নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ডা. সেলিনা হায়াত আইভি কে কি অপরাধে নয়মাস পর কারাবন্দী করা হলো তা কি দেশবাসীর জানার কোন অধিকার আছে কি? তিনি নারায়নগজ্ঞ পৌরসভা প্রথম চেয়ারম্যান আলী আহাম্মদ চুনকার যোগ্য উত্তসুরী! 

প্রথম দফায় পৌর চেয়ারম্যন পরবর্তি দুইবার লক্ষ্যাধিক ভোটের ব্যবধানে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন!
অনেকে মতে তৃতীয় দফায় নৌকা প্রতিক নেয়ার কারনে বেশকিছু ভোট থেকে বঞ্চিত হয়েছেন!

নারায়নগঞ্জে গডফাদার উপাধী প্রাপ্ত শামিম ওসমানের কথা বা ইশারার বাইরে কিছু বলা বা করার ক্ষমতা কারো ছিলোনা! একই দলের হলেও ডাঃ সেলিনা হায়াত আইভি সামান্য ছাড়ও দেননি শামিম ওসমানকে। 
নারায়নগজ্ঞের প্রধান সড়ক থেকে হকার উচ্ছেদ প্রশ্নে আইভিকে হত্যা প্রচেষ্টা চালিয়ও ব্যার্থ হয়েছিল প্রতি পক্ষ! মেয়র হিসেবে তিনি কখনোই দলীয় দৃষ্টিকোন থেকে বিচার করেননি!

তার কাছে সব দলের লোকই ছিলো সমান! ভিন্ন দল বা মতের লোক বলে কাউকে তিনি বঞ্চিত করেন নি! নাসিকের ২৭টি ওয়ার্ড কে তিনি যে ভাবে সাজিয়েছেন অন্য কারো পক্ষেই তা সম্ভব হতো কি না তাতে যথেষ্ট সন্দহ আছে।

তার বেশ কয়েকটি চলমান প্রকল্প বর্তমান প্রশাসক  বন্ধ করে রেখেছেন এবং নূতন উল্লেখ যোগ্য কোনো কাজই এখন হচ্ছে না!! ভয়াবহ করুনা ভাইরাস কে তোয়াক্কা না করে বিভিন্য প্রকল্পের কাজ তিনি সশশীরে পরির্দষন করেছেন নিয়মিত!

তার সুকর্মের ফলের জন্য ২৭ টি ওয়াডের নারী পুরষের মনের মনি কোঠায় তিনি স্থান করে নিয়েছেন!
এই বিপুল জনপ্রিয়তার কারনেই কি আজ তাকে জেলে যেতে হলো তা আম জনতা জানতে চায়?
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে আবার ধ্বংস করার চক্রান্ত চলছে: মির্জা ফখরুল

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে আবার ধ্বংস করার চক্রান্ত চলছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

আজ শুক্রবার (৭ নভেম্বর) ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এ কথা বলেন মির্জা ফখরুল। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে জিয়াউর রহমানের সমাধিস্থলে এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সালাহউদ্দিন আহমদ, মির্জা আব্বাসসহ দলটির জ্যেষ্ঠ নেতারা।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আজকে বাংলাদেশে বিভিন্ন রকম, এই গণ-অভ্যুত্থানের পরে বিভিন্ন রকমভাবে একটা প্রচেষ্টা, চক্রান্ত চলছে গণতন্ত্রকে আবার ধ্বংস করার জন্য।’

‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের’ তাৎপর্য-প্রেরণা নিয়ে কথা বলেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, ‘বিপ্লব ও সংহতি দিবস আমাদের সেই পথেই যেতে অনুপ্রাণিত করে, যে পথে সত্যিকার অর্থে আমরা বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নির্মাণ করতে পারব। একটা সমৃদ্ধ রাষ্ট্র নির্মাণ করতে পারব। জনগণের ভোটের অধিকারকে সত্যিকার অর্থে প্রতিষ্ঠা করতে পারব। বিচারের অধিকার নিশ্চিত করতে পারব। সেই লক্ষ্যেই বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে, বিএনপি এগিয়ে যাব।’

বিএনপি সেই লক্ষ্য নিয়েই কাজ করছে বলে উল্লেখ করেন দলটির মহাসচিব।

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা হিসেবে অভিহিত করেন মির্জা ফখরুল। ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বরের ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে বিএনপির মহাসচিব বলেন, জিয়াউর রহমানকে গৃহবন্দী থেকে উদ্ধার করে রাষ্ট্রপরিচালনার দায়িত্ব অর্পণের কাজটি বাংলাদেশের অগ্রগতির মোড় ঘোরানো দিক ছিল। তিনি বহুদলীয় গণতন্ত্র, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার নিশ্চিত করেছিলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, রাষ্ট্রপরিচালনার চার বছরে জিয়াউর রহমান দেশে আমূল পরিবর্তন আনেন। তিনি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণের যে ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন, তা দেশকে পরবর্তীকালে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়।

দেশের পরিস্থিতি নিয়ে বিএনপিকে আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। এ বিষয়ে মির্জা ফখরুলের কাছে জানতে চান সাংবাদিক। কিন্তু তিনি এ ব্যাপারে নতুন করে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পাঠানো বক্তব্যই বিএনপির চূড়ান্ত বক্তব্য বলে উল্লেখ করেন মির্জা ফখরুল।

আজ জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন যুবদল, ছাত্রদল, শ্রমিক দলসহ বিএনপির অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। তাঁরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে এসে শ্রদ্ধা জানান।

সম্পর্কিত নিবন্ধ