বৈষম্যমুক্ত সমাজ নির্মাণে যাঁর চিন্তা অন্তহীন প্রেরণার উৎস
Published: 8th, May 2025 GMT
ইতিহাসে সময় কখনো কখনো মুখর ও চঞ্চল হয়ে ওঠে। তখন খোলনলচে অনেক কিছু বদলাতে শুরু করে। জন্ম হয় নতুন মানুষের। এঁদের মধ্যে দু-একজন থাকেন দুর্লভ, যাঁদের দেখার চোখ, বলার ভঙ্গি বা শোনার ক্ষমতা সবার চেয়ে আলাদা। এসব মননশীল ও গভীর চিন্তাশীল মানুষ প্রচলিত ধ্যানধারণায় মোচড় দেন, নড়েচড়ে বসে সমাজ। তাঁদের মৌলিক চিন্তা সমস্যাকে শনাক্ত করার ও বিশ্লেষণের কাঠামোই আমূল বদলে দেয়। কার্ল হাইনরিশ মার্ক্স এমনই একজন মনীষী। ৫ মে ছিল তাঁর ২০৭তম জন্মদিন।
তৎকালীন প্রুশিয়া সাম্রাজ্যের রাইন প্রদেশের ট্রিয়ার শহরে ১৮১৮ সালের ৫ মে এক ইহুদি পরিবারে কার্ল মার্ক্সের জন্ম। ৯ ভাই-বোনের মধ্যে কার্ল মার্ক্স ছিলেন তৃতীয়। দক্ষিণ জার্মানির এই শহর তখন আজকের মতো এতটা বড় ছিল না। মানে, ইউরোপের কোনো রাজধানী শহর নয়, একটি অপরিচিত প্রাদেশিক শহর থেকেই উঠে এসেছিলেন আধুনিক সময়ের অন্যতম প্রভাবশালী এই দার্শনিক, রাজনৈতিক অর্থনীতিবিদ ও স্বাপ্নিক।
কার্ল মার্ক্সের ব্রোঞ্জের ভাস্কর্য স্থাপন করা হচ্ছে। জার্মানির ট্রিয়ার শহরে, এপ্রিল ১৩, ২০১৮.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
রোমান সম্রাজ্ঞী মেসালিনাকে যেকারণে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিলো
রোমান সম্রাজ্ঞী ভ্যালেরিয়া মেসালিনা ছিলেন ‘ভয়ংকর সুন্দরী’। তার সময়ে সময়ে রাজনীতিতে একজন নারীর হস্তক্ষেপ ভালোভাবে দেখা হতো না। কেউ রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করলে তাকে নিয়ে নানা সরল ব্যাখ্যা তৈরি হয়ে যেতো।
ইতিহাসবিদ রবার্ট গ্রেভস বলেছেন, ভ্যালেরিয়া মেসালিনার উচ্চ রাজনৈতিক জ্ঞান ছিলো এবং তিনি ব্যক্তিগত আকাঙ্ক্ষাকে প্রাধান্য দিতেন। অথচ তিনি ইতিহাসে একজন কুখ্যাত রোমান সম্রাজ্ঞী। ভ্যালোরিয়া মেসালিনা ছিলেন রোমান সম্রাট ক্লডিয়াসের তৃতীয় স্ত্রী। বলা হয়ে থাকে তিনি আলোচনায় রয়েছেন তার ক্ষমতা লিপ্সা, নৃশংসতা এবং চরম যৌন স্বেচ্ছাচারিতার জন্য।
আরো পড়ুন:
সকালে গোসল করার উপকারিতা
ময়ূর সম্পর্কে এই তথ্যগুলো জানেন?
ভ্যালেরিয়া মেসালিনা সম্রাট নিরোর চাচাতো বোন, সম্রাট ক্যালিগুলার দ্বিতীয় চাচাতো বোন এবং সম্রাট অগাস্টাসের প্রপৌত্রী ছিলেন। ৩৮ বা ৩৯ খ্রিস্টাব্দে তিনি ক্লডিয়াসকে বিয়ে করেন। ৪১ খ্রিস্টাব্দে ক্যালিগুলা নিহত হলে ক্লডিয়াস সম্রাট হন এবং মেসালিনা সম্রাজ্ঞী হিসেবে ক্ষমতা লাভ করেন।
ভ্যালেরিয়া মেসালিনা প্রায় এক দশক ধরে রোমের অন্যতম প্রভাবশালী নারী ছিলেন এবং রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতেন। নিজের অবস্থান ধরে রাখতে তিনি রাজনৈতিক বিরোধীদের নির্বাসন এবং মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার মতো ব্যবস্থা গ্রহণ করতেন।
তার সম্পর্কে প্রচলিত গল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে যে, তিনি রাতের বেলা গোপনে পতিতালয়ে যেতেন এবং সেখানে সেচ্ছাচারিতা করতেন। এমনকি তিনি নামকরা পতিতাদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা শুরু করতেন। এক রাতে তিনি ২৫ জন পুরুষের শয্যাসঙ্গিনী হয়েছিলেন!
৪৮ খ্রিস্টাব্দে তিনি সম্রাট ক্লডিয়াসের অনুপস্থিতিতে তার প্রেমিক গাইয়াস সিলিয়াসের সাথে প্রকাশ্যেই বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন, যা ছিল রাষ্ট্রদ্রোহমূলক কাজ। পরে ক্লডিয়াস তাকে মৃত্যুদণ্ড দেন এবং তার নাম ও মূর্তি মুছে ফেলার জন্য ‘ড্যামনেশিও মেমোরি’ ঘোষণা করা হয়। রাজনীতিতে সরাসরি এক দশক প্রভাব রাখা সম্রাজ্ঞী ইতিহাসে একজন কলঙ্কিত নারীর তকমা পেয়ে যান।
তথ্যসূত্র: এনসিয়েন্ট ওয়ার্ল্ড ম্যাগাজিন
ঢাকা/লিপি