর্কবিতর্কে সীমিত হলেও নারীদের যে প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে, তাতে একটি ইতিবাচক দিক নির্দেশ করে—দেশে গণতন্ত্রের পরিসর বাড়ছে এবং প্রতিনিধিত্ব নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। নারীদের জন্য সরাসরি ভোটের ব্যবস্থা করা হলে রাজনৈতিক ব্যবস্থায় নারীদের ভূমিকা আরও স্বীকৃতি পাবে, যা আমাদের গণতান্ত্রিক কাঠামোকে শক্তিশালী ও টেকসই করবে। সংসদে নারীদের নিছক হাজির থাকা নয়; বরং সরাসরি নির্বাচিত, প্রকৃতভাবে ক্ষমতায়িত আইনপ্রণেতার সরব উপস্থিতি কাম্য; যাঁরা জবাবদিহি করবেন শুধু দল বা নেতৃত্বের কাছে নয়, সরাসরি নাগরিকদের কাছে।

মিল্লাত হোসেন আইন ও সংবিধানবিষয়ক লেখক

*মতামত লেখকের নিজস্ব

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কমল হাসানের পায়ের ধুলোরও যোগ্য নন শাহরুখ: লিলিপুট
  • যুদ্ধের মধ্যেও কোন গোপন ব্যবস্থায় সরকারি কর্মচারীদের বেতন দিচ্ছে হামাস
  • কামাল ও তাঁর তিন সন্তান দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী, প্রতিদিন ‘যুদ্ধ করেও’ কূল খুঁজে পান না
  • আজমেরী বেগমের দুটি কিডনিই বিকল, চান সহায়তা
  • কুয়েত থেকে হুইলচেয়ারে ফিরছেন কর্মক্ষমতা হারানো প্রবাসীরা
  • হৃতিকের ছেলেকে পাপারাজ্জিদের তাড়া, ভিডিও ভাইরাল
  • ‘ট্রাম্প-মোদি ব্রোমান্স’ সত্ত্বেও ভারত–মার্কিন সম্পর্ক তলানিতে কেন, সামনে কী
  • ডিএমপির সাবেক কমিশনার হাবিবুরসহ ৫ আসামির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল
  • সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়েও নারী কেন ন্যায্য হিস্যা পাবে না
  • ডিএমপির সাবেক কমিশনার হাবিবুরসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল